অনেক দিন থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য। স্ত্রী স্বামীর কাছে ডিভোর্স চেয়ে আসছিলেন কিন্তু স্বামী কাবিননামার শর্ত ভঙ্গ করেননি।সম্ভবত দেশের প্রায় সব কাবিন যেমন থাকে যে স্বামী এমন এমন হলে বা এমন করলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে কিন্তু স্বামীর এরূপ কোনো কিছু ছিলো না তাও স্ত্রী ডিভোর্স চেয়ে আসছিলেন। স্ত্রীর মতে যদিও উনি কষ্টে, রাগে, দুঃখে ক্ষোভ নিয়ে মেসেজ করার মাধ্যমে চাইতেন স্বামীর কাছে মন থেকে নাকি চাইতেন না।তবে ফোনে বা অডিওতে কখনও এরূপ কিছু স্বামীর কাছে চাননি। স্বামীর সাথে কথা বলতে ফোনে স্ত্রীর জড়তা কাজ করত এটা নিজেই বলেছেন সংকোচ হতো।ফোনে ওনাদের তেমন কথাও হত না।প্রথমে স্বামী অনেক ফোন করলেও স্ত্রী এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন।কথা হতো মাঝে মাঝে। স্বামীর সাথে সংকোচের কারণে বেশি কথা বলতে চাইতেন না ফোনে।রিসিভ করতেন না ফোন।মেসেজে স্বামীকে বলেছিলেন এত ফোন করবেন না বা এত ফোন কেন করেন।তবে শেষের দিকের কলগুলো স্ত্রী তাদের সম্পর্ক হয়তো কন্টিনিউ হবে না বলেই কষ্টে রিসিভ করতেন না।স্বামীর পরিবারের সদস্যরা মা বাবা বোন কল করলেও শেষের দিকে এজন্য নাকি রিসিভ করতেন না।কারণ একেই স্বামীর কাছে ডিভোর্স চেয়ে আসছিলেন। ওনাদের ফোন রিসিভ করে কি বলবেন ওনাদেরকে।ওনাদেরকে এসব কিছু বলতে পারবেন না বা ওনাদের সামনে দাড়াতে পারবেন না এজন্য কল রিসিভ করতেন না। স্বামীর মা বাবা স্ত্রী কে দেখতে স্ত্রীদের বাসায় আসতেন। মনোমালিন্য চলাকালীন সময়ে স্বামীর বাবা মার সামনে স্ত্রী কিছু না বললেও তাদের সামনে ভালো থাকলেও স্বামীকে মেসেজে লিখেছিলেন আমি বলতে চাইছি আপনি আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠালে আমি সাইন করে দিব। এভাবে মা বাবা আমাকে নিজেদের মেয়ে আর বৌ এর মত ট্রিট করবেন আর আমার পরিবারও ওনাদের সেভাবে ট্রিট করবেন আমার বিষয়টা ভালো লাগছে না। স্বামীকে আরও বলতেন আমার সাথে নন মাহরামের মত আচরণ করবেন। ফোন করবেন না।বিয়ের পর কিছু সময় ওনাদের যে সাক্ষাৎ হয়েছিলো সে সময় স্ত্রী স্বামীকে বলেছিলেন আমাকে বিয়ে করলেন সাইন করতে একটুও দ্বিধা হয়নি তাইনা। স্বামী বলেন দ্বিধা হবে কেন আমি ইস্তেখারা করে বিয়ে করছি। উল্লেখ্য বিয়ের আগের পাত্র পাত্রীর কথাবার্তায় স্ত্রী স্বামীকে বলেছিলেন ওনার নাকি বিয়ে করতে ভালো লাগে না। সংসার এগুলা কেমন যেন লাগে। উনি সাংসারিক মেয়ে না। তবে ওনার বই পড়তে খুব ভালো লাগে।এমন যদি হতো এই সংসার এগুলো কিছু করা না লাগত অনেক বই পড়ে ইবাদত করে কাটাই দেয়া যেত। স্বামীকে আরও বলেছিলেন ওনার ইচ্ছে ছিল ওমরা করে বিয়ে করার। বিয়ে যদি একান্ত বাধ্য হয়ে করাই লাগে আল্লাহর জন্য করবেন শুধু দ্বীনের জন্য। আল্লাহর কাছে চাবেন ওমরায় গিয়ে বরকে।কিন্তু এ ইচ্ছে টা বাবা মাকে বলেননি এটাও স্বামীকে বলেন। স্বামী জানতে চান কেন বলেননি। স্ত্রী চুপ থাকেন। স্ত্রী স্বামীকে আরও বলেন আব্বু যখন বলেছিলো আপনি আমার সাথে কথা বলতে চান আমি আব্বুকে বলেছি আমি আপনাকে না বলে দিব।মানে স্ত্রী ইশারা ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেন উনি বিয়ে করতে চান না।তবে স্বামী স্ত্রীকে বলেন আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই। মানে উপদেশ হিসেবে না দ্বীনি ভাই হিসেবে কিছু পরামর্শের মত আরকি।এরপর স্ত্রীকে দ্বীনের কিছু বিষয় নিয়ে বলেন এবং স্ত্রীর কাছে জানতে চান উনি একমত কিনা। স্ত্রী হ্যা বলেন।এর মধ্যে স্ত্রী নিজের থেকেই হটাৎ মহরানা সহ বিয়ে নিয়ে ওনার ইচ্ছে ভাবনা ইত্যাদি আরও কিছু কথা বলেন।পরবর্তীতে বিয়ের পর স্ত্রী স্বামীকে বলেন আমি আপনাকে পরোক্ষভাবে বলতে চেয়েছিনা বিয়ের আগে আমি চাইনি আপনাকে বিয়ে করতে।তাও কেন বিয়ে করছেন আমাকে। বিয়ের পর স্বল্প সময়ের ওনাদের পারস্পরিক সাক্ষাৎ এ স্বামীকে বলেছিলেন আমার জন্য আমাকে কি কখনও ছেড়ে দিতে পারবেন ডিভোর্স দিতে পারবেন। তখন স্বামী বলেন আপনি এই ওয়ার্ডটা আর উচ্চারণ করবেন না। স্ত্রী বলেন আমি তো এমনই বললাম আমি জানার জন্য বলতে পারি না। স্বামী বলেন আমি সেলফিস না এটা আমার অহংকারও বলা যায়। তখন স্ত্রী বলেন আপনি অহংকার কেন বললেন এটা যদি আপনার কোনো ভালো গুণ হয় তো আলহামদুলিল্লাহ। অহংকার বলা মানায় না মুসলিমদের। কিন্তু এ প্রসঙ্গটা মনোমালিন্যর সময় স্ত্রী ইচ্ছে করে এনে পরবর্তীতে স্বামীকে বলেন আমি বলেছিলাম না আপনাকে আমার জন্য কখনও আমাকে ছাড়তে পারবেন কিনা এমনিতে না এখন বলতেছি আমার জন্য দ্বীনের জন্য আমি যা চাই তা দিন। আমাকে এই সম্পর্কটা থেকে মুক্তি দিন। যদিও স্ত্রী এখন বলছেন বিয়ের পরদিন এমনিতেই বলি।পরে বিষয়টাকে ইচ্ছে করে টেনে সিরিয়াস ভাবে বোঝাতে চেষ্টা করি।স্বামী বিয়ের আগে স্ত্রীকে মাসনার ব্যাপারে বলেন যে উনি চাইলে উম্মাহর জন্য করার সামর্থ্য রাখেন। স্ত্রী তখন নেগেটিভ কিছু বলেননি মেনে নেন।বিয়ের পরদিন ঐ সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ কারেই স্ত্রী বলেন আচ্ছা আপনি যে বাইরে যাচ্ছেন মাসনা করাতে তাতে কি কোনো সমস্যায় হবে বা আমাদের দেশীয় আইনি। যদিও শরীয়ায় মাসনা করাতে স্ত্রীর অনুমতি লাগে না তাও প্রচলিত আইন অনুযায়ীও যদি অনুমতির প্রয়োজন হয় আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার অনুমতি আছে। আপনি আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী সবকিছু করতে পারেন। স্বামী স্ত্রীকে বলেন আপনি কি হীনমন্যতা ফিল করতেছেন। স্ত্রী বলেন নাহ আমি তো সিরিয়াসলি বলতেছি এমন কি আপনার যদি মনে হয় ব্যালেন্স করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে আমার কাছ থেকে ছাড় পাবেন ইন শা আল্লাহ। আমি বরং আপনাকে সহযোগিতা করব।স্বামী বলেন যেটা বলছিলাম তো বলছিলাম ওটা এখন বাদ। ভালো ভাবনাটা তাকওয়া নিকটবর্তী দৃঢ ঈমানের। আমার বোনও এমন। ওরও এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি নাই। পরবর্তীতে প্রায় স্ত্রী মেসেজে ওনাদের কনভারসনে এই মাসনার ব্যাপারটা তুলতেন যেটা হয়তো স্বামীর পছন্দ হতো না। স্ত্রী বলতেন আপনি কেমন মেয়ে চান মাসনার জন্য। উনি আপনার সাথে থাকবেন আমি এখানে। আপনার জন্য কষ্টকর হলে আমাকে ছেড়ে দিয়েন.. ইত্যাদি ইত্যাদি। মনোমালিন্য চলাকালীন সময়ে এ বিষয়গুলো ভূমিকা রাখে হয়তো। স্ত্রী স্বামীকে নিজেও বলতেন আপনার হয়তো আমার প্রতি খারাপ লাগার বা ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া আমার আপনাকে আসতে বলা, মাসনা করতে বলা আর আপনার কাছে ডিভোর্স চাওয়া.. এগুলোর জন্য। আমি এগুলো একটাও নিজের জন্য চাইনি। দ্বীনের জন্য আর আপনার জন্য চেয়েছি জানবেন। পারিবারিক বিভিন্ন পরিস্থিতি সাপেক্ষে স্ত্রী স্বামীকে অনেক কষ্টকর, অভিযোগ মূলক অনেক কথাও লিখে ফেলতেন যেমন মিথ্যেবাদী, প্রতারক,তাগুতের গোলাম,ভীতু,কাপুরষ, ভালোবাসা মূল্যহীন,পরিবার ত্যাগকারী.. ইত্যাদি.. স্বামী হয়তো এজন্য এমন করেছেন..,, ইত্যাদি নেগেটিভ বিভিন্ন বিষয় ধারণা বশত লিখে ফেলতেন যেগুলো হয়তো সত্যি নয়। বা বিষয়গুলো এমন ছিলো না আদৌ। কিন্তু পারিপার্শ্বিক সবার সব ধারণা আলোচনার প্রেক্ষিতে সমস্ত রাগ, ক্ষোভ, অভিযোগ স্বামীর ওপর ঝাড়তেন। স্ত্রী বুঝতেন ওনার স্বামী এমন নয় এবং ওনার মেসেজগুলোতে যে স্বামী প্রচন্ড কষ্ট পাবেন তাও বুঝতেন তবুও লিখতেন। স্ত্রী নিজেও মেসেজগুলো লিখে কষ্টে থাকতেন। নিজেও কষ্ট পেতেন। স্বামীকে যখনই কোনো কষ্ট দিতেন মনে করতেন নিজেও ইচ্ছে করে নিজেকে কষ্ট দিতেন।একবার স্ত্রী পারিবারিক কথা কাটাকাটির সময় উত্তেজিত হয়ে নিজের মাকে বলেন আমি আল্লাহর নামে ওয়াদা করতেছি উনি যদি সত্যিই ডিভোর্স লেটার পাঠান আমি সাইন করে দিব। এই ভুল এবং মারাত্মক ওয়াদার জন্য স্ত্রী পরে কাফফারা দেন তাওবা করেন।প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হন মরে গেলেও কখনও সাইন করবেন না ওনাদের ডিভোর্স সংক্রান্ত কোনো কিছুতে। আল্লাহ নিজে বিয়ে দিছেন আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন সীমালঙ্ঘনারী কোনো কাজ করবেন না।