আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

মহিলারা দূরে কোথাও সফর করলে যেখানে কসর পড়তে হয় এমন দূরত্বে, তবে গাড়িতে বসে স্বলাত আদায়ের বিধানও পালন করতে হবেই। কারণ ওয়াক্তও এসে যাবে সেসময়। পবিত্রতা অর্জনের কোন উপায় না থাকলে সে নামাজীর সাদৃশ্য গ্রহণ করবে। প্রশ্ন হলো-
এহেন অবস্থায় যেহেতু সে ওয়াক্তমতো নামাজ ঠিকমতো আদায় করতে পারবে না তবে এমতাবস্থায়  তার জন্য কি দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া অকাট্য ভাবে প্রমানীত ফরজ।  

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فَاِذَا اطْمَاْنَنْتُمْ فَاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ، اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا.

অতঃপর যখন তোমরা নিরাপত্তা বোধ করবে তখন সালাত যথারীতি আদায় করবে। নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে মুমিনদের এক অবশ্যপালনীয় কাজ। -সূরা নিসা (৪) : ১০৩

কোনোভাবেই এটি ছেড়ে দেওয়া জায়েয নেই। 
তবে কোনো অতিব সমস্যার কারনে  যদি ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,নামাজ যদি না পড়তে পারে,তাহলে সেটার কাজা আদায় করবে।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।   

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,আমরা  
ফতোয়াতে উল্লখ করেছি যে শখের বসে সফর হলে অবশ্যই জামাআত তরক হবেনা,এমন সময় বুঝেই সফর করতে হবে।

তারপরেও কেহ যদি শখের বসে সফর করার কারনে শত চেষ্টার পরেও  জামাআতের সহিত নামাজ আদায় না করতে পারে,তাহলে তার গুনাহ হবেনা।  

গাড়িতে উঠার পর এটাও শরয়ী ওযর বলেই গন্য হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও গাড়িতে উঠার পর 
(কোনোভাবেই নামাজ পড়তে না পারলে নামাজীর সাদৃশ্য গ্রহণ করা) এটি শরয়ী ওযর বলেই গন্য হবে। 

তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাইতে হবে যে কোনোভাবেই নামাজ তরক হবেনা,এমন সময় বুঝেই সফর করতে হবে।
প্রয়োজনে আযান হওয়ার আগেই শুরুর ওয়াক্তে নামাজ আদায় করে গাড়িতে উঠবে।
দূরে সফর হলে রাত্রী বেলা শুরুর ওয়াক্তে ইশার নামাজ আদায় করেই গাড়িতে উঠবে।
প্রয়োজনীয়,অযুর পানি কাছে রাখবে।
,
তায়াম্মুম করার মাটিও কাছে রাখবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...