আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,
আমি ৫ দিন আগে একটা সদ্য খোলা হিফয মাদ্রাসায় পার্টটাইম হিফয পড়া শুরু করি,আমার আর্থিক অসচ্ছলতার দরুন ভর্তি ফী ও বেতন নিয়ে তাদের সাথে আমার চুক্তি হয় যে তারা কমিয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমান (১০০০ ভর্তি,৮০০ বেতন)রাখবে আর তা আমি আগামী মাসে আমার টিউশন ফী পেলে দিবো।এই মর্মে ভর্তি ফর্ম ফিলাপ ও তাতে ওই টাকার পরিমান লেখা হয়ে যায়,আমি সাক্ষর করি।
এরপর ওই মাদ্রাসায় আমি পড়তে শুরু করি, আগে তাদের ব্যবহার অনেক ভালো আন্তরিক থাকলেও আস্তে আস্তে আমার উপর টাকা প্রদানের জন্য চাপ প্রদান করতে থাকে নানা কথায়,আর আমাকে পড়াতেও অবহেলা শুরু করে।আজকে আমি মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি অন্য এক অভিভাবককে আমার সামনেই পরিচালক আপা ভর্তি ফী পে করার জন্য কনভিন্স করতে বলতেছে আমি নাকি ২০০০ টাকা ভর্তি ফী দিয়েছি,যা কিনা আমি দেইনি তবে আমার কাছ থেকে তারা ফর্মের ফী ১০০ টাকা নিয়েছে এবং আরও কিছু মিথ্যা বলে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে বলে,পরে ওই অভিভাবক বাকবিতন্ডা করে চলে গেলে পরিচালিকা আলেমা হাফিজা আপা আমাকে যা বলেন তার সারমর্ম এই যে :আমি কি সত্যিই ভর্তি হতে চাই কিনা.. ভর্তি হতে চাইলে আমাকে ২০০০ টাকা দিতে হবে! বেতনও ৮০০ এর বেশী দিতে বলে রুড আচরণে , তারা নতুন মাদ্রাসা খুলেছে প্রচার প্রসার করতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কথা বলে আগামীকালের মধ্যেই যেন যেভাবে পারি অন্তত ১০০০ টাকা যোগার করে দেই ধার দেনা হলেও(আমার পরিবার রাজিনা আমার মাদ্রাসায় পড়া,তাদের কাছে খরচ চাইতে পারবোনা,আর দিবেওনা) অন্যান্য মাদ্রাসায় এমনই নেয় হেন তেন অনেক কথা বলে বোঝায় যেই জায়গায় আমার পিছনে তাদের কোনো খাটনিই নেই,বাসায় পড়ার পরিবেশ নেই তাই সেখানেই ২/২.৩০ ঘন্টা পড়ে আমি পড়া দেই তিনি একটু পড়া শুনে পড়া দিয়ে দেয়,তাও অন্যান্য বাচ্চাদের পড়া শেষ হলে পরে,যেখানে অন্যান্য মাদ্রাসায় সারাদিনই সার্ভিস দেয়।
এখন তাদের ব্যবহারে আমি খুবই অসন্তুষ্ট,আমি ইস্তিখারা মাশোয়ারা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর পড়বোনা।আমি আর সেখানে পড়তে চাইনা,যেহেতু আমি মাসের মাত্র ৪ দিন পড়েছি আর পড়বোনা,তো সেই ক্ষেত্রে আমি যে ওয়াদা করেছিলাম ভর্তি ফী দিবো এটার কী হবে? (আমি বলে এসেছি ভর্তি ফী জোগার না করতে পারলে আর পড়বোনা) আর তারা যে আমার সাথে এভাবে কথার বরখেলাপ করলো এইটা কি হবে?