আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

১.আসসালামু আলাইকুম শায়েখ মেয়ে দেখতে এসে ছেলের বাবা মেয়ের মাকে বেয়ান ডেকেছিল বলে সেই মেয়ের ওয়াসওয়াসা হয়। তার মাকে সে ছেলের বাবা বেয়ান বলে ডাকছিল তা জানায় কিন্তু সে শুনতে পায়নি। পরে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হয়। এখন মনে হয় বেয়ান না বোন বলছিল এটাই শিওর। বোন কেমন আছেন এমন ভাবে কথা বলছিল। কিন্তু মেয়ের মা বলছে যাওয়ার সময় ছেলের বাবা বেয়ান ও ডাকে নাই বোন ও ডাকে নাই। মেয়ের মা তো শোনে নাই এগুলো কিছুই তাই সম্মতিসূচক ও কিছু বলে নাই। এটা মেয়ে দেখছিল যে ছেলে পক্ষ যাওয়ার সময় মেয়ের মা কিছুই বলে নাই। লোকজনও ছিল অনেক। আর মেয়েও শিওর বেয়ান ডাকেই নাই কিছু ই ডাকে নাই।  বোন বলছিল যে বোন কেমন আছেন এভাবে । যাওয়ার সময় তারা কিছু বলেও নাই মেয়ের মা উত্তর ও দেয় নাই শেনেও নাই এটাও শিওর। লোকজন থাকলে এবং লোকজন ও বেয়ান/ বেয়াই ডাক শুনলে এরকম একে অপরকে বেয়াই / বেয়ান ডাকলে কোন ইজাব কবুল হয়?

২. এমন কিছু হয় নাই তাই এমন প্রশ্ন করলে কি কোন সম্যসা হবে মেয়ে বর্তমান অন্য যে ছেলের সাথে বিয়ে হইছে তার সংসারে?https://ifatwa.info/58275/ এই লিংকের ৫ নং প্রশ্ন এই ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত ছিল।

৩.https://ifatwa.info/68564/ এবং এই লিংকের https://ifatwa.info/68534/ প্রশ্নে একটা জিনিস মেয়েটা লিখতে ভুলে গেছিল সেটা হচ্ছে মেয়েটা এমন কিছু ই হয় নাই আমার খালাতো বোনের সাথে এটা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে এমনটা তো হইছে বলেফেলছিল আর ওর নিজের প্রশ্ন ও খালাতো বোনের নামে করছিল। আর এখন অন্য একটা ছেলের সাথে ও র বিয়ে হইছে। ওর বিবাহিত জীবন তো শুদ্ধ তাই তো শায়েখ? 

৪.প্রশ্ন গুলো দয়া করে https://ifatwa.info/40283/ এই লিংকে আপনার ৩ নং কমেন্ট আর আপনার কমেন্ট এই লিংক https://ifatwa.info/40336/ উত্তর  অনুযায়ী তো কোন সম্যসা নাই ঐ মেয়ের সংসারে তাই তো শায়েখ? তার বিবাহিত জীবন তো শুদ্ধ তাই তো শায়েখ? 

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে শুধুমাত্র এভাবে বেয়ান বলে ডাকলে সেখানে হাজারো মানুষ থাকলেও বিয়ে হয় না।
বিবাহের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী বা তাদের উকিলের পক্ষ হতে ইজাব কবুল হতে হবে।
,
আর সেই  ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখানে ইজাব কবুল হয়নি।

(০২)
এমন প্রশ্ন করলে কোন সম্যসা হবেনা।
মেয়ে বর্তমান অন্য যে ছেলের সাথে বিয়ে হইছে তার সংসারে এমন প্রশ্ন করার দরুন কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, ওর বিবাহিত জীবন শুদ্ধ  

(০৪)
হ্যাঁ, ঐ মেয়ের সংসারে কোনো সমস্যা নেই। তার বিবাহিত জীবন শুদ্ধ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...