আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in সাওম (Fasting) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১, কেউ যদি রোযার নিয়ত এভাবে করে যে আমার যদি সমস্যা হয় তাহলে রোযা ভেংগে ফেলব,পরে সমস্যা হয়নি,এই নিয়তে রোযা রাখলে রোযা হবে?

২,কারো যদি কিডনি সমস্যা থাকে,এই নিয়ত রাখে যে যদি পানি স্বল্পতায় কিডনি ব্যথা করতে শুরু করে তখন রোযা ভাংব।কিন্তু পরবর্তীতে কিডনি ব্যথা হবার পরেও রোযা ভাংগে নি।এতে কি তার রোযা শুদ্ধ হবে?

৩,মা বোন রা রান্না করার সময়, খাবারের ধোয়া নিলে সমস্যা হবেকি? গরম ভাত বা তরকারি ধোয়া যুক্ত ঘ্রাণ। যদিও তা গলায় স্বাদ অনুভূত করেনা।

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
নিয়ত মানে হল মনস্থির করা। কোন কাজটি করছি? কেন করছি? কার জন্য করছি? কি করছি? এসব বিষয় নির্ধারণ করার নাম হল নিয়ত।

প্রতিটি কাজের সওয়াব পাবার জন্য নিয়ত থাকা আবশ্যক।

নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।
অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।
নিয়ত বাংলায় বা আরবীতে বলা জরুরী নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★রোযা রাখার নিমিত্তে কেহ যদি সেহরী খায়,তাহলে সেটিই নিয়ত বলে গন্য হবে।
নতুন করে নিয়তের প্রয়োজন নেই।

রোযার নিয়ত করা ফরয। নিয়ত অর্থ সংকল্প। যেমন মনে মনে এ সংকল্প করবে, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আগামী কালের রোযা রাখছি। মুখে বলা জরুরি নয়।
হাদীস শরীফে আছে, সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সহীহ বুখারী ১/২; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৬
,
ফরয রোযার নিয়ত রাতেই করা উত্তম।
উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।-সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৯-২৬০; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯

রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলার প্রায় এক ঘণ্টা আগে নিয়ত করলেও রোযা হয়ে যাবে।
সালামা ইবনুল আকওয়া রা. বলেন, (আশুরার রোযা যখন ফরয ছিল তখন) রাূসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলাম গোত্রের একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন, ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোযা রাখবে। কারণ আজ আশুরা-দিবস।’-সহীহ বুখারী ২০০৭
,
আবদুল করীম জাযারী রাহ. বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. বললেন, ‘যে ব্যক্তি (ইতিমধ্যে কিছু) খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোযা রাখবে।’-মুহাল্লা ৪/২৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ যদি রোযার নিয়ত এভাবে করে যে "আমার যদি সমস্যা হয় তাহলে রোযা ভেংগে ফেলবো"

তাহলে সে এখনো রোযার পাক্কা নিয়ত করেনি বলে ধরা হবে।
সুতরাং অর্ধদিনের আগেই পাক্কা নিয়ত না করলে উক্ত রোযা আদায় হবেনা।

(০২)
সে পরবর্তীতে অর্ধদিনের আগেই পাক্কা নিয়ত না করলে উক্ত রোযা আদায় হবেনা।

(০৩)
রান্না করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া নিলে রোযা ভেঙ্গে না গেলেও মাকরুহ হবে।
তবে অনিচ্ছায় ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...