বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মারাক্বিল ফালাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
ولا بد من زوال ما يمنع من وصول الماء للجسد كشمع وعجين
শরীরে পানি পৌছতে বাধা দানকারী জিনিষ শরীর থেকে পৃথক রাখতে হবে।যেমন- মোম,বা মাখানো আটা।(মারাক্বিল ফালাহ-১/৪৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1024
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চোখে সুরমা থাকা অবস্থায় কি ওযু হবে? এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, সুরমার পানি প্রতিবন্ধক কি না? সেটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। তবে সাধারণত সুরমা পানি প্রতিবন্ধক হয় না। এজন্য কোনো হাদীস স্পষ্টত সুরমাকে অজু প্রতিবন্ধক হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়নি।
(২)
রমজানে কুর'আন খতমের জন্য প্রথম মানে সুরা ফাতিহা, বাকারাহ থেকে না পড়ে যদি সূরা নাস থেকে পড়ে পড়ে সূরা ফাতিহায় এসে শেষ করে, খতম করা হয়, তাহলেও পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে এটা নিয়মের উল্টো। কেননা অারবী গ্রন্থ ডান দিক হতে শুরু হয়।
(৩)
وَجَبَ تَحْرِيكُ الْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ الضَّيِّقَيْنِ وَلَوْ لَمْ يَكُنْ قُرْطٌ فَدَخَلَ الْمَاءُ الثَّقْبَ عِنْدَ مُرُورِهِ أَجْزَأَهُ وَإِلَّا أَدْخَلَهُ وَلَا يَتَكَلَّفُ فِي إدْخَالِ شَيْءٍ سِوَى الْمَاءِ مِنْ خَشَبٍ وَنَحْوِهِ. كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
আটালো নাকফুল এবং আংটিকে নাড়ানো ওয়াজিব। যদি নাকে কোনো নাকফুল না থাকে, বরং শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র থাকে, এবং নাকের ঐ ছিদ্রে কোনো ভাবে পানি পৌছে যায়, তাহলে তা ফরয গোসল এবং অজুর জন্য যথেষ্ট। পানি ব্যতিত অন্যকোনো জিনিষ যেমন শলা ইত্যাদি নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে পানি পৌছানো জরুরী নয়। (বাহরুর রায়েক)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৯, জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৮৯,জাদীদ মাসাঈল-৯৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কানের দুলের ভিতর নামাজে/গোসলে ওযুর পানি প্রবেশ করাতে হবে।এবং করানো ওয়াজিব।