ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নিয়ত মানে হল মনস্থির করা। কোন কাজটি করছি? কেন করছি? কার জন্য করছি? কি করছি? এসব বিষয় নির্ধারণ করার নাম হল নিয়ত।
প্রতিটি কাজের সওয়াব পাবার জন্য নিয়ত থাকা আবশ্যক।
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।
অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।
নিয়ত বাংলায় বা আরবীতে বলা জরুরী নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★রোযা রাখার নিমিত্তে কেহ যদি সেহরী খায়,তাহলে সেটিই নিয়ত বলে গন্য হবে।
নতুন করে নিয়তের প্রয়োজন নেই।
রোযার নিয়ত করা ফরয। নিয়ত অর্থ সংকল্প। যেমন মনে মনে এ সংকল্প করবে, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আগামী কালের রোযা রাখছি। মুখে বলা জরুরি নয়।
হাদীস শরীফে আছে, সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সহীহ বুখারী ১/২; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৬
,
ফরয রোযার নিয়ত রাতেই করা উত্তম।
উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৯-২৬০; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯
রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যাবে।
সালামা ইবনুল আকওয়া রা. বলেন, (আশুরার রোযা যখন ফরয ছিল তখন) রাূসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলাম গোত্রের একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন, ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোযা রাখবে। কারণ আজ আশুরা-দিবস।’-সহীহ বুখারী ২০০৭
,
আবদুল করীম জাযারী রাহ. বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বললেন, ‘যে ব্যক্তি (ইতিমধ্যে কিছু) খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে।’-মুহাল্লা ৪/২৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ যদি রোযার নিয়ত এভাবে করে যে "আমার যদি সমস্যা হয় তাহলে রোযা ভেংগে ফেলবো"
তাহলে সে এখনো রোযার পাক্কা নিয়ত করেনি বলে ধরা হবে।
সুতরাং অর্ধদিনের আগেই পাক্কা নিয়ত না করলে উক্ত রোযা আদায় হবেনা।
(০২)
সে পরবর্তীতে অর্ধদিনের আগেই পাক্কা নিয়ত না করলে উক্ত রোযা আদায় হবেনা।
(০৩)
রান্না করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া নিলে রোযা ভেঙ্গে না গেলেও মাকরুহ হবে।
তবে অনিচ্ছায় ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে সমস্যা নেই।