সাইন তো না দুনিয়া উল্টায় গেলেও না। কাফফারা উনি ডিভোর্স নোটিশ পাওয়ার পর দেন সাম্প্রতিক সময়ে।তাদের মধ্যে সহবাস অথবা অন্তরঙ্গতা ছিলো না। স্বামী বিয়ের পর বিদেশ চলে যান।অনলাইনে ফোনে বা মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ হত। বেশিরভাগ মেসেজের মাধ্যমেই যোগাযোগ হত।মনোমালিন্যের চলমান সময়ে স্ত্রী মেসেজে স্বামীকে বলেন আমি বিবাহিত নাকি ডিভোর্সি আমি না বুঝতে পারছি না।স্বামী মেসেজে রিপ্লাই দেন আমাদের এখন সম্পর্ক নেই যেহেতু তুমি চেয়েছিলে। তবে স্বামীর নিয়ত অজানা। এক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে গেছে? তালাক হয়ে গেলে এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে তিন তালাক দেন তা কি প্রযোজ্য হবে? ওনাদের কি আবার একসাথে থাকার কোনো সুযোগ রয়েছে? মেসেজের ঐ কথোপকথনের পূর্বের কিছুদিন আগের কনভারসনেও মন থেকে না চাইলেও স্ত্রী পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে স্বামীর সাথে রূঢ মেসেজ করেন সেসব মেসেজেও তালাকের আবেদন থাকে স্পষ্টত নমনীয়তা নয়।অনলাইন অফলাইন পরিস্থিতিটাই একটা তালাকের পরিস্থিতি হয়।মেসেজের ঐ কথোপকথনের পর স্ত্রী স্বামীকে তার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আরেকটি মেসেজ করেন।সে মেসেজেও স্বামীর প্রতি ডিভোর্স চাওয়ার আবেদন ফুটে ওঠে।কিছুদিন পর স্বামী স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ পাঠায়।নোটিশের তারিখ ছিলো স্ত্রীর এই মেসেজের দুদিন পরের তারিখ। নোটিশে স্বামী সাইনের জায়গার ঠিক নিচে সাইন দেন।স্ত্রীর নামের বানানে ভুল লেখেন। নিজের নামের বানানে।তবে ঠিকানা, মা বাবার নাম সব ঠিক থাকে।নোটিশে উল্লেখ করেন... প্রতিপক্ষের সাথে আমার ইসলামি শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হইয়াছিলো..কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হইয়াছে তাহাতে একসাথে বসবাস করা অসম্ভব।পারস্পরিক অবর্গতা দূর করার সব রকম চেষ্টায় ব্যর্থ হইয়া আমি সম্পর্ক ছিন্ন করার মনস্থ করিয়াছি।প্রতিপক্ষ আমার স্ত্রী ছিলো বটে।তবে আমার নিকাহনামাহ সম্পাদিত কাবিননামার শর্তাবলি ভঙ্গ করায় গভীর চিন্তাবশত বাধ্য হইয়া আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী এত তারিখ হইতে প্রতিপক্ষকে রেজিস্ট্রিকৃত তালাকের রেজাই গ্রহণ করিলাম।...এই নোটিশটা স্বামী বিদেশে যেখানে থাকেন সেখান থেকে সরাসরি স্ত্রীকে পাঠান স্ত্রীর বাসার ঠিকানায়।স্ত্রীর ফোন নাম্বার দিয়ে।নোটিশটা স্ত্রী শহরে যে ওয়ার্ডে থাকেন সে কাউন্সিলর বরাবর হয়।নোটিশের সব লেখার শেষে লেখা থাকে.. এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কাউন্সিলরকে এবং অবগতির জন্য একটি নকল কপি প্রতিপক্ষের নিকটও প্রেরণ করা হলো...।তবে স্ত্রীকে নোটিশের পাঠানো কপিটাতে স্বামীর যে স্বাক্ষর ছিলো সেটা সাধারণ কলমের ছিলো অর্থাৎ নোটিশটা ফটোকপি ছিলো না।নোটিসে কাজী অফিসের কোনো সিল বা অফিসিয়াল অন্য কোনো কিছু ছিলো না।সাধারণ নিজে যেমন টাইপিং করে পাঠিয়ে দেয়া যায় তেমন নোটিশ।স্ত্রী এই নোটিশ পেলে নিরব থাকেন।স্বামীর নিয়ত সম্পর্কে স্ত্রী বা কেউই অবগত নন।এর প্রায় একমাস পর স্ত্রীর বাসার ঠিকানায় বিবাহের ওয়ালি স্ত্রীর বাবার ফোন নম্বর দিয়ে কাজী অফিসের সিল দেয়া ডাকঘরের মাধ্যমে স্ত্রীকে দেয়া ঐ একই নোটিশের ফটোকপি পাঠান।এই নোটিশ পাওয়ার পর স্ত্রী অনুতপ্ত হন।স্বামীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন কিন্তু স্বামী আর যোগাযোগ করেন না।স্বামীর পরিবারের সাথেও যোগাযোগ করেন স্ত্রী নোটিশ প্রত্যাহারের বিষয়ে।কিছুদিন হয়ে যায় কিন্তু নোটিশ প্রত্যাহারের বিষয়ে স্বামী বা স্বামীর পরিবার থেকে কোনো রেসপন্স না আসলে স্ত্রী স্বামীর কাছে স্বচ্ছ জবাবদিহিতা চেয়ে ইমেইল করেন।স্ত্রী কখনই বিশ্বাস করেননা তিনি তার স্বামীকে যতই ডিভোর্সের কথা বলেন না কেন ডিভোর্স চান না কেন যত যাই হোক তার স্বামী তাকে সত্যিই ডিভোর্স দিতে পারেন।উল্লেখ্য পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে স্ত্রী স্বামীর কাছে ডিভোর্স চেয়ে আসছিলেন প্রথম থেকে যদিও মন থেকে চাইতেন না কষ্ট নিয়ে চাইতেন।কখনও রাগ দুঃখ ক্ষোভ জিদ থেকে মনে মনে হয়তো সত্যি সত্যি ডিভোর্স আশা করে স্বামীর সাথে মেসেজে ঝাড় ঝাড়তেন। আমাকে কেন ডিভোর্স দিচ্ছেন না। আমাকে আমার জন্য এই সম্পর্কটা থেকে মুক্তি দিন ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা হয়তো স্বামী উপলব্ধি করতেন অথবা করতেন না।স্ত্রী এবং তার পরিবার চাচ্ছিলেন স্বামী যেন দেশে এসে স্ত্রীকে নিয়ে যান কিন্তু খুবই যুক্তিসংগত কারণে দ্বীন এবং নিরাপত্তার কারণে স্বামীর পক্ষে এসে নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না।স্বামী খুব করে স্ত্রীকে চাচ্ছিলেন ওনার কাছে নিয়ে যেতে।স্ত্রীর বাবা বা অন্য কেউ যেন স্ত্রীকে দিয়ে আসেন স্বামীর কাছে।স্বামী প্রথম থেকে চাচ্ছিলেন যেন স্ত্রী আসুক কিন্তু স্ত্রী সবসময় না বলে এসেছেন।মনে মনে চাইলেও কখনও প্রকাশ করেননি স্বামীকে।স্ত্রীর পরিবারকেও না।স্ত্রীর পরিবার জানে স্ত্রী স্বামীর কাছে যাওয়ার বিষয়ে নেগেটিভ।তবে স্ত্রীর পারিবারিক পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিষয় স্ত্রী স্বামীকে নির্দ্বিধায় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে শেয়ার করতেন অথবা মাঝে মাঝে অডিও পাঠাতেন।প্রথম থেকে স্বামী স্বেচ্ছায় স্ত্রীকে নিজের কাছে আনতে চাচ্ছিলেন। এরপর স্ত্রীর এসব কমিউনিকেটে স্বামী আরও বেশি চাচ্ছিলেন যেন স্ত্রী চলে আসেন ওনার কাছে। এতে স্ত্রীর মানসিক প্রেসার কমবে এজন্য। তাছাড়া বিয়ের আগে স্বামীর বায়োতে লেখাই ছিলো এমন মেয়ে চান যিনি স্বামীর সাথে বাইরে যেতে আগ্রহী হবেন এতে হয়তো স্ত্রীর চলমান পড়াশোনায় কিছুটা ব্যাঘাত হতে পারে। স্ত্রী দেশে সাধারণ স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রী ছিলেন।যখন দেখতে আসেন পাত্র হিসেবে স্বামী ওনাকে তখন স্ত্রী নিজেই বলেছিলেন আমি হয়তো আপনার কাইটেরিয়ার মধ্যে পরিনা।আপনি চান বিয়ের পর ওয়াইফ আপনার সাথে যাবেন এতে ওনার চলমান পড়াশোনায় ব্যাঘাত হতে পারে কিন্তু আমি হয়তো যেতে পারব না এখন৷ তখন স্বামী বলেন পরে কি করবেন।উত্তরে স্ত্রী বলেন পরে কি করব জানিনা।ওনাদের বিয়েটা আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে যায়। স্বামী স্ত্রীর পড়াশোনায় ব্যাঘাত হোক চাননি। স্ত্রী পড়তে থাকবেন পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দেবেন,ক্লাস করবেন কিন্তু পাশাপাশি স্বামীর কাছে যাওয়া আসা করবেন ১৫/২০ থেকে আসবেন এমনটা ভেবেছিলেন স্বামী। স্বামীর কাছে যেন স্ত্রী আসেন সেজন্য স্বামী নানাভাবে কনভিন্স করার চেষ্টা করতেন স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর পরিবারকেও যেন স্ত্রীকে স্বামীর কাছে নিয়ে যান। তবে ফোর্স মূলক কিছু করেননি স্বামী এক্ষেত্রে। স্ত্রীর পরিবার প্রথমে বিষয়টা ভালোভাবে নেয়নি তারা চাচ্ছিলেন স্বামী এখানে আসুক।সামাজিকতার মাধ্যমে তারা মেয়েকে স্বামীর কাছে তুলে দেবেন।স্বামীর পক্ষে আসা যে কঠিন হবে তা স্ত্রীর বাবা জানতেন।তবে বিষয়টাকে হয়তো তারা সিরিয়াসলি বোঝেননি নেননি।আর স্বামীর পরিবারও ছেলে গেলে যে আসাটা কঠিন হবে এটা জেনে বউকে যে আগেই তুলে নেবে বিয়ের পর পর তেমনটা হয়নি।বিয়ের পর এক সপ্তাহ দেশে ছিলেন স্বামী। এরপর বাইরে যান।তবে বিয়ের আগে যখন পাত্র পাত্রী হিসেবে ছেলে মেয়ের কথা হয় তখন স্ত্রী স্বামীকে বলেছিলেন সামাজিক বিষয় বিয়ের পর পরই তুলে নেয়া ওনার এটা তেমন পছন্দ হয় না।পর পরই উনি যেতে চান না।বিয়ের পর স্ত্রীর বাবা বলেছিলেন স্বামীর বাবাকে তুলে নেয়ার বিষয়ে যে ছেলে তো চলে যাবে। স্বামীর বাবা বলেছিলেন বউ আসবে সামাজিকভাবে বড় করে তুলে আনবেন পরে দেখা যাবে। ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় আছে হয়তো মাঝেও অনেক বিষয় থাকতে পারে তবে যাই হয়ে থাকুক পরে স্ত্রীর পরিবার স্বামীর কাছে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চাইলে স্ত্রী যেতে চান না। প্রথমে স্ত্রীর পরিবার আত্মীয় স্বজন সবার কথাতে বা সামাজিকতার চিন্তা থেকে বিষয়টা নিয়ে কিছুটা নেগেটিভ থাকলেও পরে পরিবার এবং আত্মীয় স্বজন সবাই চান স্বামীর কাছে স্ত্রী যেন যান কিন্তু দিয়ে আসতে চাইলেও স্ত্রী রাজি হন না কোনোভাবে। প্রথম থেকেই ওনাদের মধ্যে অনলাইন সরাসরি ফোনে কমিউনিকেট খুব বেশি হত না। প্রথম এক দু মাস মাঝে মাঝে হলেও এরপর ফোন কথা হয়না বললেই চলে।আকদের পর তাদের উভয়ের সামনাসামনি খোলামেলা পরিবেশেই সাধারণ স্বাভাবিক কিছু কথাবার্তা ছাড়া কোনো রকম অন্তরঙ্গতা ছিলো না।যেটুকু কথা হয়েছিলো তাতেও স্ত্রীর সতর উন্মুক্ত হয়নি।এরপরই স্বামী চলে যান বাইরে।অনলাইন মেসেজ আর ফোনকলেও তাদের তেমন স্বামী স্ত্রী সুলভ অন্তরঙ্গতার সুযোগ হয়নি।স্বামী স্ত্রীর সতর উন্মুক্ত ছবি কখনও দেখেনওনি।মোট কথা স্বামী স্ত্রী সুলভ কোনো আচরণ অনলাইন অফলাইনে তাদের হয়নি। স্ত্রীকে তার স্বামী স্পর্শ পর্যন্ত করেননি।স্ত্রীর এ বিষয়গুলোতে অনীহা ছিলো। হয়তো এটা স্বামী উপলব্ধি করেছিলেন। দেশে থাকাকালীন স্বামী স্ত্রীর সাথে এ বিষয়গুলোতে ফ্রী হওয়ার ও স্ত্রী কে সময় দানের সুযোগ ও সময় পাননি।বিয়ের পর কিছু সময় যে ওনারা খোলামেলা পরিবেশে কথা বলেছিলেন তখন স্ত্রীর মা আকদের আংটি স্ত্রীর হাতে স্বামীকে পরিয়ে দিতে বললে হাত না ধরেই স্বামী স্ত্রীর আঙ্গুলে শুধু আংটিটা পরিয়ে দেন। স্বামীর সামনে একেবারে সাজগোজহীন সাধারণ ছিলেন সবসময় যেমন থাকেন।স্ত্রী হয়তো স্বামীকে তখন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই প্রকাশ করেছিলেন কোনো প্রসঙ্গে আমার সাজগোছ এগুলো ভালো লাগে না। স্বামীকে স্ত্রী আরও বলেছিলেন আপনাকেও ভালো লাগে না। স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার রিলেশন নিয়ে স্ত্রীর মধ্যে অনীহা কাজ করত। স্ত্রী এ বিষয়গুলোতে কিছুটা এগ্রেসিভ ছিলেন।বিষয়গুলো স্ত্রী সহজে নিতে পারতেন না। বিয়ের পর প্রথম এই সাক্ষাৎ এর পর স্বামী স্ত্রীকে ফোন করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে বলেছিলেন এবং ওনাদের মাঝে তো রোমান্টিক কোনো সময় কাটানো হয়নি এটা বলেছিলেন কিন্তু স্ত্রী বিষয়টাকে সহজভাবে নিতে পারেননি।ফোনেই এগ্রেসিভ আচরণ করে ফেলেন স্বামীর সাথে এবং স্বামীকে বলেন শুনুন আমি তো বিয়েটাই করতে চাইনি এরপর ফোন রেখে দেন৷তবে স্বামী বিষয়টাকে সহজভাবে নিয়ে পরবর্তীতে স্ত্রীর সাথে ফ্রী হতে চেষ্টা করেন। স্ত্রীর পরিবারের সবাই স্বামীর বাড়িতে অতিথি হিসেবে গেলেও স্ত্রীকে স্ত্রীর পরিবারের কেউ নেননি এবং স্বামী এসেও নেননি।স্বামীর সাথে ফোনে স্ত্রীর কথোপকথনে স্ত্রী যাবেন না এমন কিছু বলেননি বরং বলেছিলেন আমি তো কাল রোজা রাখার নিয়াত করেছি আইয়ামে বীজের। আপনাদের বাড়িতে গেলে যদি রোজা রেখে যাই এটা তো খুব খারাপ দেখাবে। কিন্তু রাতের ঐ ফোনকলের শেষে স্বামীর রোমান্টিক বিষয়ক কথা শুনে স্ত্রী রিয়েক্ট করে ফোন রেখে দেন। পরে স্বামী হোয়াটসঅ্যাপে রাতেই মেসেজ দেন স্ত্রীকে আমি কাল সিয়াম রাখব ইন শা আল্লাহ। স্ত্রীর পরিবার জানে দুপুরে দাওয়াত।কিন্তু রোজা রাখার জন্য স্বামীর পরিবার রাতে আয়োজন করে।পরিবারের সবার সাথে স্ত্রী ও যাওয়ার নিয়ত করে যদিও পরিবারের মহিলাদের বিভিন্ন কথা ভালো করে প্রস্তুতি নাও গোসল করো ইশারায় ইঙ্গিতে স্বামী স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের জন্য স্ত্রীকে বলাটা স্ত্রীর কাছে সবচেয়ে জঘন্য মনে হয়েছিলো।বিয়ে মানেই শুধু ফিজিক্যাল রিলেশন,অনেক স্বামীরা এমনই হয়, সেকুলার এবং নারীবাদী চিন্তার এই বিষয়ক একটা বড় নেগেটিভ প্রভাব হয়তো স্ত্রীর মনে কাজ করতে পারে,স্বামীরা এমনই কেন হবে ইত্যাদি এসব ভাবনা হয়তো।স্ত্রী ভাবেন উনি সাধারণভাবে যাবেন সবার সাথে সময় কাটিয়ে চলে আসবেন। পরিবারের সবাই ও জানে স্ত্রী সহ সবাই একসাথেই যাবেন। কিন্তু স্ত্রীর পরিবারে অবস্থানরত মুরুব্বিদের কেউ বলেন স্বামী নিতে না আসলে এভাবে যাওয়াটা ভালো দেখায় না। স্ত্রীর মা ফোনে স্বামীর মাকে জানান স্বামী এসে স্ত্রীকে নিলে ভালো দেখাত। কিন্তু কোনো কারণে স্বামী আসতে পারেননি। স্ত্রী কেও পরিবারের কেউ যেতে বললেন না থাকতে বললেন। যদিও রাতে স্বামী কল করেন কিন্তু স্ত্রী রিসিভ করেন না স্বভাব সুলভ লাজুকতার জন্য। স্বামীর পরিবার স্ত্রীর জন্য তাদের সব আপ্যায়নের খাবার পাঠিয়ে দেন। স্ত্রীও রাতে সেগুলোই খান। এরপর বিদেশ যাওয়া পর্যন্ত স্বামীর বাড়িতে আর স্ত্রী র যাওয়া হয়নি। স্বামীরও স্ত্রী র বাড়িতে আসা হয়নি।বা স্ত্রী র সাথে দেখাও হয়নি। স্বামীকে বিদায় জানাতেও স্বামী বা স্ত্রীর পরিবারের কেউ স্ত্রী কে নেননি। যদিও স্ত্রীর পরিবারের অনেকে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্ত্রী স্বামীকে এই বিষয়টা মেসেজে জানিয়েছিলেন আপনার সাথে দেখা হলে আপনার জন্য একটা কলম গিফট হিসেবে রেখেছিলাম। আপনি দেশে থাকতে আপনাদের বাড়িতে যাব ভেবেছিলাম। ঘুরে চলে আসব ভেবেছিলাম। আপনাদের বাড়িটা অনেক সুন্দর। অনেক গাছ আছে সবাই বলেছে এসে।কিন্তু ভালোই হয়েছে যাওয়ার আগে আম্মুসহ সবাই বলছিলো গোসল করো এটা করো ওটা করো এগুলো আমার কাছে কেন জানি বিষের মত লাগছিলো। পরে কোনো কারণে আম্মু আর সবাই বললেন থাক তুমি থাক। ভালোই হইছে আল্লাহ আমাকে বাঁচাইছে নাহলে সত্যি যদি আমার গোসল এইটা ওইটা করা লাগত। আপনাদের বাড়িতে যাওয়া লাগলে আমি একাই যেতে পারি। এমন তো না যে আপনাদের বাড়িতে হঠাৎ করে কেউ গেলে না চিনলে কাউকে ঢুকতে দিবে না। যে কেউ দেখার জন্য তো চাইলে যেতেই পারে। এরপর স্ত্রী সত্যিই একদিন যান নিজেই স্বামীর বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে। স্বামী তখন বিদেশে। বাড়ির ভেতর না ঢুকে কাউকে পরিচয় না দিয়ে বাড়ির চারপাশটা ঘুরে চলে আসেন। শুধু স্বামীকে জানান ঘটনাটা এমনকি নিজের পরিবারের কাউকেও না। এরপর স্বামী চেষ্টা করে পরিবারের মাধ্যমে স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে আনার। কিন্তু স্ত্রীর পরিবার বিষয়টা সহজভাবে নিতে পারছিলো না যে স্বামী নেই স্বামী ছাড়া সাধারণভাবে স্ত্রী এভাবে স্বামীর বাড়িতে যাবে।স্ত্রীর পরিবার হয়তো ভাবতে পারেন স্বামীর বাড়িতে এভাবে স্বামী ছাড়া গিয়ে থাকবে বিষয়টা ভালো দেখায় না। আবার স্বামীর পরিবার হয়তো ভাবতে পারেন একই জেলা শহরে যেহেতু স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে আসবে যাবে এটা যেহেতু এখন স্ত্রীরও বাড়ি।কিন্তু উভয় পরিবার নিজেদের মাঝে সমঝোতা করতে পারেননি।স্ত্রীর পরিবার চাচ্ছিলেন সামাজিক ভাবে যেন তুলে নেয় স্ত্রীকে।এটা করতে গেলেও স্বামী কোথায় তা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন করবে।স্ত্রীর কাছে ব্যাপারগুলো অসম্মানের মনে হয়েছিল স্বামী ছাড়া কোনো মেয়েকে সামাজিকতার মধ্য দিয়ে যাওয়া। স্ত্রী স্বামীকে লেখেন স্বামী না আসলে স্ত্রী কোথায় যাবেন না। তেমনিভাবে পরবর্তীতে বিদেশে যাওয়ার বেলাতেও স্ত্রীর পরিবার স্ত্রীর বাবার মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর কাছে যাওয়াটা অসম্মানজনক মনে করেন। স্ত্রীর বাবা স্বামীর বাবাকে বলেন আমি না যেয়ে আপনি বউকে ছেলের কাছে নিয়ে গেলে ভালো হতো। শশুর ইতঃস্তত বোধ করেন। স্ত্রী যদিও মুখে বা আচারণে কখনও বলেননি তিনি স্বামীর কাছে যেতে চান। মনে মনে ভাবলেও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় স্ত্রীকে হতাশ করে ফেলে।উনি পরিবারের সবার চাওয়া পাওয়া আশা আক্ষঙাকে গুরুত্ব দেন।পরে সবাই সহজভাবে সবকিছু মেনে নিলে চাইলেও স্ত্রী নমনীয় হন না।স্বামীকে লেখেন স্বামীর এসে ওনাকে নিয়ে যাবেন। নাহলে কোথাও যাবেন না উনি।এসকল বিভিন্ন বিষয়সহ আরও অনেক কিছু হয়তো মনোমালিন্য কে বাড়িয়ে দেয়।