ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَلَوْ قَالَتْ أَنَا طَالِقٌ فَقَالَ نَعَمْ طَلُقَتْ وَلَوْ قَالَهُ فِي جَوَابِ طَلِّقْنِي لَا تَطْلُقُ وَإِنْ نَوَى قِيلَ لِرَجُلٍ أَلَسْت طَلَّقْت امْرَأَتَك فَقَالَ بَلَى تَطْلُقُ كَأَنَّهُ قَالَ طَلَّقْت لِأَنَّهُ جَوَابُ الِاسْتِفْهَامِ بِالْإِثْبَاتِ وَلَوْ قَالَ نَعَمْ لَا تَطْلُقُ لِأَنَّهُ جَوَابُ الِاسْتِفْهَامِ بِالنَّفْيِ كَأَنَّهُ قَالَ مَا طَلَّقْت كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ-
যদি স্ত্রী বলে, আমি তালাক প্রাপ্ত, এর প্রতিউত্তরে স্বামী যদি বলে, না'আম তথা হ্যা, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।কিন্তু স্ত্রীর তালাক চাওয়ার জবাবে যদি স্বামী না'আম তথা 'হ্যা' বলে, তাহলে স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলেও তালাক হবে না। একজন স্বামীকে জিজ্ঞাসা করা হল, তুমি কি তোমার স্ত্রীকে তালাক দাওনি, স্বামী যদি প্রতিউত্তরে বলে, 'বালা' (যারা মর্মার্থ হল, প্রশ্নের হ্যা বাচক উত্তর) সেজন্য বালা শব্দ বলার দ্বারা তালাক পতিত হয়ে যাবে।কিন্তু যদি স্বামী 'না'আম' শব্দ বলে, (যারা মর্মার্থ হল, প্রশ্নের না বাচক উত্তর) তাহলে তালাক হবে না।কেননা, না'আম শব্দ বলার কারণে অর্থ হবে, আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দেইনি।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৫৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত আলোচনায় মূলত بَلى এবং نعم শব্দের পার্থক্য কে বুঝানো হয়েছে। بَلى শব্দটি প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ের হ্যা বাচক বিষয় বুঝায়। তবে نعم শব্দটি প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়কে না বাচক হিসেবে বুঝায়। সুতরাং এরাবিক গ্রামারের আলোকে 'আমাকে তালাক দাও' এর জবাবে نعم শব্দটি না বাচক অর্থ প্রদাণ করে, বিধায় এদ্বারা তালাক পতিত হবে না।