আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

প্রশ্ন ১) কোন ব্যাক্তি জিহার সম্বন্ধে নতুন জানার পর যখন সন্দেহ করে তার দারা পূর্বে কখনো জিহার হয়েছে কিনা তখন সন্দিহানহয়ে পড়ে। এবং সতর্কতা মূলক কাফফরা আদায়ের চিন্তা ও করে।  কিন্তু কাফফরা আদায় করার পূর্বেই তাদের মিলনের ফলে তারস্ত্রী প্রেগন্যান্ট হয়।যদি কোনভাবে অতিতে জিহার হয়ে থাকে ( যথেষ্ট সন্দেহ আছে ) তাহলে আল্লাহ যেই সন্তান দান করবেন তা কি হালাল হবে?  এখনতাদের করনিয় কি? এই সন্দেহের কারনে যে জিহার হয়েছে  নাকি হয়নি  এই বিষয়ের সমাধান কি ?

প্রশ্ন ২ ) আগের মত ভালোবাসা স্ত্রীর মনে কি এখনো আছে সেটা জানার জন্যে অথবা বুঝার জন্য স্ত্রীকে কেউ যদি  জিজ্ঞেস করে
" তুমি কি এখন আর আমাকে ভালোবাসো না? আমাকে কি এখন আর তুমি পছন্দ করনা? তুমি কি আমাকে এভয়েড করছো / অথবা তুমি আমাকে কেন এভয়েড করছো " উত্তরে যদি স্ত্রী বলে "আমি আপনাকে অবশ্যই পছন্দ করি ,ভালোবাসি, আমিআপনাকে কেন এভয়েড করবো? " তাদের এরুপ কথার কারনে কোন সমস্যা হবে কি? অন্য কোন নিয়তে এসব কথা বলা হয়নি। শুধু একটাই কারন ,স্ত্রী কি তাকে আগের মত ভালোবাসে কিনা সেটা বুঝার জন্য এমন কথা জিজ্ঞেস করে।

প্রশ্ন ৩) এ পর্যন্ত **** সংক্রান্ত যত প্রশ্ন করেছি( একটু বুঝে নিবেন দয়া করে)। আলহামদুলিল্লাহ সব সময় উত্তর ভালো পেয়েছিআল্লাহ তায়ালা সব সময় সুসংবাদ ই দিয়েছেন। কোনদিন খারাপ কোন উত্তর পাইনি। কিন্তু ওসিডি আক্রান্ত হওয়ার কারনে মনেশুধু সংশয় কাজ করে। মনটা কেমন অস্তির হয়ে পড়ে। মনে হয় আবারো প্রশ্ন করি। আগেরবার মনে হয় ঠিকমত প্রশ্ন করতেপারিনি বা বুঝিয়ে বলতে পারিনি।মুফতি সাহেব আমার প্রশ্নটা মনে হয় ঠিক মত বুঝতে পারেন নি। আমি মনে হয় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছি। আমি কখনো আমার জানা অবস্থায় মিথ্যার আশ্রয়  নেইনি। যতটুকু আমার দারা সম্ভব প্রশ্ন করা ততটুকু জানানোর চেষ্টা করেছি। সারাটাদিন শুধু মাথায় একই চিন্তা ঘুড়ে। OCD এর জন্য অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি।  এখন আমার করনিয় কি?

প্রশ্ন ৪) কেউ যদি **** সংক্রান্ত মাসলা মাসায়েল জানার জন্য কি প্রশ্ন করবে  সেটা খাতায় লিখে। এবং উত্তর পাওয়ার পর প্রশ্নের ব গুলো আবারো খাতায় লিখে এবং যেগুলোর সমাধান পেয়েছে সেগুলো খাতা থেকে কেটে দেয়। এরুপ করার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা। ( লেখার সময় সেই শব্দটা কিন্তু  কিন্তু পুরোপুরি লিখতো না যেমন **** অথবা তা*** এভাবেলিখতো)। এখানে লিখার একটাই কারন যে , ওয়াসওয়াসার রোগী হওয়ায়  যে যে বিষয়ে সন্দিহান সেটার সমাধান যে হয়েছে এবং উত্তর যে  পেয়েছে  সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লিখা। ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য ছিলো না।

প্রশ্ন ৫) একজন জনপ্রিয় লোক ফেসবুকে একটি কুকুরের পেটে শুয়ে একটি গান বা আবৃত্তি করেন

" কোন নারী আমাকে বুকে ঠাই দিলো নারে ,তাইতো আমি কুত্তার বুকে "

মজার ছলে আমিও এইটা ফেসবুকে শেয়ার করি । এবং মজার ছলে বন্ধু বান্ধব বাসায় ছোট ভাই বোনদের সামনে মজা করে বলতাম। আমার ভিন্ন কোন উদ্দেশ্যে ছিলো না এবং মনে কোন নিয়ত ও থাকতো না ।একথা বলার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা ?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু জিহার সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে মনে কিছুই আসছে না, তাই জিহার হয়নি। এবং সন্তান হারাম হবে না।

(২)
এদ্বারাও কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
আপনি ভালো চিকিৎসা গ্রহণ করুন।আল্লাহ আপনাকে শেফা দান করুক।আমীন।

(৪)
কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
সমস্যা হবে না।তবে অনর্থক কথাবার্তা আর কখনো বলবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...