আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

আমি একজন মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী। ও মানসিক রুগী। আমি আপনাদের ওয়েব সাইড এ প্রশ্ন করে বার বার দেখছিলাম, ও স্ত্রীকে বার বার না না প্রশ্ন করছিলাম , এই কারণে স্ত্রী অনেক রেগেছিল। আমি আপনাদের ওয়েব সাইড এ একটা প্রশ্ন দেখলাম " নামাজ এ বায়ু আসলে কি করবো"
আমি আমার স্ত্রীকে বলছি দেখো একজন প্রশ্ন করেছে নামাজে বায়ু আসলে করণীয় কি । আমার স্ত্রী দিয়ে বললো " পাদ বে "

আমি একটু হেসে বললাম , যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসা রুগী , আমার স্ত্রী কে বললাম তুমি এমন বললে কেনো , দিয়ে বলছে তোমার ওপর আর যে প্রশ্ন করেছে তার ওপর রাগ করে বললাম বিশেষ করে তোমার ওপর । স্ত্রী বলছে বার বার প্রশ্ন করছি আমার ভালোলাগছে না । তাই রেগে বলেছি।
আমি স্ত্রী কে আবারও জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি নামাজ কে কোনো কুটুক্তি করেছো? স্ত্রী বললো আমি কি পাগল নাকি যে নামাজ কে কুটুক্তি করবো। আমি নামাজ কে কোনো কুটুক্তি করিনি। তার পর সে আল্লাহ কসম করে বললো যে সে নামাজ কে কুটুক্তি করেনি। এমনি সাধারণ ভেবে বলেছে ।

আমার স্ত্রীর কি ঈমান চলে যাবে? সে কিন্তু নামাজ কে কুটুক্তি করেনি  আল্লাহ কসম। আমি স্ত্রীর কথা শুনে একটু হেসে কথা বলেছি তার জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে?  আল্লাহ কসম আমি শুধু মাত্র হালকা হেসেছিলাম স্ত্রীর কথা শুনে। কোনো কুটুক্তি না। আল্লাহ কসম করে বলছি হুজুর! জাস্ট নরমালি। কথা শুনে। আমিও কোনো কুটুক্তি করিনি আল্লাহ কসম।

 প্রশ্ন করার ৪০ মিনিট পর , আমার স্ত্রী কে আমি খুবই বিরক্ত করে শেষ করে দিচ্ছি , এই প্রশ্ন সেই প্রশ্ন । হুজুর দিয়ে স্ত্রীকে আবার জিজ্ঞেস করছি, যে আমি তো islamic fatwa তে প্রশ্ন করেছি কি হবে গো? স্ত্রী আমার অনেক বিরক্ত হয়ে গিয়েছে ৪ মাস থেকে প্রশ্ন করছি তাই স্ত্রী রেগে গিয়ে বলছে , আমার ঈমান নষ্ট হবে তোমার তো হবে না,যা বলেছি সত্যি বলেছি , সঙ্গে সঙ্গে আমার ভয় হয়ে যায় আমি কান্না করতে লেগেছিলাম ঈমান চলে যাওয়ার ভয় এ ।
দিয়ে স্ত্রীর ও কান্না করতে করতে বলল আমি বিরক্ত হয়ে বললাম , যে  যা বলেছি সত্যি বলেছি । আসলে সে বিরক্ত হয়ে এই কথা বলেছে । সে আল্লাহ কসম করে বললো সে  আমার ওপর বিরক্ত হয়ে বলেছে। মন থেকে বলেনি আমার ওপর রেগে ৪ মাস থেকে একই ভাবে এই সব চলেছে তাই বিরক্ত হয়ে রেগে বলেছে।
সে কোনো  নামাজ কে কুটুক্তি করেনি আসলে আমি তাকে অনেক দিন থেকে এই বিষয় এ প্রশ্ন করি সে বিরক্তি হয়ে গিয়েছে। সে সত্য কথা বলছে আল্লাহ কসম করে সে নামাজ কে কুটুক্তি করেনি । আল্লাহ কসম করে বলছে সে নামাজ কে কুটুক্তি করেনি। আমার কথা তে রেগে গিয়ে বলেছে যে যা হবে আমার হবে । আমি সত্যি বলেছি এই কথা টা সে, রেগে গিয়ে বলেছে , মন থেকে বলেনি আল্লাহ কসম। । বিরক্ত হয়ে বলেছে । সে নামাজ কে কুটুক্তি করেনি আল্লাহ কসম । হুজুর ঈমান ঠিক আছে তো??