যা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়।স্বামী হয়তো ওনার দিক থেকে চেষ্টা করেছেন সর্বোচ্চ কিন্তু হিকমাহর সাথে সবর করতে পারেননি। স্ত্রীর সাথে স্ত্রীর পরিবারের সাথে স্বামীর এবং স্বামীর পরিবারের ভুল বোঝাবুঝিও হয়তো বিষয় গুলোকে তিক্ত করে।মাঝে আরও অনেক কিছু ঘটলে স্বামীর চেষ্টা, স্বামীর পরিবার,স্ত্রীর পরিবারের চেষ্টা থাকলেও স্ত্রী অনঢ থাকেন। পরে স্ত্রী, তার পরিবার, স্বামীর পরিবার চাইলেও জানতে পারেন স্বামী ডিভোর্স দিয়েছেন।স্বামী সামনে থাকাবস্থায় স্ত্রী সহজ হতে না পারলেও স্বামী চলে যাওয়ার পর স্ত্রী স্বামীর জন্য কাঁদতেন স্বামীর কল্যাণে বিভিন্ন দুআ করতেন। স্বামী ও সাধারণ ভাবে বিষয়গুলো নিয়ে স্বাভাবিক অন্যান্য কথা বলে স্ত্রী কে ফ্রী করার চেষ্টা করেন।এই সামান্য কিছু সময়ই ছিলো ওনাদের সাক্ষাৎকার।এরপর স্বামী বিদেশ চলে যান।স্বামীর সামনে স্বামীর প্রতি অনীহার ব্যাপারটা স্ত্রীর পরিবার উপলব্ধি করেন স্বামীর পরিবারের সদস্যরাও।কিন্তু স্বামী চলে যাওয়ার পর যখন কাবিনে সাইন দিতে হয় তখন স্ত্রী স্বামীর জন্য মনে মনে দুআ করে সাইন করেন নাকি যেন জান্নাতেও ওনারা পরস্পরের সাথী হতে পারেন। যদিও সাইন করার সময় মেয়ে নিজের বাবাকে বলে মোহর যেটা প্রথমে লেখা হয়েছিলো এবং যেটা উনি আমাকে দিয়েছেন সেটাই থাকবে। স্বামী যেটা চেয়েছিলেন সেটাই যেন থাকে।কারণ তার চাওয়াটাই তার স্বামীর চাওয়া। কাগজে লেখা একটা আর ওনার মোহর আরেকটা বিষয়টা স্ত্রী মানতে পারছিলেন না।স্বামীকেও মেসেজ করে লিখেছিলেন আপনি দুআ করুন কাগজে যেন সেটাই লেখা হয় যেটা আমাদের মোহর আমরা ঠিক করেছি এবং আপনি আমাকে দিয়েছেন।আপনি আমাকে দিয়েছেন যেটা সেটাই সবাই জানুক আমি এটা চাই তা কম হোক বা বেশি।স্বামী স্ত্রীকে বলেছিলেন কাগজে যেকোনোটা থাকলে অসুবিধা নেই আমরা নিজেরা যেটা ঠিক করেছি সেটাতো পরিষদ হয়ে গিয়েছে আপনি আমি ক্লিয়ার থাকলেই হলো।স্বামী নাকি কোনো আলেমকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এ ব্যাপারে।কিন্তু স্ত্রী বললেন না আমরা যেটা ঠিক করেছি কাগজে সেটাই থাকবে আরেকটা থাকবে কেন।তা যত কম আর বেশি হোক। আমি বিষয়টা মানতে পারছিনা। সামাজিকতা,লৌকিকতা..ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে আমরা কেন এমনটা করব।আল্লাহর জন্য শুধু সবকিছু করব।এরপর স্বামী বিদেশ থেকে চেষ্টা করেন মোহর ওনারা যেটা ঠিক করেছেন সেটা যেন কাগজেও লেখা থাকে।এবং সেটা হয়ও কিন্তু এরজন্য স্ত্রীর মা বাবা স্বামীর ওপর অসন্তোষ হোন।স্ত্রী বলেন আমি ঠিক করতে বলেছি আমি চাই বলে এমনটা করেছেন উনি। কিন্তু জামাই এর ওপর অসন্তোষ কাজ করে পরিবারের। তাছাড়া ছেলে মেয়ে উভয়ের সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী মোহরের পরিমাণ কম ছিলো।উভয়ের পরিবারে এত কম মোহরে পূর্বে কারও বিয়ে হয়নি।কিন্তু স্ত্রীর কথা অনুযায়ী স্বামী তার নিজের হালাল উপার্জনের মধ্যে সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন নগদে পুরোটা পরিষদ করেছেন যদিও স্ত্রী বলেছিলেন স্বামীর জন্য যেটা সবচেয়ে সহজ হবে। বোঝা বা চাপ না হবে। স্ত্রীর কথা অনুযায়ী কাবিনে স্ত্রী সাইন করার সময় স্ত্রীর বাবাও বলেছিলেন তখন স্ত্রীকে যে এখন সাইন করো পরে এটা ঠিক করা যাবে। স্ত্রী সাইন দিয়েছিলেন। বিয়ের পর ঐ সামান্য কিছু সময় সাক্ষাৎ ছাড়া এরপর আর দেখা সাক্ষাৎ হয়নি ওনাদের। কিন্তু স্বামী অনলাইনে ফোনে কনভারসনে সবসময় চাইতেন চেষ্টা করতেন যেন স্ত্রী ফ্রী হন ওনার সাথে।স্ত্রী ফ্রী হতে পারছিলেন না।বরং স্বামী স্ত্রী সুলভ আচরণের পরিবর্তে তাদের মাঝে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হত।স্ত্রীর পক্ষ থেকেই হতো এগুলো।স্বামী শুনতেন।চেষ্টা করতেন কনভিন্স করার।নিজে দূরে থেকেও নিজের পরিবারের মাধ্যমে বা বিভিন্ন ভাবে বিষয়গুলো হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করতেন।কমিউনিকেট খুব বেশি হতও না।কমই হত।স্বামী ফোনে অনেক কমিউনিকেট করতে চাইতেন।স্ত্রী সহজে চাইতেন না।স্বামীকে বলতেন এত কল করেন কেন।স্বামীর নোটিশের ব্যাপারে এবং স্ত্রী ভুল করেছেন এখন অনুতপ্ত। স্ত্রী চেয়েছেন বলে স্ত্রীর জন্য বাধ্য হয়ে স্বামী নোটিশ পাঠিয়েছেন এখন স্ত্রী চাইছেন না তাই স্বামী যেন নোটিশ প্রত্যাহার করেন এই ব্যাপারে এবং স্বামী স্ত্রী সুলভ বেশ কিছু ইমেইল দেয়ার পরও স্বামীর কোনো রিপ্লাই না পেয়ে স্ত্রী স্বামীকে এই ব্যাপারে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতামূলক একটি ইমেইল দেন যেখানে বলেন স্বামী কেন চুপ আছেন।উল্লেখ্য স্বামীকে স্ত্রী বলে আসছিলেন আমার ভালোর জন্য আল্লাহর জন্য আমি যা চাইছি তা দিন।মানে স্ত্রী ডিভোর্স চেয়ে আসছিলেন এভাবে।যদিও কষ্ট নিয়ে বলতেন।উনিও নাকি নিজের জন্য বললেও স্বামীর ভালোর জন্যই বলতেন।এখানে আসলে স্বামীর রিস্ক আছে।তবে কিছুটা রিস্ক হলেও হয়তো চূড়ান্তভাবে স্বামী আর অন্যান্য দ্বীনি ভাইবোনদের জন্য কল্যাণকর হবে এটা ভেবে স্ত্রী চাইতেন স্বামী যেন এখানে আসেন।এজন্য স্বামীকে বলতেন হয় আপনি আসবেন নয়তো আমাকে ডিভোর্স দিবেন।আবার স্বামীর কাছে এভাবে যাওয়া তার স্বামীর জন্য অসম্মানজনক মনে করেছিলেন স্ত্রী পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন অবস্থার কারণে।কিন্তু যত যাই হোক স্বামীর সামান্যতম রিস্কও স্ত্রী চাইতেন না।তাই বাধ্য হয়ে স্বামী একবার স্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন স্বামী আসলে স্ত্রী কন্টিনিউ করবেন কিনা কিন্তু স্বামীর কথা ভেবেই স্ত্রী বলেন সত্যি আসলে বাধ্য হয়ে কন্টিনিউ করব কিন্তু আমি সংসার চাইনা আপনাকে বলেছিনা সংসার ছাড়াই শুধু দ্বীনের খেদমত করে যাব।আমার ইচ্ছার প্রধান প্রায়োরিটি এটা।কিন্তু এরপরও স্বামী স্ত্রীর মেসেজে আরও কথোপকথন আদান প্রদান হয়।স্ত্রী দৃঢভাবে স্বামীকে এটা তার কথোপকথনের মাধ্যমে বোঝাতে চান তিনি আসলেই কোনোভাবে স্বামীর সাথে সংসার করতে চাননা।উল্লেখ্য স্ত্রীর যে মেসেজের রিপ্লাইতে (অর্থাৎ স্ত্রী যে বলেছিলেন আমি বিবাহিত না ডিভোর্সি আমি না বুঝতে পারছি না) এই মেসেজের রিপ্লাই এ স্বামী স্ত্রীকে বলেন এখন আমাদের সম্পর্ক নেই যেহেতু তুমি চেয়েছিলে তখন পারিবারিক ভাবে তাদের এই সম্পর্কটা নিয়ে সবাই অনেক কথা বলেন অনেক কিছু জানতে চান স্ত্রীর কাছে।সময়টা এমন ছিলো যখন পারিবারিক ভাবে সবাই জানছে স্ত্রী চাইছে বলে স্বামী স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।এবং এই সময়ের কিছুদিন আগে স্বামী স্ত্রীর মাকে মেসেজ করেছিলেন আমি সেপারেশনের পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং ইন শা আল্লাহ এটা আমাদের সবার জন্য ভালো হবে। এরপর মন থেকে না চাইলেও স্ত্রী পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে স্বামীর সাথে করা পূর্বের বিভিন্ন সময়ে তালাক চাওয়ার বা কন্টিনিউ না করার মেসেজগুলো খুঁজে বের করে কপি করে এডিট করে আরও দৃঢভাবে যেখানে তালাকের আবেদন ফুটে ওঠে এমনভাবে আবার স্বামীকে দেন এবং বলেন এগুলি স্বামীর পরিবারের সবাইকে দেখাতে এবং স্ত্রীর মা বাবাকেও শেয়ার করতে যেন সবাই বিশ্বাস করেন স্ত্রী চাইছেন বলেই স্বামী বাধ্য হয়ে সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্ত্রীর মাকে এই মেসেজটা করেছেন যাতে স্বামীকে কেউ ভুল না বোঝেন। স্ত্রী নিজের বাবা মাকেও হোয়াটসএপে মেসেজ শেয়ার করেন যেগুলো উনি স্বামীকে শেয়ার করতে বলেছেন এবং পাশাপাশি আরও কিছু মেসেজ যাতে স্ত্রীর মা বাবা বিষয়টা বুঝতে পারেন। স্বামী যদিও স্ত্রীর কথায় স্ত্রীর মা বাবাকে এগুলো কিছুই শেয়ার করেননি।স্ত্রী যদিও স্বামীর বোনকে মেসেজগুলো শেয়ার করেন এবং বলেন স্বামীর পরিবারের সবাইকে যেন শেয়ার করেন যাতে ওনার স্বামীকে কেউ ভুল না বোঝেন।স্ত্রী স্বামীকেও এটা লিখেছিলেন যে ওনার বোনকেও শেয়ার করেছেন এবং সবাই কে শেয়ার করতে বলেছেন।