জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া অকাট্য ভাবে প্রমানীত ফরজ।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فَاِذَا اطْمَاْنَنْتُمْ فَاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ، اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا.
অতঃপর যখন তোমরা নিরাপত্তা বোধ করবে তখন সালাত যথারীতি আদায় করবে। নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে মুমিনদের এক অবশ্যপালনীয় কাজ। -সূরা নিসা (৪) : ১০৩
কোনোভাবেই এটি ছেড়ে দেওয়া জায়েয নেই।
তবে কোনো অতিব সমস্যার কারনে যদি ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,নামাজ যদি না পড়তে পারে,তাহলে সেটার কাজা আদায় করবে।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,আমরা
ফতোয়াতে উল্লখ করেছি যে শখের বসে সফর হলে অবশ্যই জামাআত তরক হবেনা,এমন সময় বুঝেই সফর করতে হবে।
তারপরেও কেহ যদি শখের বসে সফর করার কারনে শত চেষ্টার পরেও জামাআতের সহিত নামাজ আদায় না করতে পারে,তাহলে তার গুনাহ হবেনা।
গাড়িতে উঠার পর এটাও শরয়ী ওযর বলেই গন্য হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও গাড়িতে উঠার পর
(কোনোভাবেই নামাজ পড়তে না পারলে নামাজীর সাদৃশ্য গ্রহণ করা) এটি শরয়ী ওযর বলেই গন্য হবে।
তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাইতে হবে যে কোনোভাবেই নামাজ তরক হবেনা,এমন সময় বুঝেই সফর করতে হবে।
প্রয়োজনে আযান হওয়ার আগেই শুরুর ওয়াক্তে নামাজ আদায় করে গাড়িতে উঠবে।
দূরে সফর হলে রাত্রী বেলা শুরুর ওয়াক্তে ইশার নামাজ আদায় করেই গাড়িতে উঠবে।
প্রয়োজনীয়,অযুর পানি কাছে রাখবে।
,
তায়াম্মুম করার মাটিও কাছে রাখবে।