২. আমি মানসিক ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি আসছিলাম আমি তখন গাড়ি চালাচ্ছিলাম , আমার স্ত্রীর এইসব কথা ভাবতে ভাবতে আমার মনে হচ্ছিলো  নামাজ কে  তো কুটুক্তি করেনি। জাস্ট এমনি বলেছে পাদ বে।
দিয়ে আমিখুব ওয়াসওয়াসা । আমার মনে হতে থাকে আমি কি নামাজ কে কুটুক্তি করছি পাদের সঙ্গে?? মনে মনে আমার এই রকম হতে থাকলো আমি কি পাদে র সাতে তুলনা করছি আস্তাগিরুল্লাহ।  আমি মুখে উচ্চরণ করিনি হুজুর।
মনে মনেই এই রকম হচ্ছে । কিন্তু হুজুর আমি আল্লাহ কসম রমজান মাসে আল্লাহ কসম করে বলছি মনে যতই উল্টো পাল্টা ভাবনা আসুল আমি মন থেকে কখনোই এমন বলতে পারি না।
হুজুরে আমি মুখেও  উচ্চরণ করিনি । ওয়াসওয়াসা র জন্য আমার এই রকম মনে হচ্ছিল। আমি ভালোবাসি নামাজ কে ।
আল্লাহ কসম আমি ও কোনো কুটুক্তি করিনি আর উচ্চরণ তো করিনি। মনে মনে ভাবনা আমার রোগ ওয়াসওয়াসা। সেই জন্য শয়তানের ওয়াস্বসার জন্য এমন হয়েছে । আল্লাহ কসম আমি  কোনো কুটুক্তি করিনি। আর মুখে উচ্চরণ ও করিনি।

আমার কি ঈমান চলে যাবে হুজুর?? যা হয়েছে সব ওয়াসওয়াসা মনে মনে হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি।

৩. একটা ভিডিও দেখলাম একটা লোক একটা মেয়ে কে সিঁদুর পড়াচ্ছিলেন, আমি দেখে আমার কেমন একটু মনে মনে হলো আমিও সিঁদুর পড়বো। আস্তাগিরুল্লাহ। মনে মনে এমন হলো সঙ্গে সঙ্গে মন কে ফিরিয়ে নিয়ে আস্তাগিরুল্লাহ পড়লাম ।
হুজুর  ওয়াসওয়াস র জন্য এমন মনে হয়েছিল। কিছু ক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য দিকে ফিরিয়ে নিলাম । মনে মনে এমন হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

৪. হুজুর আমার একটা বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপ এ  স্ট্যাটাস দিয়েছে সে যে সে যখন দাড়ি কেটে  মুন্ডিয়ে আসে  তখন তার গার্ল ফ্রেন্ড খুব বকে।আমি এই ভিডিও টা দেখলাম দিয়ে বললাম আশিক এর দাড়ি আছে তাই বেশি অ্যাটিটিউড। আমি দাড়ি খুব পছন্দ করি আর আসিকের খুব সুন্দর দাড়ি আছে মাশাল্লাহ । আমি আমার বন্ধু কে বললাম যে খুব অ্যাটিটিউড । হুজুর আমি দাড়ি নিয়ে কোনো কুটুক্তি করিনি আল্লাহ কসম । আমি বন্ধু কে বললাম সে এইরকম  রকম ভিডিও স্ট্যাটাস দেই তার জন্য বলেছি attitude  আমি কোনো দাড়িকে কিছু বলিনি । আল্লাহ কসম করে বলছি রমজান মাসে আমি দাড়ি কে নিয়ে কোনো কুটুক্তি করিনি। আমি দাড়ি খুব ভালোবাসি। হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
৫। বার বার এমন কুফরী জিনিস মনে মনে হতে থাকলে কি করবো হুজুর, আজ কে মানসিক ডাক্তার এর কাছে ওষধ নিয়ে আসলাম। হুজুর মনে মনে যতই কুফরী কথা মনে হয় না কেনো
আমি যদি মুখে উচ্চরণ না করি আমার ঈমান বজায় থাকবে তো??