যদিও স্বামী এবং ওনার বোন ওনাদের পরিবারের কাউকে শেয়ার করেছিলেন কিনা স্ত্রীর কথায় জানা নেই। স্ত্রী এসব করেছিলেন কারণ স্বামী সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এটা জেনে স্ত্রীর মা বাবা স্বামীকে ভুল বুঝে স্বামীর পরিবার কে স্বামীর কথা বলবে এ ব্যাপারে এটা স্ত্রী মানতে পারবেন না। স্ত্রীর মা চাইতেন স্ত্রী যেন স্বামীর সাথে স্বেচ্ছায় কথা বলেন ফ্রী হন কিন্তু স্ত্রী স্বামীর জন্য মায়ের বিভিন্ন পরামর্শ যেমন সহজে গ্রহণ করতে পারতেন না তেমনি মা খোলামেলা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে স্ত্রীর স্বামীর বা পরিবারের কোনো দিক যেটা এরকম হলে আরও ভালো হত বা স্ত্রীর স্বামীর কল্যানার্থে যদি কোনো নেগেটিভ মূলক কিছু বলতেন যেটা স্ত্রীর মাধ্যমে স্বামী জানলে আরও ইম্প্রুভ করার হয়তো চেষ্টা করবেন এই ব্যাপারগুলোও সহজে গ্রহণ করতে পারতেন না। স্বামীর নেগেটিভ কিছু স্ত্রী সহ্য করতে পারতেন না এটা ঐ সময়গুলোতে কখনও তেমন প্রকাশ না করলেও মনে মনে প্রচন্ড আঘাত পেতেন এবং কিছুটা ডিপ্রেশনে থাকতেন।মায়ের সাথে স্ত্রীর প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হত।মা মেয়ে দুজন দুজনকে প্রচন্ড ভালোবাসলেও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর ছিলো না। দুজনের মধ্যে আপনত্বে, কমিউনিকেটে অনেক গ্যাপ থাকত। মা মেয়ে পরস্পরকে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বুঝতেন। মেয়ে মাকে সহজভাবে সবকিছু প্রকাশ করতে বা বোঝাতে পারতেন না। স্ত্রীর প্রতি স্ত্রীর বাবা মায়ের বিভিন্ন বিষয়ে অসন্তোষ ছিলো।এখনো হয়তো আছে। বিয়ের আগে থেকেই বিয়ে নিয়ে মা বাবার সাথে মেয়ের ঝামেলা হতো। অনেক প্রস্তাব আসলেও স্ত্রী সব প্রত্যাখ্যান করতেন কোনোটাতেই রাজি হচ্ছিলেন না। অনেক বিয়ে হয়ে গিয়েও হয়নি এজন্য। অনেক প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে মেয়ের আর মেয়ের পরিবারের প্রতি অনেকে অসন্তোষও প্রকাশ করেন।কয়েক বছর ধরে এমন চলছিলো।সবাই চাইতেন তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে কিন্তু রাজি হচ্ছিলেন না মেয়ে।সবাই জানত বিয়ে বিষয়ক প্রচন্ড অনীহা রয়েছে মেয়ের এবং স্বামী বিষয়েও।এই বিষয়গুলো মেয়ে সহজভাবে হয়তো নিতে পারে না। মা বাবা মনে করতেন মেয়ে বিয়ে করতে চায়না কেন। পরিচিত সবাই অনেক অনেক কথা বলত।মেয়ের জন্য মা বাবাকেও অনেক কথা শুতে হত। মেয়ে কেন বিয়েতে রাজি হয় না।একটা অবাক করার মত বিষয় ছিলো স্ত্রী ওনার এই অতীত বিষয়ক সব কথাও মেসেজে এবং মাঝে মাঝে হোয়াটসএপ অডিওতে বিভিন্ন পরিস্থিতি সাপেক্ষে স্বামী কে শেয়ার করতেন নিজের থেকে।মেয়ের বাবা মা, পরিবার পরিচিত সবাই ভাবত মেয়ে যে দ্বীনদার পাত্র চায় তারা যেসব ছেলে দেখে তারা তো দ্বীনদার তাহলে মেয়ে রাজি হয়না কেন। মেয়ের সমস্যা কি।পরিবারের লোকজন ভাবত মেয়ের কি কোনো পছন্দ আছে কোথাও। পরিবারের কাছে মনে হত নামাজ, রোজা,পর্দায় মেয়ে কয়েক বছর ধরে কঠোরতা করে আসছিলেন। অনেক রোজাও রাখতেন। মাহরাম নন মাহরাম কঠোরভাবে মেইনটেইন করার চেষ্টা করতেন।বেশি উগ্র হয়ে যাচ্ছে মেয়ে পরিবার আত্মীয় স্বজন এমন ধারণা করতেন।কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সাথে অনলাইনে কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা এমন ধারণা ও করতেন কেউ কেউ। বা কাউকে পছন্দ করে তার সাথে পালিয়ে যাবে কিনা এমন ধারণা। অপরদিকে মেয়ের চরিত্র নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারত না।কোনো প্রশ্ন করতে পারত না।সবাই ছোটবেলা থেকেই ভালো ধার্মিক মেয়ে হিসেবে জানতেন ওনাকে।সবাই পছন্দ করতেন।তাও বিয়ে বিষয়ে রাজি না হওয়ায় কেউ কেউ এমন ধারণা করেছিলেন।এজন্য মেয়ের বাবা মাকে অনেক কথা শুনতে হতো।পরিবারের আত্মীয় স্বজনরা মেয়ের জন্য ভালো মনে করে প্রস্তাব আনলে মেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করায় মেয়ের বাবা মার সাথেও তাদের সম্পর্কের অবনতি হতো।আর মেয়ের কাছে মনে হতো মা বাবা যেসব পাত্রকে দ্বীনদার মনে করে ঠিক করেছেন তারা মেয়ে যেমন চায় তেমন দ্বীনদার নয়।কিন্তু মেয়ে এটা তার বাবা মাকে বোঝাতে পারত না৷কিংবা পরিবারের আর কাউকে।মেয়ের সাথে বিয়েসংক্রান্ত বিষয়ে পরিবারের আচরণ গুলো মেয়ের কাছে প্রত্যাশিত ছিলো না কয়েক বছর ধরে যা হয়ে আসছে।পরস্পরকে বুঝতে না পারা থেকে।কিছুটা হয়তো দ্বীনের বুঝের মত চাইলেই যে কাউকে উপলব্ধি করানো যায় না এমন।তবে এসব পরিস্থিতি যে মেয়ের ওপর জুলুমের মতও হয়তো হয়ে যেতে পারে এটাও আসলে পরিবার বুঝত না।আবার মেয়ের আচরণও যে পরিবারের ওপর জুলুমের মত হতে পারে মেয়েও হয়তো তা বুঝত না।ওনারা ভাবতেন ওনারা তো মেয়ের ভাল চান।ভালোর জন্যই সবকিছু হচ্ছে।মেয়ে বলেও ফেলে মা বাবাকে যে মা বাবার ওপর মেয়ের আস্থা নেই।বাবা মা কষ্ট পান।মেয়ে ক্ষমা চাইলেও কষ্টটা রয়ে যায় মা বাবার।কিন্তু মেয়ের বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়েছিলো এবং পাত্র মেয়ের বাবা পছন্দ করেছিলেন।মেয়ের বাবাই কোনোভাবে পাত্রের খোঁজ পান এবং মেয়েকে বায়ো দেখালে এই পাত্রের ব্যাপারে মেয়ে বলে তাকে দ্বীনদার মনে হয়।এর ভিত্তিতে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়।কিন্তু মোহরানা সহ বিয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোনো মনোমালিন্য না থাকলেও পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য কাজ করে প্রথমে।মেয়ে এই বিষয়গুলো সবসময় তার স্বামীর জন্য কল্যানকর হবে তা ভাবত বা দ্বীন অনুযায়ী যেটা আল্লাহ খুশি হবেন।স্বামী স্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মোহর দিয়েছিলেন।স্ত্রী নিজের থেকেই মোহরের প্রসঙ্গ এনে বিয়ের আগে স্বামীকে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন।বিয়ের একদিন আগে যখন ওনারা পারিবারিকভাবে বিয়ের জন্য খোলামেলা পরিবেশে কথা বলেন।স্ত্রী বলেন স্বামীর জন্য যেটা সবচেয়ে সহজ স্বামী যাতে কোনো রকম চাপ অনুভব না করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে নগদে দিয়ে দিতে পারবেন এবং স্বামীর নিজের হালাল উপার্জনের হতে হবে।সেটা এক টাকা হোক আর দশ টাকা।এটা ছিলো স্ত্রীর ইচ্ছে।কম মোহরে বিয়েতে বরকত থাকে এমন কথাও তারা জানতেন।স্বামী তখনই স্ত্রীকে বলেন উনার পক্ষে কত সম্ভব।যদিও এই বলা এমাউন্ট থেকে স্বামী আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং বিয়ের পর যখন স্ত্রীর সাথে কিছুটা সময় সাক্ষাৎ করেন তখনই স্ত্রীর হাতে নগদ সম্পূর্ণ মোহর তুলে দেন যা ছিলো পুরোটাই স্বামীর নিজের হালাল উপার্জন।বৈষয়িক কোনো চিন্তা মেয়ের বা ছেলের ছিলো না। তারা চেয়েছিলো সুন্নাহ অনুযায়ী বিয়ে করতে।মেয়ের ডিমান্ডও ছিলো না তেমন।পাত্র দ্বীনদার হলেই হবে তাছাড়া আর কিছু চান না।ছেলেরও দ্বীনদার পাত্রী চাই।উভয়ের পরিবারও ছেলে মেয়ের জন্য দ্বীনদারিকেই প্রাধান্য দেয়।ছেলে মেয়ে যেহেতু বলেছে দ্বীনদার তাই ওনারাও বিয়েতে সম্মতে হয়ে বিয়ে দেন। কিন্তু দুই পরিবারের সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে সাধারণ কিছুটা মনোমালিন্য হয়েছে প্রথমে। যেটা স্বাভাবিক সাধারণ ভাবে হতেই পারে বিয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে।কিন্তু মেয়ের কাছে হয়তো এগুলো সিরিয়াস ছিলো এবং মানসিক ভাবে প্রচন্ড ডিপ্রেসড হয়ে যান স্ত্রী।মানসিক ভাবে এর প্রভাব পড়ে স্ত্রীর ওপর।মোহরের ক্ষেত্রে মেয়ে পরিবারের মতকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছা আর স্বামীকে গুরুত্ব দিয়েছিলো এটা নিয়ে বাবা মার সাথে মেয়ের মনোমালিন্য হয়।মেয়ে চায়না মা বাবাকে কষ্ট দিতে কিন্তু তাও মা বাবা মেয়ের দ্বারা কষ্ট পেয়ে যান।তাও এগুলো পরে সবাই মেনে নিয়েছিলেন সব ঠিক হয়ে গিয়েছিলো।মেয়ে পরিবারের সাথে ফ্রী না হলেও এসবকিছু তার স্বামীকে নির্দ্বিধায় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে বা মাঝে মাঝে অডিওতে প্রকাশ করতেন।