আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম, নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে খুবই উপকৃত হবো।

১) সুতরার ভেতর দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে কি নামাজি ব্যাক্তির নামাজ ভঙ্গ হয়?

২) ঘরের ছোট বাচ্চা (৯ মাস) অনেক সময় নামাজ পড়া অবস্থায় সামনে এসে বসে থাকে। সিজদা দিতে হলে তাদের সরিয়ে দিতে হয়৷ এক্ষেত্রে কি নামাজ ভঙ্গ হবে?

৩) ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাব কতটুকু নাপাক?

৪) কত দিনের বাচ্চার প্রশ্রাব শরীর / জামায় লাগলে ধুয়ে নিতে হবে?

৫) ছোট বাচ্চাদের প্রশ্রাব করার পর কি পানি দিয়ে তাদের ধোয়াতে হবে? নাকি কোনোকিছু দিয়ে মুছে ফেললে যথেষ্ট হবে?

৬) কোনোস্থানে ছোট বাচ্চা প্রশ্রাব করলে ঐ জায়গাটায় প্রশ্রাবটা মুছে ফেললে এবং শুকিয়ে গেলে জায়গাটা পাক হয়ে যাবে??? নাকি পানি দিয়ে আবার মুছতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নামাযীর সামনে সুতরা দেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সাঃ এর একটি হাদীস দ্বারা সুষ্পষ্টরূপে সুতরার গুরুত্ব বুঝা যায়- হাদীসটি হল-

عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}

অন্য হাদীসে এসেছে-

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّى مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ». قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِى قَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب مَا يُنْهَى عَنْهُ مِنَ الْمُرُورِ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّى، رقم الحديث-701)

অনুবাদ-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কীরূপ শাস্তি-ভোগের আশংকা রয়েছে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাও ভালো মনে করতো।

হযরত আবুন নাযর বলেন-আমার জানা নেই, হাদীসে চল্লিশের কী অর্থ, চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ চছর? {সুনানে আব দাউদ, হাদীস নং-৭০১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩৩৬, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং- ৩২৬৪, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৮৩২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৩৬৬, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১১৬০, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১৩৯১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৫৪০, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৭৮২, মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-২৪২, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৫২৬}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরার ভেতর দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে নামাজি ব্যাক্তির নামাজ ভঙ্গ হয়না। তবে অতিক্রম কারীর গুনাহ হবে।

(০২)
এক হাত দিয়ে দ্রুত সড়িয়ে দিবেন।
যাতে তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমাণ সমস্য ব্যয় না হয়।
সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

(৩.৪)
ছোট বাচ্চাদের পেশাব আর বড় মানুষের পেশাবের হুকুম একই।
সবই পুরোপুরি নাপাক।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ

উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)

(০৫)
পানি প্রবাহিত করে দিতে হবে।

(০৬)
ঐ জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

তবে মাটি জাতীয় কিছুর উপর পেশাব করলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুকিয়ে যাওয়ার দ্বারা স্থান পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...