৬.হুজুর আমি একদিন ভীষণ চিন্তা তে ছিলাম । খুবই চিন্তা তে ছিলাম আর আল্লাহর কাছে কান্না করছিলাম । বলছিলাম আল্লাহ আমাকে সাহায্য করো এই চিন্তা থেকে বেরোতে।

আর আমি নামাজ পড়তে গিয়েও দুয়া করছিলাম । তখন মনে হচ্ছিল যদি আমার চিন্তা দূর হয় , একটা ফাঁকা জায়গা তে গিয়ে মানে একটু আড়ালে যেখানে একটা মাঠ আছে সবাই খেলা ধুলা করে সেইখানে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ হু আকবর বলে সেজদা দিব । নামাজ পড়ে বেরিয়ে যা শুনলাম আমার চিন্তা দূর হলো। আমিও ওই ফাঁকা জায়গাতে গিয়ে আল্লাহু আকবর বলে সেজদা দিয়ে কান্না করতে লাগলাম । আমার দয়া কবুল হয়েছে বলে। এইরকম করার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আমি তো আল্লাহ কে নিয়ত করে সেজদা করেছি। আর আল্লাহ ছাড়া তহ কাও কে সেজদা করা যায়না। আমি আবেগ অনুভূতি তে আল্লাহর প্রতি অন্তরে ভালোবাসতে ওই মাঠে আল্লাহু আকবর বলে সেজদা করেছি এর জন্য কি ঈমান এর কোনো সমস্যা হবে?

৭. আমি একজন ভীষণ ওয়াসওয়াসা ও মানসিক রুগী।
আমি আপনাদের এইখানে অনেক প্রশ্ন করেছি এবং আপনারা আমাকে মাসায়েল এর উত্তর দিয়ে সাহায্য করেছেন।
হুজুর আমার বিষয় টা হলো আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী। অনেক পুরানো পুরানো কথা মনে পড়ে ১০ বছর বা ৪ -৫ বছর এর আগের কথা ইত্যাদি মনে পড়ে দিয়ে ভয় হয়।সেই নিয়ে ভীষণ মানসিক রুগি ও চিন্তিত হয়ে জাই। যাইহোক হুজুর আসল বিষয় হলো ,
২-৩ বছর আগে একটা ফেস বুক এ ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে নামাজ খুব ভুল ভাবে পড়ছিল কিছু ছেলে, যাকে বলে একদম দেয়াদবি ভাবে নামাজ কে নিয়ে তাচ্ছিল্য করছিল।
আমি সেই ভিডিওটা আমার কিছু বন্ধু দের কে দেখিয়ে বলছিলাম কি অসভ্য মানুষ এই গুলো ।
আর একদিন কিছু বন্ধু দের কে বলছিলাম ফেস বুক এ একটা ভিডিও দেখেছিলাম কিছু অসভ্য ছেলে নামাজ কে খুব জোরে জোরে আর উল্টো পাল্টা ভাবে পড়ছিল , আর বলছিলাম তাদের কি আল্লাহ কে একটুও ভয় হয়না কি সব ভন্ডামি করছে।
দিয়ে আমার বন্ধু বলছিলো কি ভাবে নামাজ পড়ছিল ,
দিয়ে আমি মনে হয় তাদের নামাজ পড়া নিয়ে যে নোংরামী করেছিলো আমি আমার বন্ধু দের কে বোঝানোর জন্য আমি কিছু টা তাদের অঙ্গ ভঙ্গি করে দেখিয়ে ছিলাম ।

 ( আমার কিন্তু মনে পড়ছে না যে আমি দেখিয়েছিলাম আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য আর রোগের জন্য মনে হচ্ছে হয়ত আমি দেখিয়ে ছিলাম )
হুজুর যদিও আমি আমার বন্ধু দের কে বোঝানোর জন্য কিছু টা অঙ্গভঙ্গি করে দেখিয়ে থাকি , সেটা শুধুমাত্র সেই ছেলেগুলো যে ভন্ডামি করছিল সেটা বোঝানোর জন্য । আল্লাহ কসম হুজুর , আমি নামাজ নিয়ে কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করিনি, আমি কোনো নামাজ ই পড়িনি এমনি দেখিয়েছিলাম।
আর আমি এই রকম নামাজ নিয়ে তাচ্ছিল্য করতে পারিনা । রমজান মাস এ আল্লাহ কসম করে বলছি আমি তাচ্ছিল্য বা তামাশা বা ঠাট্টা করিনি। আমি এই টা ই বোঝাতে চেয়েছিলাম অসভ্য গুলি কিভাবে নামাজ কে তাচ্ছিল্য করছিল ।
আল্লাহ কসম হুজুর আমি আমার বন্ধুদের বোঝানোর জন্য কিছুটা অঙ্গভঙ্গি দিতে বুঝিয়েছি। কিন্তু মন থেকে অন্তর থেকে কখনো নামাজ নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করিনি।

