وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাযের প্রত্যেক রুকনেই মুকতাদির জন্য ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব। ইমামের আগে মুকতাদির রুকু বা সিজদায় চলে যাওয়া কিংবা ইমামের আগেই মুকতাদির দাঁড়িয়ে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী।
কেননা ইমামের অনুসরণ করা মুসল্লীর উপর আবশ্যক।
(আলমুহীতুল বুরহানী ২/১১৮; রদ্দুল মুহতার ১/৫৯৫; আলবাহরুর রায়েক ২/৭৭.ফাতহুল কাদীর ১/৪২০)
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا
‘ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন রুকু করেন তখন তোমরাও রুকু করবে। যখন তিনি উঠেন তখন তোমরাও উঠবে। তিনি যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে এবং তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৩৩]
সহীহ বুখারীতে এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের মাঝে যে ইমামের আগে মাথা উঠিয়ে ফেলে সি কি ভয় করে না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মতো অথবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতি বানিয়ে দিবেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৯১)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমরা রুকু করবে, যখন ইমাম রুকু থেকে মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪১২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ইমামের আগেই দাড়িয়ে গেলেও যেহেতু ইমামের সাথে ৩য় রাকাতের কিয়াম করেছেন,ইমামের সাথেই রুকুতে গিয়েছেন ,তাই আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। তবে আপনার উক্ত কাজটি মাকরূহে তাহরীমি হয়েছে।
তবে আপনি যেই ছুরতের কথা প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন (দুই সেজদার মাঝে ধীর স্থীরতার সহিত বসা) ,এখানে তা'দিলে আরকান ছুটে গিয়েছে।
এই লালা যদি গলা থেকে উপরে উঠে এসে থাকে,সেক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত লালা গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
আর যদি সেটি গলা থেকে না আসে,এমনিতেই মুখের লালা ই তিক্ত হয়,যাহা আগে থেকেই মুখের মধ্যেই ছিলো,গলা হতে আসেনি,তাহলে এক্ষেত্রে এটি গিলে ফেলার দরুন রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।