স্বামী তার স্ত্রী কিভাবে ভালো থাকবেন সে কথা সবসময় ভাবতেন।চেষ্টা করতেন দূর থেকেও সেভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করার।কিন্তু তালাক চাওয়ার ব্যাপারে স্ত্রীর অনমনীয়তা স্বামীকে প্রচন্ড আঘাত করে।স্বামীর জন্য হয়তো সময় আর সবরের পরীক্ষা ছিলো।স্বামী সবর করতে পারেন নি।তাই কষ্টে হঠাৎ করেই হয়তো তালাক দিয়ে ফেলেন।অন্তরঙ্গতা বা সেরকম কোনো কমিউনিকেট না হলেও দুজন পরস্পরের ভালোর কথা ভেবেই সবকিছু করতেন বলতেন নাকি।তবে স্বামী স্ত্রী সুলভ ভালোলাগা কেউ কাউকে সেভাবে প্রকাশ করেননি।কিছুটা শিশুসুলভতা কাজ করেছে হয়তো।স্ত্রীর তালাক চাওয়া এবং স্বামীর তালাক দেয়া।বয়সে দুজনের পিঠাপিঠি কাছাকাছি।দুজনের বয়স ২৬-২৯ এমন হবে। অল্পবয়সী যুবক যুবতী।তো স্ত্রীর ঐ মেসেজগুলোতে কিছু অংশে স্বামী আসতে পারবে না তাই কন্টিনিউ হবে না ফুটে উঠলেও অধিকাংশ লেখায় ফুটে ওঠে স্ত্রী কন্টিনিউ করতে চায় না কারণ স্ত্রী সংসার চায়না।সংসার ভালো লাগে না।এগুলো স্ত্রী ইচ্ছে করেই প্রকাশ করতেন যেন স্বামী মনে করেন যে কোনো উপায়েই স্ত্রী সংসারে ইচ্ছুক নন তার সাথে।স্বামীর সাথে এসব নেগেটিভ কনভারসেশন স্ত্রী কেঁদে কেঁদে কষ্ট নিয়েই নাকি বলতেন।মন থেকে নাকি চাইতেন না।শাইখ এখানে স্ত্রীর রুকইয়াহ গত কোনো বিষয় মানে ওয়াসওয়াসা, বদ নজর..ইত্যাদি রুকইয়াহ প্রয়োজন এমন কোনো সমস্যা ছিলো কিনা সেটা নিশ্চিত বলা যায় না।স্বামী তখন ইংরেজিতে স্ত্রীকে বলেন why you told them that if i come, you will continue.অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে বলছেন স্ত্রী কেন তার মা বাবাকে বলেছেন যে স্বামী আসলে স্ত্রী কন্টিনিউ করবেন। রিপ্লাইতে স্ত্রী লেখে because i told you that if you come, i will continue অর্থাৎ কারণ হিসেবে স্ত্রী দেখান,স্ত্রী স্বামীকে বলেছিলেন স্বামী যদি আসেন স্ত্রী তাহলে কন্টিনিউ করবেন।রিপ্লাইতে স্বামী লেখেন are you Muslim.stop lying.This was your opinion very long ago অর্থাৎ তুমি কি মুসলিম। মিথ্যে বলা বন্ধ করো।এটা তোমার অনেক আগের মতামত ছিলো।মানে স্ত্রী যেকোনোভাবেই কন্টিনিউ করতে চান না এটা মনে হয়েছে স্বামীর।স্ত্রী স্বামীকে বলছে সংসার চাইনা ভালো লাগেনা তাই কন্টিনিউ করব না ওদিকে মা বাবা অন্য সবাইকে বলছে স্বামী আসতে পারবেন না তাই কন্টিনিউ হবে না আসলে কন্টিনিউ করবেন।স্বামীর ঐ টেক্সটের পর স্ত্রী আবার রিপ্লাই দেন you can think as you wish অর্থাৎ আপনি আপনার ইচ্ছে মত ভাবতে পারেন।তবে স্ত্রী বলেন আমি না পারি স্ত্রী হিশেবে আমার স্বামীকে সামান্যতম ঝুঁকিতে ফেলতে আর না পারি এভাবে সত্যটা মেনে নিতে।যেটা স্ত্রী উনার স্বামীর জন্য অসম্মানের মনে করেছিলেন তাই পরিবারের সবাইকে আসলে কন্টিনিউ করবেন বললেও স্বামীকে বিশ্বাস করাতে চেয়েছেন উনি সংসার চাননা তাই কন্টিনিউ করতে চান না ইত্যাদি এসব বলে।কারণ তো কোনো দেখাতে হবে কোন স্বামীকে তাই। পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট তা বাস্তবে দুই পরিবারের পারিবারিক পরিবেশে হোক আর স্বামী স্ত্রীর অনলাইনে মেসেজ কনভারসনে হোক পুরোটাই সেনসেটিভ নেগেটিভ থমথমে তালাকের একটা পরিবেশ ছিলো।স্ত্রী চেয়ে আসছেন স্বামী এখন বাধ্য হয়ে হয়তো তালাক দিবেন এটাই সবাই ধরে নিয়েছিলো।পরিবারের সবাই স্ত্রীকে বোঝাতে লাগল।আসতে না পারলে তাতে কি কিন্তু কন্টিনিউ করো।কিন্তু স্ত্রী অনঢ ছিলেন।আবার স্বামীও মনে হয় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।স্ত্রীর পরিবারের লোকজন স্বামীর কাছে জানতে চাইলে স্বামী বাধ্য হয়ে বলতেন ও সংসার চায়না,আমাকে বিশ্বাস করে না কোনোভাবেই কন্টিনিউ করতে চায়না এজন্য সেপারেশনের কথা ভাবছেন।অথচ স্ত্রী বলেন উনি স্বামীকেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন যদিও স্বামীকে কখনো পজিটিভ কিছু প্রকাশ করেননি।এর পূর্বেও পারিবারিক বিভিন্ন ঘটনায় স্বামীর প্রতি স্ত্রীর নেগেটিভিই প্রকাশ পেয়েছে মানে তালাক চেয়েছেন এ ব্যাপারটাতে অনঢ ছিলেন আর কারণ স্বামীর আসতে না পারা।কিন্তু এছাড়া স্বামী বা তার পরিবারের ব্যক্তিগত বা অন্যান্য কোনো বিষয়ে কখনোই স্ত্রী স্বামী বা স্বামীর পরিবারের কারও ব্যাপারে কোনো নেগেটিভ কিছু পরিবারকে প্রকাশ করেননি।কোনো অভিযোগ বা কোনো খারাপ ধারণা নেই বরং উল্টো সব ভালো বিষয় বলেন।এমনকি এই তালাকের বিষয়গুলো হওয়ার পরও এখনও।স্ত্রী ভুল করেছেন।স্ত্রী নিজে দায়ী এরজন্য আর কেউ নন।স্ত্রী বলেন উনি নিজের ওপর জুলুম করেছেন সীমালঙ্ঘনকারী।এজন্য তাওবা করেছেন।কোরআন পড়তে গিয়ে যেখানেই কান্না আসছে অবাক হয়ে আয়াতের অর্থ দেখেন যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ। পরের কোনো আয়াতেই পান তবে যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের পথ বের করে দেন।উনি নিজের অনুশোচনায় পথ খুঁজতে চাইছেন।স্ত্রী মনে মনে স্বামীর প্রতি আস্থা,ভরসা,বিশ্বাস, ভালোবাসা পোষণ করলেও তা কখনও স্বামীকে বা পরিবারকে প্রকাশ করেননি।আচরণে প্রকাশ পায়নি।বিয়ের প্রতিও স্ত্রীর অনীহা ছিলো।প্রথম দিকে বিয়ে আর ওনার স্বামীর বিষয়ে কিছুটা এগ্রেসিভ আচরণ করতেন।প্রকাশ না করলেও উনি স্বামীর জন্য সবসময় দুআ করতেন। দান করতেন।ভালোর কথা ভাবতেন।কাঁদতেন স্বামীর জন্য।বিশ্বাস করতেন আর বলতেন সবাইকে ওনার বিয়েটা নাকি আল্লাহ নিজে দিয়েছেন।ডিভোর্সের এই থমথমে পরিস্থিতির সময়ে কেউ জানতে চাইলে বলতেন ওনার বিয়ে আল্লাহ দিছেন।আল্লাহ চাইলে কন্টিনিউ হবে।ঐ কনভারসেশনগুলোর পরও স্বামী পরিস্থিতি হালকা করার চেষ্টা করেন স্ত্রীর বাসায় স্বামীর মায়ের পরিচিত মহিলাদের পাঠান বিস্তারিত জানতে।স্ত্রী যেন স্বতঃস্ফূর্ত হন।পাশাপাশি ওনাদের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর পরিবারের যে অসন্তোষ রয়েছে এ ব্যাপারেও সমাধানের জন্য। স্ত্রীর স্বামীর প্রতি কোনো অভিযোগ ছিলো না।এমনকি তালাক কেন চাইছেন একথা জানতে চাইলে ওটাই বলতেন আসতে পারবেন না এজন্য চেয়েছেন।উনি আসবেন নয়তো আমাকে ডিভোর্স দিবেন।কিন্তু স্বামীর বা স্বামীর পরিবারের প্রতি কোনো অভিযোগ,ক্ষোভ এগুলো কিছু ছিলো না।জানতে চাইলেও বলতেন নেই।স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের সবার প্রশংসা করতেন।ওনাদের মত নাকি মানুষ হয়না।স্বামীর বা স্বামীর পরিবারের কোনো বিষয়ে পরিবারের লোকজন কোনো নেগেটিভ কিছু বললে বা ধারণা নিলে স্ত্রী এটা মনে মনে সহ্য করতে পারতেন না কিন্তু পরিবারের কাছে এটা প্রকাশ করতেন না।স্ত্রীও আশা করতেন যদি সত্যিই স্বামী আসেন এটা কত সম্মানের ভালো হতো স্বামীর জন্য।তো পরিস্থিতি হালকা হয়নি। স্ত্রী দৃঢ ছিলেন।এর কিছুদিন পর স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে সবার সাথে বেড়াতে গেলে এব্যাপারে অনেক কথা হয়।যদিও স্বামী স্ত্রীকে বলেছিলেন স্বামী আসলে স্ত্রী কন্টিনিউ করবেন কিনা একথাতে স্ত্রী সরাসরি হ্যাঁ সূচক কিছু বলেননি বরং স্বামীকে বোঝাতে চেয়েছেন উনি যেকোনো ভাবেই স্বামীর সাথে সংসার করতে চান না।কিন্তু পরিবারের লোকজন স্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্ত্রী বলেন উনি আসবেননা তাই কন্টিনিউ হবে না।আর না আসতে পারলে আমাকে ডিভোর্স দিবেন।পরিবারের সব লোকজন স্বামীর রিস্কের বিষয়ে পূর্বে অবগত ছিলেন না।কিন্তু স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের এই অবগতির সময় জানতে পারেন এবং স্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করেন।যদিও পরিবারের অনেকে স্বামীর এই আসতে না পারার বিষয় জানার পর নেগেটিভলি নেন।তবে স্ত্রী জানতেন ওনার পরিবারের সবাই জানলে বিষয়টা পজিটিভলি নিবেন না।স্ত্রীর সবসময় চাইতেন ওনার স্বামীর সম্মান যেন সবসময় অটুট থাকে।স্বামীকে নিয়ে নেগেটিভ কিছু উনি সহ্য করতে পারতেন না।ওনাদের বিয়ে পারিবারিক ভাবেই হয়।তবে স্বামীর এই বিষয়ে সবাই জানতেন না তবে স্ত্রীর বাবা জানতেন।আসাটা কঠিন হবে এটা স্ত্রী বা স্ত্রীর মা না জানলেও ওনাদের কাছে এটা তেমন কোনো ম্যাটার ছিলো না।