 হুজুর আমার মনে হচ্ছে আমি বোঝানোর জন্য অঙ্গভঙ্গি করেদেখিয়ে ছিলাম কিন্তু মনে পড়ছে না। আবার মনে হচ্ছে আমি দেখাই নি। শুধুমাত্র বলেছি ।
আল্লাহ কসম আমি কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি । হুজুর আমার মনেও পড়ছে না আর করলেও বোঝানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বুঝিয়েছি । হুজুর আমার রোগের জন্য এমন মনে হয় । অনেক অনেক পুরনো কথা নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে হুজুর আমি করেছি কি মনে নেই , আর যদি করে থাকি অঙ্গ ভঙ্গি করে বোঝানোর জন্য যদি করে থাকি মন থেকে ঘৃনা করে বন্ধু দের কে বোঝানোর জন্য ই কি রকম ভন্ডামি করছিল সেইটা বোঝানোর জন্য। হুজুর এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে ??

খুবই ভয় হচ্ছে হুজুর ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না । শেষ হয়ে যাবো হুজুর । আমার মনে পড়ছে না আমি সেইরকম করেছি কি না । আর করলে ও আল্লাহ কসম বন্ধুদের বোঝানোর জন্য একটু ভঙ্গিমা টা দেখিয়েছিলাম। আল্লাহ কসম , আমি কোনো তামাশা, বা ঠাট্টা করিনি হুজুর। হুজুর ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না।

৮.আমার বয়স যখন ১২ কি ১৩ হবে , তখন আমার দাদী একটা পীর হুজুর এর কাছে যেত  । আমি কিন্তু কোনো দিন ও কোনো পীর ধরিনি। । আমি তখন ছোট ছিলাম আমাকে ও নিয়ে গিয়েছিল। দিয়ে দাদীরা ওই পীরের পা ধরে ছিল। দুয়া নেওয়ার জন্য আমাকে ও কাছে যেতে বলে , আমিও পা এ হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছিলাম । এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আমি আল্লাহ বিশ্বাসী। দাদীর কথা শুনে শুধু হালকা করে পা এ হাত দিয়েছিলাম আর কিছুনা। আমি আল্লাহর সাতে কোনো শিরিক করিনি । বা তার কাছে কিছু চাইনি। হুজুর খুব ছোট ছিলাম ভয় হচ্ছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?  খুবই ছোট ছিলাম হুজুর তখন। আমি কোথাও সেজদা করিনি । আমি আল্লাহর সাতে কারো তুলনা করিনি । হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে??
আবার মনে হয় হাত এ না পায়ে চুমু দিয়েছি কিন্তু মনে পড়েনা ।আল্লাহ কসম ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে কিন্তু মনে পড়ছে। না। না জেনে না বুঝে হয়েছে বয়স খুব ছোট্ট । হুজুর আমি সেজদা করিনি আল্লাহ কসম । আমার বয়স খুব ছোট ছিল । আল্লাহ কসম ঈমান চলে গেলে শেষ হয়ে যাবো
কিন্তু আমার বিশ্বাস চুমু দেইনি।  আমি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সেজদা করিনি। হুজুর খুব ছোট ছিলাম । । তাদের খাবার ও খেয়েছি । তার জন্য কি ঈমান চলে যাবে??

৯. আগে জানতাম না আল্লাহ ছাড়া আর কারো নামে কসম করা জাই না সেটা। যেদিন থেকে জেনেছি আল্লাহর নামে কসম করেছি না জেনে ভুল হয়েছে! হুজুর এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে?

৯.১ আমার স্ত্রী কে আমি অনেক বার আল্লাহ  কসম করে কথা দিয়েছি যে islamic fatwa তে প্রশ্ন করবনা । কিন্তু ওয়াসওয়াসা র জন্য আবার প্রশ্ন করেছি এর জন্য কসম ভেঙে গিয়েছে।
এর জন্য কি বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো ক্ষতি হবে?? খবু চিন্তা হচ্ছে হুজুর।
আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী ও মানসিক রুগী।
*** হুজুর এইগুলো অনেক আগের কথা৬,৭,৮ নম্বর প্রশ্ন , বিয়ের আগের কথা। কিছু দিন হল বিয়ে করেছি হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো ?? কিছু দিন হল বিয়ে করেছি.

