বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফেকহী গ্রন্থ 'আল-মা'সুআতুল ফেকহীয়্যায়(২৮/৩২৭)' বর্ণিত রয়েছে,
"طاعة المخلوقين - ممّن تجب طاعتهم – كالوالدين ، والزّوج ، وولاة الأمر : فإنّ وجوب طاعتهم مقيّد بأن لا يكون في معصية ، إذ لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق" انتهى
শরীয়ত কর্তৃক যাদের বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।
যেমনঃ মাতাপিতা,স্বামী,এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান বা তাদের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।
তাদের বিধিনিষেধ আমলে নেয়া তখনই ওয়াজিব যখন তা শরীয়ত বিরোধী হবে না।কেননা 'সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীতে কোনো সৃষ্টজীবের অনুসরণ করা যায় না'(মর্মে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
সম্মাণিত দ্বীনী ভাই/বোন!
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী-ই জীবনের অনেক বড় পাওয়া।আপনার বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু আপনার মায়ের পছন্দ করা মেয়ে তুলনামূলক বেশী দ্বীনদার। তাই এক্ষেত্রে যদি মা ঐ মেয়েকে বিয়ে করার আদেশ দেন,তাহলে ঐ মেয়েকে বিয়ে করার আদেশ মান্য করা আপনার উপর ওয়াজিব।কেননা বৈধ কাজে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।
ইতিপূর্বে যে মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক ছিল,সেই সম্পর্কের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকুন।আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।ইনশা আল্লাহ।