সহজভাবেই নেন কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পারিবারিক পারিপার্শ্বিক সামাজিক বিভিন্ন বিষয় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটাকে জটিল করে ফেলেন।কিংবা ওনারা স্বাভাবিক ভাবে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করলেও স্ত্রী মানসিকভাবে বিষয় গুলোকে জটিল করে নেন,জটিল করে ফেলেন।স্ত্রীর মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় যার ফলে উনি স্বামীকে অনেক আপন করে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে বা অডিও পাঠানোর মাধ্যমেই স্বামীকে এই বিষয়গুলো শেয়ার করতেন যেটা আর কাউকে করতেন না।ওনাদের মাঝে কখনও ভিডিও কলেও দেখা বা কথোপকথন হয়নি।কিন্তু ওনাদের সম্পর্কের মনোমালিন্য চলতেই থাকে।স্বামী স্ত্রী উভয়ের পরিবার ইসলাম প্রিয় হলেও কিছু বিষয়ে বৈষয়িকতা রয়েছে যেটা স্বামী স্ত্রী উপলব্ধি করতেন যে পরিবার দ্বীন ওভাবে বোঝেন না কিছু সমস্যা রয়েছে।স্ত্রী পরিবারের লোকজনকে বলেন উনি আসবেন এটা ওনার আর সবার জন্য ভালো হবে।স্ত্রীর দৃঢ বিশ্বাস ছিলো যতই স্বামীকে যেকোনোভাবে বোঝান সংসার চান না বা ডিভোর্স চান।ওনার স্বামী ওনাকে ডিভোর্স দিবেন না।আল্লাহ ওনার স্বামীকে ওনার কাছে নিয়ে আসবেন।দ্বীনের জন্য গিয়েছেন,দ্বীনের জন্যই আসবেন।স্বামী এসেই ওনাকে নিয়ে যাবেন।স্ত্রীর পরিবারের সবাইও স্বামীর আসতে না পারার বিষয়টা ভালো করে উপলবদ্ধি করার আগে খুব করে চাচ্ছিলেন যেন স্বামী এসে স্ত্রীকে নিয়ে যান।স্ত্রীকে স্বামীর কাছে দিয়ে আসার বিষয়টা ওনারা সহজভাবে নেননি।আকদের পরে কোনো সামাজিকতা আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি।বিয়ে করেই স্বামীকে চলে যেতে হয়।তাই এভাবে মেয়েকে স্বামীর কাছে দিয়ে আসাটা পছন্দনীয় ছিলো না ওনাদের কাছে প্রথমে।গ্রামের বাড়িতে যখন সবাই জানতে চান তখন উনি স্বামীকে মেসেজ করেন হুবহু না হলেও এরকম কিছু হবে গ্রামের বাড়িতে আছি যদিও কাল পরীক্ষা।এখানে ঘন্টায় ঘন্টায় সবাই আমাকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে।আমি বিবাহিত না ডিভোর্সি আমি না কিছু বুঝতে পারছি না(তবে এই বাক্যটা হুবহু এভাবেই লেখেন)।আপনার সাথে জরুরি কিছু বিষয়ে কথা ছিলো।আপনি আমাকে সময় দিলে আমি কল করতাম।আমরা আজই চলে যাব।(উল্লেখ্য স্ত্রীর মনে মনে ছিলো আজ কথা হলে বা সেরকম সুযোগ পেলে উনি স্বামীকে আর নেগেটিভ কিছু বলবেন না আর অডিও কলে ওনাদের কথা বন্ধ প্রায় এক দুই তিন মাসের মতও হতে পারে বা তার কম কিন্তু অনেকদিন বন্ধ।তবে মেসেজ হতো। মেসেজের গ্যাপ ১৫/২০বা প্রায় ৩০ দিনের বেশি কখনও হয়নি। স্বামী দিতেন অথবা স্ত্রী ই দিতেন।হঠাৎ কোনো প্রসঙ্গে এনে স্ত্রী ই মেসেজ করতেন তা নেগেটিভ হক বা পজেটিভ)।স্ত্রী কখনও স্বামীর সাথে পজেটিভলি কথা বলবেন মনে মনে ভাবলেও স্ত্রীর মেসজে রুক্ষতাই ফুটে উঠত। যেহেতু মেসেজেই ওনাদের কথপোকথন হত ফোন কলে কথা বলা অনেকদিন পর্যন্ত বন্ধ ছিলো।স্ত্রী ই চায়নি কথা বলতে।স্বামী অনেকদিন ধরে অনেকভাবে কনভিন্স করার চেষ্টা করেছেন।গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগেও স্ত্রীর বাড়িতে পরিচিত মহিলাদের পাঠিয়ে স্ত্রীর মার সাথে কথা বলে হলেও চেষ্টা করেছেন বিষয়গুলোকে হালকা করার।এমনকি অনেকদিন ধরে চলমান এই পরিস্থিতির ফলে দুই পরিবারের সম্পর্কের অবনতি হলে স্বামী নিজের বাবা এবং শশুরকেও দূরে বসে এক করার চেষ্টা করেন তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে।তারা পরস্পর সাক্ষাৎও করেন।কিন্তু স্বামী স্ত্রীর চলমান মনোমালিন্য অটুট থাকে।এরপর আরও কিছু সময় পার হয়।পরিস্থিতি একই থাকে।স্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের থেকে স্বামীর বা তার পরিবারের প্রতি নেগেটিভ পজেটিভ বিভিন্ন কথা চলতে থাকে।স্বামীর সাথেও হয়তো স্ত্রীর পরিবারের অনেকে যোগাযোগ করেন।এরপর সবার সাথে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান স্ত্রী।তখন গ্রামের বাড়িতে বসে আমি বিবাহিত না ডিভোর্সি এ মেসেজ করেন স্বামীকে।মনে মনে ভেবেছিলেন স্বামী পজিটিভ রিপ্লাই দিলে তালাকের আবেদন করবেন না পজিটিভলি বলবেন কিন্তু স্বামীর রিপ্লাইটা নেগেটিভ আসে।স্বামী হয়তো সবর করতে পারেননি।গ্রামের বাড়িতে বসেই স্ত্রীর মেসেজের রিপ্লাই দেন স্বামী, 'এখন সম্পর্ক নেই যেহেতু তুমি চেয়েছিলে।'আলাদাভাবে এর পরের বাক্যে স্ত্রীকে লেখেন স্বামী, 'শুধু মেসেজ করো।' উল্লেখ্য স্বামী এগুলো ইংরেজিতে লিখেছিলেন। "We have no relationship now as u wanted." পরের বাক্যে লেখেন "left the text only." স্বামী স্ত্রীকে মেসেজে তুমি করেই সম্বোধন করতেন।কিন্তু ডিভোর্স চাওয়ার বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী স্বামীকে বলেছিলেন আমাকে আপনি বলে সম্বোধন করবেন।শেষের দিকের মেসেজগুলোতে স্বামী স্ত্রীকে আপনি বা তুমি না বলে সরাসরি ইংরেজিতে you সম্বোধন করতেন।স্বামীর ঐ রিপ্লাইের পর,পরদিন স্ত্রী স্বামীকে পারিবারিক অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলায় মেসেজ করেন যেখানে পরিবারের স্বামীর প্রতি নেগেটিভিটি এবং স্ত্রী যে ডিভোর্স চাওয়ার ব্যাপারে এখনো দৃঢ সেটা প্রকাশ পায় এবং তালাক চাওয়ার আবেদনও প্রকাশ পায়।মেসেজে বিভিন্ন বিষয় সহ এমনও কিছু ছিলো স্ত্রী লিখছেন স্বামীকে...আমি তো সবসময় মেসেজই করি খুব জরুরি বিধায় আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলাম।আপনি সময় দিলে সুযোগ করে কল করতাম।...সবাই জানছে আপনি আমাকে ডিভোর্স দিচ্ছেন।আপনি কবে কি করবেন আমাকে স্পেসিফিকভাবে জানালে আমি সবাইকে বলতে পারতাম।...ইত্যাদি।এর এক বা দুদিন পর স্ত্রী একবার স্বামীর অনুমতি ব্যতিতই অনলাইনে একবার কল দেন কিন্তু স্বামী রিসিভ করেননা।স্ত্রীকে পাঠানো প্রথম তালাকের নোটিশের যে তারিখ তার দু বা তিন দিন আগের ঘটনা এটা।স্ত্রীর বাবার নাম্বারে পাঠানো তালাকের নোটিশ পাওয়ার পর স্ত্রী স্বামীর সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেন মেসেজ দেন কল করেন।স্বামী কল কেটে দেন।পরে সম্ভবত ব্লক করে রাখেন যেজন্য আর মেসেজ যায়নি।এজন্য স্ত্রী ইমেইল করেছেন বেশ কিছু স্বামীকে।তো ঐ ইমেইলটা যেটাতে স্বামীর কাছ থেকে কোনো উত্তরের আশায় স্ত্রী লিখেছিলেন আপনি নিরব কেন যদি এভাবেই চুপ থাকেন সময় শেষের সাথে সাথে আমার অপেক্ষাও ফুরাবে...ইত্যাদি বিষয়...এগুলো জানা আমার নৈতিক,মানবিক অধিকার।নয়ত নোটিশের তিন মাস কি এভাবেই শেষ হয়ে যাবে।এর আগেই যেন নোটিশ প্রত্যাহার করেন স্বামী।স্ত্রী অপেক্ষায় থাকবেন।স্ত্রী কিছুটা কড়া ভাবেই লেখেন যেন স্বামী রিপ্লাই দেন।পাশাপাশি স্বামীর না আসতে পারার জটিল বিভিন্ন বিষয়ে স্বামীর জন্য পরামর্শমূলক, সহযোগিতামূলক এবং বিভিন্ন প্রশ্ন, জবাবমূলক বিভিন্ন বিষয়ও উল্লেখ করেন।কিছু বিষয় হয়তো ছিলো স্বামীর আসতে না পারার বিষয়ে যা স্বামী স্ত্রীকে বলেছিলেন বা স্ত্রী নিজের থেকে ধারণা বা অনুমান করেছিলেন। স্বামী কখনও পুরো খোলাসা করে না হলেও কিছুটা প্রকাশ করেছিলেন।স্বামী রিপ্লাই দিচ্ছেন না বিধায় স্ত্রী স্বামীর মাকে হোয়াটসঅ্যাপে এসকল জটিল বিষয়ের ধারণা দিয়ে মেসেজে কিছু প্রশ্ন রাখেন এবং জবাব জানতে চান স্বামীর কাছ থেকে।স্বামী যেন বিষয়গুলো জানান স্ত্রীকে।স্বামীর মাকে এই মেসেজ দেয়ার উদ্দেশ্য মা যেন ছেলেকে বলেন স্ত্রীকে এসকল বিষয়ের স্বচ্ছ জবাব দিতে।স্ত্রী স্বামীর মাকে এও বলেন মা আমি আপনাকে দেয়া এই মেসেজটা আপনার ছেলেকেও মেইল করেছি এবং এও বলেছি যে আপনাকে এই মেসেজগুলো করেছি আপনার ছেলের কাছ থেকে কিছু জানতে পারছি না দেখে। এরপর স্বামী মেসেজ বা ইমেইলের রিপ্লাই দিয়ে বলেন তিনি স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছেন৷এখন সমস্যা তৈরি করতে নিষেধ করেছেন।তিনি স্ত্রীকে তার তালাক চাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অনেক সময় দিয়েছেন বলেছেন।