৯.২ . আমার স্ত্রী র সঙ্গে আমার কিছু ভাবনা একদমই মিলে না। তাই আমার স্ত্রী বলছে তোমার আমার ভাবনা আলাদা। আমি ও বলেছি সত্যিই তোমার আমার ভাবনা আলাদা। সঙ্গে সঙ্গে ভয় হয়ে জাই যে কেনিয়া তালাক হয়ে যাবে নাকি ? যখন কথাটা বলি একটু রেগে বলছি কিন্তু তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না। এর জন্য তালাক হবে নাকি খুব ভয় হচ্ছে?

৯.৩. আমি ভীষন মানসিক রুগী ওষধ খাচ্ছি। মানসিক রোগীর ওয়াসওয়াসা প্রচুর। তার স্ত্রীর সব কথা ধরি এর বলি কিছু হবে নাকি? ভয় লাগে খুব। তাই স্ত্রী রেগে গিয়ে বলে আমার কি কথা বলার কোনো স্বাধীনতা নেই। আমি বললাম অবশ্যই আছে। বউ বলে তাহলে এত কথা ধরো কেন? এর জন্য কি কেনিয়া তালাক হবে?
৯.৪. একদিন স্ত্রীর সঙ্গে একটু ঝামেলা হচ্ছিলো , আমি ঝামেলা বন্ধ করার জন্য বললাম তুমি অন্য রুম এ যাও।
আর একদিন ঝামেলা হয়ে ছিল বলেছিলাম তোমার মুখ দেখলেই রাগ হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ কসম কোনো তালাকের নিয়ত ছিলো না। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?

৯.৫.এমন  কিছু কথা হয়ত আমি বলেছি কেনিয়া বাক্য কিন্তু নিয়ত ছিল না তালাকের। আর সেই সব কথা মনে নেই ।
কেনিয়া কথা বলেছি আমার মনে নেই স্ত্রী র ও মনে নেই সেই ক্ষেত্রে কি তালাক হবে? কিন্তু নিয়ত ছিল না।
আর জানতে চাইছি নিয়ত থাকলে ও যদি মনে না থাকে কি বলেছি স্ত্রীর ও আমার দুজনের মনে নেই তাহলে কি তালাক হবে?
৯.৬. শশুর শাশুড়ি র ওপর রেগে , স্ত্রী কে যদি বলা হয় যাবনা আর তোমাদের বাড়ি, আল্লাহ কসম যাবনা। হারাম তোমার বাপের  বাড়ির মাটি (আস্তাগিরুল্লাহ) রেগে বলেছি কোনো তালাকের নিয়ত ছিল না । এই কথা গুলো শশুর শাশুড়ী এর ওপর রাগে বলা হলে। স্ত্রীর ওপর কোনো রাগ নেই। আর এই সব কথা বলতে গিয়ে কেনিয়া তালকের কোনো নিয়ত ছিল না। তালাকের কোনো নিয়ত ই ছিল না আল্লাহ কসম। দিয়ে আবার শশুর বাড়ী গিয়ে সব রাগ মিটিয়ে নিয়ে ভালো করে সম্পর্ক করে ঠিক থাক আছে। রাগে বলার সময় কোনো তালাকের নিয়ত ছিল না।
এর জন্য কি তালাক হবে ?
৯.৭. একদিন স্ত্রী আমার ফোন নাড়ছিল , দিয়ে আমি বললাম আমার ফোন দাও , স্ত্রী বললো তুমি আমার ফোন টা দেখো। আমি নরমালি বললাম আমি পরের ফোন দেখবনা।
হুজুর নরমালি পর কথা টা বলেছি। কোনো তালাকের নিয়ত ছিল না । একদম নরমালি বলেছি । পর বলার জন্য কি কিছু হবে?
****সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?? খুব ভয় হচ্ছে । ঠিক আছে তো হুজুর?
by (3 points)
৬ , ৭., ৮,, নম্বর প্রশ্ন এডিট করেছি দয়া করে উত্তর দিবেন 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
আল্লাহকে নিয়ে,রাসুলুল্লাহ সাঃ কে নিয়ে, শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
উপরোক্ত প্রশ্নের সমস্ত বিবরণ মতে একথা স্পষ্ট আকারে প্রতিয়মান হয় যে এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে,সমস্যা নেই।
কোনো তালাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...