আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ ভাই।

আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।একটা গুুুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ চাই।

আমি একজন মেয়েকে পছন্দ করতাম আগে তার সাথে অবৈধ বা হারাম সম্পর্ক ছিলো। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে সম্পর্ক ছেড়ে  দিয়েছিলাম।তারপর আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ দ্বীনের পথে আনলেন।দ্বীনের পথে আসার পর আলহামদুলিল্লাহ আমার বিবাহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলো।সেই প্রয়োজনীয়তা থেকে বাবা মাকে অনেক বলার পর ও মেয়ে দেখলোনা।তাই আমি নিজে আবার অই মেয়েটাকে নক দিলাম এবং বললাম দ্বীনের পথে চললে তাকে আমি বিয়ে করে নিবো।আলহামদুলিল্লাহ সেও আল্লাহর রহমতে দ্বীনের পথে আসছে এখন।সেও বিয়ে করতে রাজী হলো এবং আমার পরিবার এবং মেয়ের পরিবার বসে কথা বললো।আমার পরিবার রাজী আছে কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজী ছিলোনা।এর মধ্যে আমার মায়ের পছন্দ করা একটি মেয়ের পরিবার থেকে শুনলাম যে অই মেয়ের বাবা হয়তো আমাকে দেখবে এবং পছন্দ হলে কথাবার্তা বলে রাখবে।এমতাবস্থায় আমি কি করবো?আবার আমার পছন্দ করা মেয়ের পরিবার এখন রাজী হইয়া গেছে।উল্লেখ্য আমার মায়ের পছন্দ করা মেয়ের পরিবার আমার পছন্দ করা মেয়ের পরিবার থেকেও বেশি দ্বীনদার এবং স্টার্ন্ডাড এবং মেয়েটিও তুলনামূলক অনেক দ্বীনদা।আমার কি করা উচিত এমতাবস্থায়

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফেকহী গ্রন্থ 'আল-মা'সুআতুল ফেকহীয়্যায়(২৮/৩২৭)' বর্ণিত রয়েছে,

"طاعة المخلوقين - ممّن تجب طاعتهم – كالوالدين ، والزّوج ، وولاة الأمر : فإنّ وجوب طاعتهم مقيّد بأن لا يكون في معصية ، إذ لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق" انتهى
শরীয়ত কর্তৃক যাদের বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।
যেমনঃ মাতাপিতা,স্বামী,এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান বা তাদের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।
তাদের বিধিনিষেধ আমলে নেয়া তখনই ওয়াজিব যখন তা শরীয়ত বিরোধী হবে না।কেননা 'সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীতে কোনো সৃষ্টজীবের অনুসরণ করা যায় না'(মর্মে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে)

 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 

চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)


সম্মাণিত দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী-ই জীবনের অনেক বড় পাওয়া।আপনার বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু আপনার মায়ের পছন্দ করা মেয়ে তুলনামূলক বেশী দ্বীনদার। তাই এক্ষেত্রে যদি মা ঐ মেয়েকে বিয়ে করার আদেশ দেন,তাহলে ঐ মেয়েকে বিয়ে করার আদেশ মান্য করা আপনার উপর ওয়াজিব।কেননা বৈধ কাজে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।
ইতিপূর্বে যে মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক ছিল,সেই সম্পর্কের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকুন।আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।ইনশা আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
আমার পছন্দ করা মেয়েপক্ষের সাথে আমার
পরিবার তো প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলো বা কথা বলেছিলো যদিও মেয়েপক্ষ প্রথমে নেগেটিভ কথা বলেছিলো কিন্তু এর মাঝেই আমার আম্মুর পছন্দ করা মেয়ের পক্ষ থেকে আমাকে দেখার একটা ব্যাপার আসছে, দেখা হলেই যে পছন্দ হবে তা নয়।কিন্তু এখন আবার আমার পছন্দ করা মেয়েপক্ষের থেকে পজিটিভ উত্তর আসছে।এমতাবস্থায় কি করবো আমরা?আমরা যদি মেয়েপক্ষকে না বলে দেই ব্যাপারটা কি প্রতারণার পর্যায়ে পড়বেনা?যেহেতু আমরা প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
by (597,330 points)
যেহেতু আপনারা প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলেন,তখন তারা কিছুই বলেনি।সে হিসেবে আপনারা অন্য কোথাও পাত্রী দেখেছেন,এটাই স্বাভাবিক যে,প্রস্তাবের পর উত্তর না আসলে মানুষ অন্যত্র ট্রাই করবে,তাই আপনারা ভিন্ন কোথাও পাত্রী পছন্দ করে নিলে,সেটা প্রতারণা হবে না।তবে যদি আপনারা অপেক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন,তাহলে আপনারা অন্যত্র পাত্রী দেখতে পারবেন না।দেখলে সেটা প্রতারণা হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...