ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নামাযীর সামনে সুতরা দেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সাঃ এর একটি হাদীস দ্বারা সুষ্পষ্টরূপে সুতরার গুরুত্ব বুঝা যায়- হাদীসটি হল-
عن أبي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه و سلم ( لو يعلم أحدكم ما له في أن يمر بين يدي أخيه معترضا في الصلاة . كان لأن يقيم مائة عام خير له من الخطوة التي خطاها (سنن ابن ماجه، كتاب الصلاة، باب المرور بين يدى المصلى، رقم الحديث-946)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি কোন নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে যদি জানতো [এর শাস্তি কতটা ভয়াবহ], তাহলে তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো নামাযীর সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৪৬, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১৯২৫২}
অন্য হাদীসে এসেছে-
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّى مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ». قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِى قَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب مَا يُنْهَى عَنْهُ مِنَ الْمُرُورِ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّى، رقم الحديث-701)
অনুবাদ-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত এতে কীরূপ শাস্তি-ভোগের আশংকা রয়েছে, তবে চল্লিশ পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাও ভালো মনে করতো।
হযরত আবুন নাযর বলেন-আমার জানা নেই, হাদীসে চল্লিশের কী অর্থ, চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ চছর? {সুনানে আব দাউদ, হাদীস নং-৭০১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩৩৬, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং- ৩২৬৪, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৮৩২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৩৬৬, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১১৬০, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১৩৯১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৫৪০, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৭৮২, মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-২৪২, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৫২৬}
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরার ভেতর দিয়ে কেউ অতিক্রম করলে নামাজি ব্যাক্তির নামাজ ভঙ্গ হয়না। তবে অতিক্রম কারীর গুনাহ হবে।
(০২)
এক হাত দিয়ে দ্রুত সড়িয়ে দিবেন।
যাতে তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমাণ সমস্য ব্যয় না হয়।
সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
(৩.৪)
ছোট বাচ্চাদের পেশাব আর বড় মানুষের পেশাবের হুকুম একই।
সবই পুরোপুরি নাপাক।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
(০৫)
পানি প্রবাহিত করে দিতে হবে।
(০৬)
ঐ জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তবে মাটি জাতীয় কিছুর উপর পেশাব করলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুকিয়ে যাওয়ার দ্বারা স্থান পাক হয়ে যাবে।