আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,

আমি ৫ দিন আগে একটা সদ্য খোলা হিফয মাদ্রাসায় পার্টটাইম হিফয পড়া শুরু করি,আমার আর্থিক অসচ্ছলতার দরুন ভর্তি ফী ও বেতন নিয়ে তাদের সাথে আমার চুক্তি হয় যে তারা কমিয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমান (১০০০ ভর্তি,৮০০ বেতন)রাখবে আর তা আমি আগামী মাসে আমার টিউশন ফী পেলে দিবো।এই মর্মে ভর্তি ফর্ম ফিলাপ ও তাতে ওই টাকার পরিমান লেখা হয়ে যায়,আমি সাক্ষর করি।

এরপর ওই মাদ্রাসায় আমি পড়তে শুরু করি, আগে তাদের ব্যবহার অনেক ভালো আন্তরিক থাকলেও আস্তে আস্তে আমার উপর টাকা প্রদানের জন্য চাপ প্রদান করতে থাকে নানা কথায়,আর আমাকে পড়াতেও অবহেলা শুরু করে।আজকে আমি মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি অন্য এক অভিভাবককে আমার সামনেই পরিচালক আপা ভর্তি ফী পে করার জন্য কনভিন্স করতে বলতেছে আমি নাকি ২০০০ টাকা ভর্তি ফী দিয়েছি,যা কিনা আমি দেইনি তবে আমার কাছ থেকে তারা ফর্মের ফী ১০০ টাকা নিয়েছে এবং আরও কিছু মিথ্যা বলে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে বলে,পরে ওই অভিভাবক বাকবিতন্ডা করে চলে গেলে পরিচালিকা আলেমা হাফিজা আপা আমাকে যা বলেন তার সারমর্ম এই যে :আমি কি সত্যিই ভর্তি হতে চাই কিনা.. ভর্তি হতে চাইলে আমাকে ২০০০ টাকা দিতে হবে! বেতনও ৮০০ এর বেশী দিতে বলে রুড আচরণে , তারা নতুন মাদ্রাসা খুলেছে প্রচার প্রসার করতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কথা বলে আগামীকালের মধ্যেই যেন যেভাবে পারি অন্তত ১০০০ টাকা যোগার করে দেই ধার দেনা হলেও(আমার পরিবার রাজিনা আমার মাদ্রাসায় পড়া,তাদের কাছে খরচ চাইতে পারবোনা,আর দিবেওনা)  অন্যান্য মাদ্রাসায় এমনই নেয় হেন তেন অনেক কথা বলে বোঝায় যেই জায়গায় আমার পিছনে তাদের কোনো খাটনিই নেই,বাসায় পড়ার পরিবেশ নেই তাই সেখানেই ২/২.৩০ ঘন্টা পড়ে আমি পড়া দেই তিনি একটু পড়া শুনে পড়া দিয়ে দেয়,তাও অন্যান্য বাচ্চাদের পড়া শেষ হলে পরে,যেখানে অন্যান্য মাদ্রাসায় সারাদিনই সার্ভিস দেয়।


এখন তাদের ব্যবহারে আমি খুবই অসন্তুষ্ট,আমি ইস্তিখারা মাশোয়ারা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর পড়বোনা।আমি আর সেখানে পড়তে চাইনা,যেহেতু আমি মাসের মাত্র ৪ দিন পড়েছি আর পড়বোনা,তো সেই ক্ষেত্রে আমি যে ওয়াদা করেছিলাম ভর্তি ফী দিবো এটার কী হবে? (আমি বলে এসেছি ভর্তি ফী জোগার না করতে পারলে আর পড়বোনা) আর তারা যে আমার সাথে এভাবে কথার বরখেলাপ করলো এইটা কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সাথে এরকম আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। বর্তমানে তাদেরকে টাকা দেওয়া লাগবে কি না? অর্থাৎ যদতিন পড়েছেন, সেই পরিমাণ টাকা কি এখন দিতে হবে? সেটা তাদের কাছ থেকে জেনে নিবেন।তারা যদি দিতে বলে, তাহলে দিবেন।নতুবা দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 242 views
...