আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। স্বামী ও তার পরিবার স্ত্রীর সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ কারন তারা চাইতো যে দুজনে সুখে শান্তিতে সংসার করে। কিন্তু স্ত্রী অনেক জেদি হওয়ার কারনে সামীর পরিবারের কারো কথাই শুনছিলো না তখন। তখন স্ত্রীর শ্বশুর স্ত্রীকে পরামর্শ দেয় যে দুই পক্ষের কয়েকজন নিয়ে বসে ব্যাপারটার একটা সমাধান করা যাবে।( আসলে ছেলের বাবা চাইছিলো  যে কোন কারনেই যেনো কোন খারাপ সিদ্ধান্ত না হয় ,তারা চাইতো যেন সংসার টা ভালো ভাবে চলতে পারে এবং স্ত্রীর পরিবারের অন্য সদস্যরাও চাইতো তাদের সংসার টা  যেন ভালোভাব চলে)  ।কিন্তু স্ত্রী তখনও এই কথা মানতে নারাজ । কোন উপায় না পেয়ে যদি স্বামীর  বাবা অথবা স্বামী যদি মেয়ের বাবাকে জানানোর কথা চিন্তা করে  যে স্ত্রী এমন এমন করতেছে যেহেতু স্ত্রী কারো কথাই শুনছে না হয়ত স্ত্রীর নিজ বাবার কথা শুনবে। স্বামীর পরিবারের ধারনা ছিল যে স্ত্রী হয়ত তার নিজের  ফ্যামিলির কথা শুনে চুপ থাকবে এবং তার ফ্যামিলির কথা মানবে আর এমন কথা বলবে না এবং দুই পরিবার বসে একটা সমাধানের রাস্তা খুজে বের করবে। এখানে অন্য কোন নিয়তে মেয়ের ফ্যামিলিকে জানানোর চিন্তা করা হয়নি। যদিও পরবর্তীতে মেয়ের ফ্যামিলির উপস্তিতি ছাড়াই ব্যাপারটি ভালোভাবে সমাধান করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে যে ছেলে এবং ছেলের বাবা স্ত্রীর বাবাকে অথবা স্ত্রীর ফ্যামিলিকে উক্ত বিষয়টি জানানোর চিন্তা করেছে এবং জানিয়েছে, তার জন্য কোন সমস্যা হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়াত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর আনাচে-কানাচে থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীন শিক্ষার জন্য আসবে। তারা তোমাদের নিকট আসলে তোমরা তাদের ভালো কাজের উপদেশ দিবে।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনা মুতাবেক উক্ত পরিবারের বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...