হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ مِنْ إِقَامَةِ الصَّلاَةِ
‘তোমরা কাতার সোজা কর, কেননা কাতার সোজা করা সালাত প্রতিষ্ঠার অন্তর্ভুক্ত।’
(মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০৮৭, ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ ২৪)।
আবু মাসঊদ আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাতের শুরুতে আমাদের কাঁধগুলিতে হাত দিয়ে পরস্পরে মিলিয়ে দিতেন এবং বলতেন,
اسْتَوُوا وَلاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ
‘তোমরা কাতার সোজা কর,বিভক্ত হয়ে দাঁড়িয়ো না। তাতে তোমাদের অন্তরগুলি বিভক্ত হয়ে যাবে।’
(মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০৮৮, ‘কাতার সোজা করা’ অনুচ্ছেদ ২৪)
আনাস (রাঃ) বলেন,
وَكَانَ أَحَدُنَا يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَ قَدَمَهُ بِقَدَمِهِ
‘আমাদের মধ্য থেকে একজন পরস্পরের কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে দিতেন।’
সাহাবী নুমান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন,
فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَةِ صَاحِبِهِ وَكَعْبَهُ بِكَعْبِهِ
‘অতঃপর দেখলাম যে, একজন ব্যক্তি মুসল্লীদের পরস্পরের কাঁধে কাঁধ, হাঁটুতে হাঁটু ও গোড়ালিতে গোড়ালি মিলিয়ে দিচ্ছেন।'(আবুদাঊদ হা/৬৬২ ‘সালাত’ অধ্যায়-২, অনুচ্ছেদ-৯৪)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
জায়নামাজ বলা হয়, নামাজের সময় মেঝেতে ব্যবহার করার বিশেষ বিছানা বা গালিচাকে। যার ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া হয়। নামাজে জায়নামাজ বিছানো বাধ্যতামূলক কোনো কাজ নয়। নামাজের স্থানে ধুলোবালি বা ময়লা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য এর ব্যবহার হয়ে থাকে।
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু মসজিদে কোন প্রকারের নোংরা থাকে না, বা মসজিদের নিজস্ব কার্পেট বিছানো থাকে।
সুতরাং এক্ষেত্রে বিনা ওযরে জায়নামাজ নিয়ে যাওয়াকে কেউ কেউ বিলাসিতার নামান্তর বলেছেন।
বাড়ী থেকে জায়নামাজ বহন করে নিয়ে গিয়ে সে জায়নামাজে নামাজ পড়ার কোন বিশেষ ফজিলত নেই।
তাই কাতারে গ্যাপ থাকা সহ বিবিধ সমস্যা থাকায় (মসজিদে মানসম্মত কার্পেট বিছানো থাকলে) বিনা ওযর মসজিদে জায়নামাজ না নিয়ে যাওয়াই বাঞ্চনীয়।