জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ . فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ . فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ "
আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু'আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে (সালাত আদায়কারীদের মধ্যে) কোন একজন লোক হাচি দিলে (জবাবে) আমি "ইয়ারহামুকাল্প-হ" (অর্থাৎ- আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন) বললাম। এতে সবাই রুষ্ট দৃষ্টিতে আমার প্রতি তাকাতে থাকল। তা দেখে আমি বললামঃ আমার মা আমার বিয়োগ ব্যথায় কাতর হোক। (অর্থাৎ এভাবে আমি নিজেকে ভৎসনা করলাম)। কি ব্যাপার! তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছ যে? তখন তারা নিজ নিজ উরুতে হাত চাপড়াতে থাকল। (আমার খুব রাগ হওয়া সত্ত্বেও) আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চায় তখন আমি চুপ করে রইলাম।
পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলে আমি তাকে সবকিছু বললাম। আমার পিতা ও মাতা তার জন্য কুরবান হোক। আমি ইতোপূর্বে বা এর পরে আর কখনো অন্য কোন শিক্ষককে তার চেয়ে উত্তম পন্থায় শিক্ষা দিতে দেখিনি। আল্লাহর শপথ করে বলছি, তিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সালাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহ, তাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে।
(মুসলিম শরীফ ১০৮৬. (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৮০, ইসলামীক সেন্টার ১০৮৮)
★নামাজ ভঙ্গের অন্যতম একটি কারন হলো,
নামাজের ভেতর কথা বলা।
নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে প্রয়োজনবশত মুক্তাদির মুখ নড়াচরা করার কারণে মুক্তাদির মুখ দিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোনো শব্দ বের হলে সেটি যদি শোনা না যায় বা অর্থবোধক শব্দ না হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
(০২)
আপনি যেতে পারেন।
তবে কোনোভাবেই মিলাদ কিয়াম করবেননা।
(০৩)
হ্যাঁ, এতে আপনি আপনার বাবা মার অবাধ্য হবেন।
(০৪)
এখন যদি তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে টাকা রিচার্জ করে দেন, তাহলে সেটি জায়েজ হবে।
(i)তার অনুমতি ব্যাতিত তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা তার হক নষ্ট হবেনা।
(ii) শুধু আপনি যতটুকু খাইছেন ততটুকু বা সতর্কতামূলক একটু বেশি দিলে হবে।
(ii)যে যে ক্ষেত্রে বান্দার হক ফিরিয়ে দিতে গেলে সমস্যা হবে সে সে ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি গ্রহন করা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে প্রথমে তার বিকাশ নগদ ইত্যাদিতে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করবেন। ব্যাক্তির বিকাশ নগদ ইত্যাদি না থাকলে তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করবেন। সেটিও সম্ভব না হলে ডাকযোগে তার কাছে টাকা পাঠাতে পারেন। সেটিও সম্ভব না হলে তার মোবাইল নাম্বারে রিচার্জ করে দিবেন।
(০৫)
এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।
তাই হক আদায় করতে হবে।
(০৬)
এতে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৭)
যথাসম্ভব শক্তি ব্যয় করে নিংড়াবেন।
তাহলেই পাক হবে।