আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
1
আমি এক আহলে হাদীস মসজিদে নামাজ পড়ি মাঝেমাঝে,উনারাত ১ম রলো ৩য় রাকাত৩ সিজদা থেকে উঠার আগে একটু বসে তাই আমরা যারা এইটা হানাফী নিয়মে করি তখন দেখা গেল অনভ্যস্ততার দরুন সম্পূর্ণ রুপে দাড়াই যাই ইমামের আগেই,যেহেতু ইমাম একটু বসে।আমার ক্ষেত্রে আমি খেয়াল রাখি,দেরি করে সিজদা থেকে উঠে যাই। আবার অনেক সময় ভুলে গেলে  যদি উঠতে উঠতে  মনে পড়ে তখন সিজদা এবং দাড়ানোর মাঝামাঝি অবস্থায় একটু অয়েট করি যাতে ইমাম উঠে যায়। আবার অনেক সময় উঠতে উঠতে মনে পড়লেও ডিরেক্ট উঠেই যাই।সেক্ষেত্রে পূর্ন ভাবে দাঁড়ানো হয় ইমামের আগেই।
আমার প্রশ্ন শেষোক্ত ক্ষেত্রে উঠতে উঠতে মনে পড়ার পরেও দাড়াই গেলে নামাজ হবে কি.

2, একাকি নামাজে তাড়াহুরো করার কারণে কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিলে হবে না নতুন করে পড়তে হবে।

৩, একাকি নামাজে অন্যমনস্ক বা অন্য চিন্তা করার ফলে (ইচ্ছাক্রিত অন্য চিন্তা বা অনিচ্ছাক্রিত উভয় ক্ষেত্রেই) ওয়াজিব ছুটে গেলে যেমন দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে না বসা। তাহলে কি সাহু সিজদা দিলে হবে

4, রোযা অবস্থায় বমি বমি ভাব হলে মুখের মধ্যে তিক্ত লালা তৈরি হয়।তা খেয়ে ফেললে রোযা ভাংগবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
নামাযের প্রত্যেক রুকনেই মুকতাদির জন্য ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব। ইমামের আগে মুকতাদির রুকু বা সিজদায় চলে যাওয়া কিংবা ইমামের আগেই মুকতাদির দাঁড়িয়ে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী।

কেননা ইমামের অনুসরণ করা মুসল্লীর উপর আবশ্যক। 
(আলমুহীতুল বুরহানী ২/১১৮; রদ্দুল মুহতার ১/৫৯৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৭৭.ফাতহুল কাদীর ১/৪২০)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,

إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا

‘ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন রুকু করেন তখন তোমরাও রুকু করবে। যখন তিনি উঠেন তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ  বলেন, তখন তোমরা رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ  বলবে এবং তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৩৩]

সহীহ বুখারীতে এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের মাঝে যে ইমামের আগে মাথা উঠিয়ে ফেলে সি কি ভয় করে না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মতো অথবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতি বানিয়ে দিবেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৯১)

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমরা রুকু করবে, যখন ইমাম রুকু থেকে মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪১২)

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ইমামের আগেই দাড়িয়ে গেলেও যেহেতু ইমামের সাথে ৩য় রাকাতের কিয়াম করেছেন,ইমামের সাথেই রুকুতে গিয়েছেন ,তাই আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। তবে আপনার উক্ত কাজটি মাকরূহে তাহরীমি হয়েছে।

(০২)
এক্ষেত্রে অনিচ্ছায় এমনটি হলে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 
আর ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব ছুটে গেলে পুনরায় সেই নামাজ আদায় করবেন।

(০৩)
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবে। 
তবে আপনি যেই ছুরতের কথা প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন (দুই সেজদার মাঝে ধীর স্থীরতার সহিত বসা) ,এখানে তা'দিলে আরকান ছুটে গিয়েছে।
যদিও এটি ওয়াজিব।
তদুপরি এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা। 

(০৪)
এই লালা যদি গলা থেকে উপরে উঠে এসে থাকে,সেক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত লালা গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

আর যদি সেটি গলা থেকে না আসে,এমনিতেই মুখের লালা ই তিক্ত হয়,যাহা আগে থেকেই মুখের মধ্যেই ছিলো,গলা হতে আসেনি,তাহলে এক্ষেত্রে এটি গিলে ফেলার দরুন রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...