ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ﺃﺧﺒﺮﻧﺎﻩ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺃﻧﺒﺄ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﻟﻔﺴﻮﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻠﺆﻟﺆﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﺛﻨﺎ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺩﺍﻭﺩ ﺃﻧﺒﺄ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ ﺃﻧﺒﺄ ﺣﻴﻮﺓ ﺑﻦ ﺷﺮﻳﺢ ﻋﻦ ﺳﺎﻟﻢ ﺑﻦ ﻏﻴﻼﻥ ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺒﻴﺐ : ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻣﺮﺃﺗﻴﻦ ﺗﺼﻠﻴﺎﻥ ﻓﻘﺎﻝ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪﺗﻤﺎ ﻓﻀﻤﺎ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻠﺤﻢ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻟﻴﺴﺖ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﺮﺟﻞ ( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ﻟﻠﺒﻴﻬﻘﻰ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻴﺾ،ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻠﻤﺮﺃﺓ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺘﺠﺎﻓﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ﻭﺍﻟﺴﺠﻮﺩ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3016- )
তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “আওনুল বারী” (১/৫২০) তে লিখেছেন-“উল্লেখিত হাদিসটি সকল ইমামদের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসেবে পেশ করায় যোগ্য”।
মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আমীর ইয়ামানী “সুবুলুস সালাম” শরহু বুলুগিল মারাম” গ্রন্থে (১/৩৫১-৩৫২) এই হাদিসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে পুরুষ ও মহিলার সেজদার পার্থক্য করেছেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নবীজী (সা.) কুকুরের মতো জমিনে হাত বিছিয়ে দিতে নিষেধ করেছেন। এদের পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য।
(২)
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أُمِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْضَاءٍ، وَلاَ يَكُفَّ شَعَرًا وَلاَ ثَوْبًا الْجَبْهَةِ وَالْيَدَيْنِ وَالرُّكْبَتَيْنِ وَالرِّجْلَيْنِ.
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতটি অঙ্গের দ্বারা সিজদা্ করতে এবং চুল ও কাপড় না গুটাতে নির্দেশিত হয়েছিলেন। (অঙ্গ সাতটি হল) কপাল দু’ হাত, দু’ হাঁটু ও দু’ পা। (সহীহ বোখারী-৮০৯ মুসলিম ৪৩/৪৪, হাঃ ৪৯০, আহমাদ ২৫৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৭২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলারা যখন সেজদা দেওয়ার জন্য বসবে,তখন বাম পায়ের উপর ডান পাকে এমনভাবে রাখতে হবে যে, উভয় পায়ের আঙ্গুল জমিনে স্পর্শ করবে।
(৩)
নাক স্পর্শ না করলেও সিজদা হয়ে যাবে।তবে নাককে স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে।
(৪)
وكان الأولى للشارح أن يقول ولو منفردة؛ لأن جماعتهن الآن غير مشروعة فتفطن.
মুসান্নিফ রাহ সম্ভব বলতে চাচ্ছেন,নারীরা একাকী নামায পড়লেও তাদের জন্য আযান-ইকামত সুন্নত নয় কেননা বর্তমানে ফিতনার আশংকার দরুণ তাদের জামাত অনুমোদিত নয়।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৯১)
مرعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح (2/ 377):
"و عن أنس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((لايرد الدعاء بين الأذان والإقامة)) رواه أبوداود، و الترمذي."
شرح رياض الصالحين (5/ 37):
"و الدعاء بين الأذان و الإقامة لايرد."
مرعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح (2/ 368):
"قال المظهر: إنما حرض عليه السلام أمته على صلاة النفل بين الأذانين؛ لأنّ الدعاء لايردّ بين الأذان والإقامة لشرف ذلك الوقت."
سبل السلام (1/ 195):
"[الدعاء بين الأذان والإقامة لايرد]
[وعن " أنس " قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لايردّ الدعاء بين الأذان و الإقامة». رواه النسائي و صحّحه ابن خزيمة و الحديث مرفوع في سنن أبي داود أيضًا، و لفظه هكذا عن " أنس بن مالك " قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لايردّ الدعاء بين الأذان والإقامة». قال المنذري: و أخرجه الترمذي و النسائي في عمل اليوم و الليلة. و الحديث دليل على قبول الدعاء في هذه المواطن؛ إذ عدم الرد يراد به القبول و الإجابة، ثمّ هو عام لكل دعاء، و لا بدّ من تقييده بما في الأحاديث غيره، من أنه ما لم يكن دعا بإثم أو قطيعة رحم. هذا وقد ورد تعيين أدعية تقال بعد الأذان، وهو ما بين الأذان والإقامة: أن يقول: «رضيت بالله ربًّا وبالإسلام دينًا وبمحمد رسولًا قال صلى الله عليه وآله وسلم: إن من قال ذلك غفر له ذنبه» : أن يصلي على النبي صلى الله تعالى عليه و آله وسلم بعد فراغه من إجابة المؤذن، قال ابن القيم في الهدي: أكمل ما يصلى به ويصلى إليه كما علم أمته أن يصلوا عليه."
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ফিতনার দরুণ মহিলাদের জামাত নেই, তাই মহিলারা আযানের পর পরই দু'আ করে নিবে।
দারুল ইফতা বিন্নুরী টাউন এর একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
فتوی نمبر : 144212202165
احادیثِ مقدسہ کے ذخیرہ سے معلوم ہوتا ہے کہ اذان اور اقامت کے درمیان کے اوقات میں دعا رد نہیں ہوتی، جیسا کہ آپ نے سوال میں ذکر کیا ہے، اب خواتین چوں کہ گھروں میں تنہا نماز پڑھتی ہیں اور اُن کے لیے اقامت کا حکم نہیں ہے تو اُن کو چاہیے کہ اذان کے فورًا بعد دعا کا اہتمام کر لیا کریں؛ کیوں کہ محدثین نے لکھا ہے کہ اس وقت دعا کا رد نہ ہونا اس وقت کی عظمت و شرافت کی وجہ سے ہے اور اس وقت کی عظمت عورتوں کے حق میں بھی موجود ہے، اس لیے باری تعالیٰ کی ذات سے قوی امید ہے کہ وہ اذان کے بعد جو دعا کریں گی ، وہ رد نہیں ہو گی۔
(৫)
আযানের পর পবিত্রতা অর্জন করে সুন্নতে কাবালিয়্যাহ থাকলে সেগুলো আদায় করে ফরয নামায পড়তে যতটুকু সময়ের প্রয়োজন, ততটুকু সময়ের ভিতরেই দু'আ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সর্বোত্তম ও সতর্কতামূলক অবস্থান হল, আযানের সাথে সাথেই দু'আ করে নেয়া।
(৬)
প্রত্যেক ওয়াক্তে একই নয় বরং সুন্নতে কাবালিয়্যাহ থাকা না থাকা নিয়ে সময়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য হবে।