ইংরেজিতে লিখেছিলেন এভাবে Assalamualaikum.I have given you 3 talak.Do not make problem now.I have given you long time to change your decision for asking devorse. স্ত্রী স্বামীর কাছে এরপর আরও ইমেইল করেন স্ত্রীর বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে সত্যিই তিন তালাক হয়েছে।স্ত্রী স্বামীর কাছে জানতে চান আপনি কিভাবে তালাক দিয়েছেন তিন তালাক হয়তো হয়নি।হলেও স্ত্রী তার স্বামীর সাথেই থাকতে চান যেকোনোভাবে নাহলে যেন আল্লাহ ওনাকে নিয়ে নেন।কিছু ইমোশনাল ইমেইলও করেন।এরূপ কিছু মেইলের পর স্বামী স্ত্রীকে কোনো মেইল বা রিপ্লাই না দিয়ে বন্ধুর মাধ্যমে স্ত্রীর বাবাকে জানান স্ত্রীর কাছে পরিবারের সবাইকে কাছাকাছি থাকতে।স্ত্রী ওনাকে ইমেইল করেছিলেন।উনি হয়তো অসুস্থ।ওনাকে যেন একা না রাখেন।দেখে রাখেন সবসময়।আর স্বামীর বন্ধু স্ত্রীর বাবাকে ফোনে বলেন উনি স্বামীর মা-ববার সাথে আবার নোটিশ প্রত্যাহার বা এ সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করবেন।উল্লেখ্য স্ত্রীর পরিবারের কাউকে স্বামী এটা প্রকাশ করেননি যে উনি তিন তালাক দিয়েছেন।স্বামীর পরিবারের সবাই চান যেন স্বামী নোটিশ প্রত্যাহার করেন৷স্ত্রীর পরিবারের সবাইও।কিন্তু স্বামী এটা নিজের পরিবারকেও বলেননি।কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে জানার জন্য স্ত্রীর বাবা স্বামীর বন্ধুর মাধ্যমে এবং স্বামী যাদেরকে বিশ্বাস করেন আস্থা রাখেন এমন দ্বীনি পরিচিত মানুষদের মাধ্যমে জানতে চান।বলেন মেয়ে তখন ডিভোর্স চেয়েছে কিন্তু মেয়েতো এখন থাকতে চাইছে একসাথে ও কেন প্রত্যাহার করছে না নোটিশ।পরে স্বামীর মাধ্যমে ওনারা জানতে চাইলে স্বামীর কথাতে বুঝতে পারেন স্বামী কোনো কারণে দৃঢ বা বেশি কথা বলতো চাচ্ছেন না।স্ত্রীর মাধ্যমে স্ত্রীর মা জানেন যে স্বামী মেসেজে স্ত্রীকে বলেছেন তিন তালাক দিয়েছেন।স্বামীর এই মেসেজ পাওয়ার পর স্ত্রী স্বামীর মাকেও মেসেজের মাধ্যমে জানান মা আপনার ছেলে আমাকে রিপ্লাই দিয়েছেন লিখেছেন উনি নাকি আমাকে তিন তালাক দিয়েছেন।স্ত্রীকে এই মেসেজ দেয়ার পর স্ত্রী স্বামীর কাছে কিভাবে কি ডিভোর্স দিয়েছেন স্বামী এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ইমেল করেন এখনো করে যাচ্ছেন।পরিচিত দ্বীনি ব্যক্তিদের কাছে যাচ্ছেন।উনি বিশ্বাস করেন ওনার হয়তো তিন তালাক হয়নি।হলেও এক তালাক।উনি যেকোনোভাবে চান ওনার স্বামীকে তিন তালাকের এই গুনাহ থেকে হিফাজত করতে।স্বামীর এই মেসেজটা পাওয়ার পর স্ত্রী একটু স্বাভাবিক হলে নিজের মাকেসহ স্বামীর মাকেও জানান।স্বামীর মা বলেন প্রথম থেকে ডিভোর্স চেয়ে আসছিলা মা।ওকে অনেক কষ্ট দিস সহ্য করতে পারেনাই।তালাক দিয়ে ফেলসে।আল্লাহ যদি চান তো আবার তোমাদের একত্রিত করবেন। স্ত্রী স্বামীকে আবার ফিরে পেতে একরকম দৃঢ প্রতিজ্ঞর মত আচরণ করছে।স্ত্রীর ভাষ্য মতে আল্লাহ ওনাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যেন আফিয়া ও খাইরের সাথে ওনাদেরকে আবার মিলিত করেন দুনিয়াতে আখিরাতেও।নাহলে আল্লাহ যদি এমনটা আর না চান তাহলে যেন ওনাকে মানে স্ত্রী কে দুনিয়া থেকে নিয়ে যান আল্লাহর কাছে।ওনার ঈমান আর দ্বীনের হিফাজতের জন্য। নাহলে কিয়ামতে আল্লাহর কাছে কোনো জবাব দিতে পারবেন না। ঠিকমতো কোনো কাজ ইবাদাত সবকিছু করা কঠিন ওনার জন্য এভাবে।স্বামী কিভাবে কি তালাক দিয়েছেন এ ব্যাপারে স্ত্রীকে রিপ্লাই মেইলে খোলাসা করেননি।পরিচিত কাছের একজন দ্বীনি ব্যক্তির মাধ্যমে স্ত্রী জানতে চাইলে ওনাকে স্বামী প্রকাশ করেন তিন তালাক দিয়ে ফেলছেন।কিন্তু স্ত্রীর দৃঢ বিশ্বাস স্বামী যদি একসাথে কষ্টে তিন তালাক দেনও যেমনভাবে ওনাকে লিখে দিয়েছেন মেসেজে তাও হয়তো তিন তালাক হয়নি।হয়তো ওনাদের এক তালাক হয়েছে। ওনারা আবার বিয়ে করতে পারবেন।নিজে নিজে স্ত্রী এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন।যদি তিন তালাক হয়েও যায় এই মেসেজের মাধ্যমে বা স্বামী যদি পূর্বে মৌখিকভাবে নিজে বলে ফেলেন তিন তালাক তাও হয়তো এক তালাক হয়েছে।আর যদি তিন তালাক হয়েও যায় এই মেসেজের মাধ্যমে বা স্বামীর মৌখিক ভাবে একসাথে এভাবে বলার মাধ্যমে তাও পূর্বের পাঠানো নোটিশ স্বামী যখন প্রথম স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন তখন স্বামী একসাথে তিন তালাক বলে বা নিয়ত করে বা এক তালাক বলে বা এক তালাকেরও নিয়ত করে পাঠাননি এটা স্ত্রীর বিশ্বাস।স্ত্রীর আরও ধারণা নিয়ত না করে বা মুখে না বলে যদি কোনোভাবে সাইন করে এই নোটিশ দেন তখনই হয়তো ওনাদের এক তালাক হয়ে গিয়েছে বায়েন হিসেবে যেহেতু ওনাদের অন্তরঙ্গতা ছিলো না এবং সহবাসও হয়নি। খালওয়াতে সহীহাও হয়নি।নোটিশটা যদিও রেজয়ী তালাকের। স্ত্রী বলছেন ওনার জন্য নাকি ইদ্দতকাল প্রযোজ্য নয়।আরও বলছেন আর না হয় গ্রামের বাড়িতে বসে যখন ওনি ওনার স্বামীকে মেসেজে বললেন উনি বিবাহিত না ডিভোর্সি উনি বুঝতে পারছেন না আর তার রিপ্লাইতে স্বামী যখন বললেন আমাদের এখন সম্পর্ক নেই যেহেতু তুমি চেয়েছিলে তখনই নাকি এক তালাকে বায়েন হয়ে গিয়েছে।পরবর্তীতে জানা যায় এই মেসেজের মাধ্যমে স্বামী তালাক দেননি।পরে ওনার স্বামী তিন তালাক একসাথে দিলেও নাকি পতিত হবে না।উনি এটা নাকি বিশ্বাস করেন ওনার স্বামী গ্রামের বাড়িতে বসে ওনাকে ঐ মেসেজ এবং ওনাকে প্রথম নোটিশ পাঠানোর সময় একসাথে তিন তালাক দেননি।এটা দিয়েছেন কষ্টে পরে।ওনার বাবার নাম্বারে কাজি অফিসের সিল সহ ডাকের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর আগে দিয়েছেন।ওনাদের বিয়ের মাত্র আট মাস বর্তমানে।ডিভোর্সের ঘটনাগুলো ঘটেছে বিয়ের ছয় মাসে। সম্মানিত মুফতি ১।বোনের ধারণা কি সঠিক।ওনার স্বামী যদি সত্যিই তিন তালাক আগে একসাথে না দিয়ে থাকেন তাহলে গ্রামের বাড়িতে বসে ওনার আর ওনার স্বামীর সেই মেসেজের মাধ্যমেই কি এক তালাকে বায়েন হয়ে গিয়েছে?২।যদি হয়ে থাকে তাহলে বোনকে নোটিশ পাঠানোর সময় কি আরও এক তালাকে বায়েন হয়ে গিয়েছে?হয়ে থাকলে এটা কি স্বামীর নোটিশে সাইন করার জন্য শাইখ?যদি স্বামীর সাইন না হয় মানে স্বামী যদি সাইন না করেন কিন্তু স্ত্রীকে নোটিশ পাঠান তাহলে কি তালাক হত?৩।এরপর যদি স্বামী আবার একসাথে তিন তালাক দেন তখন তো তিন তালাকই ওনাদের জন্য পূর্ণ হয়ে গেলো না? ৪।নাকি তিন তালাক দেয়ার পূর্বে কোনো কারণে ওনাদের বা ওনার স্বামীর অজান্তেই এক তালাকে বায়েন হয়ে গেলে পরের আর কোনো তালাকই কার্যকর হবে না?৫।ওনারা কি আবার বিয়ে করে একসাথে থাকতে পারবেন?৬।ওনার জন্য রেজয়ী তালাক যদি প্রযোজ্য না হয় কিন্তু তালাকের নোটিশটা তো রেজয়ী তালাকের।এক্ষেত্রে ওনার জন্য প্রযোজ্য না হলেও নোটিশ যেহেতু রজয়ী তালাকের শরীয়া কি এটাই গ্রহণ করবে? তাহলে ওনার ইদ্দতকালও তো তিন মাস হবে নোটিশের তারিখ থেকে।শরীয়া যদি রেজয়ী তালাক হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে ইদ্দতকালের মধ্যে স্বামী যদি আরও তালাক দেন সেগুলো কি পতিত হবে?ওনাদের মধ্যে যেহেতু স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো না বোনের মাসিকের তারিখ এসব সম্পর্কে স্বামী অবহিত ছিলেন না।তালাক দিয়ে থাকলে সেটা মাসিক চলাকালীন সময়ে দেয়া হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে কেউ জানেননা।৭।নোটিশ অনুযায়ী ইদ্দতকাল শেষ হতে এখনও এক মাসের কম আছে।এ অবস্থায় করণীয় কী?নোটিশ প্রত্যাহার করলে কি শরীয়া অনুযায়ী ওনারা একসাথে থাকতে পারবেন স্বামী স্ত্রী হিশেবে? আর নোটিশ অনুযায়ী ইদ্দতকাল যদি শেষ হয়ে যায়ও তাও আবার বিয়ে করে একসাথে থাকতে পারবেন কি ওনারা?
উস্তায দুআ করবেন বোন যেন ওনার মা,বাবার,পরিবারের চক্ষু শীতলকারী হতে পারেন।হক যথাযথভাবে আদায় করতে পারেন সবার।আল্লাহ যেন মাফ করে দেন ওনাকে,ওনার স্বামীকে।দুনিয়া আখিরাতে সর্বোত্তম কল্যাণ দিয়ে আফিয়া খাইরের সাথে ওনার আর ওনার স্বামীর জন্য যেন উত্তম ফয়সালা করেন। লেখার অকল্যাণ থেকে আল্লাহ হিফাজত করুন।
জাযাকাল্লাহু খইরন শাইখ।আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।