আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)

১.আমার কিছু দিন যাবত জল বসন্ত হয়েছে,যার ফলে জ্বর হয়েছে, সারাদিনের অনেক বারই জ্বর ভাব থাকে ফজরের সময় যা বেশি থাকে।তখন সাধারণ পানিতে গোসল করলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে জ্বর বেড়ে যেতে পারে, জ্বর বাড়া তো বিষয় টা বিষয় হলো যদি ঠান্ডা লাগে ভাইরাস আরো সক্রিয় হবে তখন আরো বসন্ত বৃদ্ধি বা রোগ দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেহেতু এটা ভাইরাস জনিত। গরম পানির বিষয়টি জানি না যে এই সময়ে গরম পানি ইউজ করলেও সমস্যা হয় কি না। কারণ সময় তো ঠান্ডাটে থাকে...। আজকে  ঘুম ভাঙ্গার পর গোসল ফরজ হয়েছে দেখলাম তখন প্রথমেই মাথায় আসে তায়মুম এর কথা, এর নিয়ে খোজতে কিছু সময় যায় গরম পানি করে গোসলের কথা মনে ছিলো না যখন মনে পরে তখন এই কাজের সময় ছিলো না,তাই তায়ামুম করে নামাজ পরে নিয়েছিলাম তখন নাপাক কাপড় বদলে অন্য কাপড় পরেছিলাম বটে তবে শুকনা নাপাকি গায়ো ছিলো।ধুই নাই।

 মনে খুতখতি ছিলো,এই নামাজ কি হয়েছে?

২.  এখন আজ কালের মাঝে এমন হলে একই ভাবে তায়মুম করতে পারবো?

৩. একট মুভিতে এক ভিনগ্রহ বাসী পৃথিবীর কোন ধর্ম সঠিক এটা বুঝতে না পেরে গান গায় " মে শুনা হে ইস দুনিয়া তু চালাতা হে,     ছারে দুনিয়া তেরি আগে ছার জুকাতা হে,  ভাগওয়ান হে কাহা রে তু,  হে খোদা হে কাহা রে তু" এই গান কোনো মুসলিম কোনো উদ্দেশ্য না নিয়ে শুধু গান হিসাবে যদি গায় তবে তার কুফর হবে কি?

৪. "কোরআন-হাদীস সত্য হলে, আমীরে মোয়াবিয়া(রা:) যে সাহাবী ইটাও সত্যি " এইভাবে বলা কি ঠিক?

৫. কোরআনের একটি আয়াত কোন সুরার এটা কোন সুররা অংশ এটা নিয়ে দুইজন তর্কে লিপ্ত হলো, পরে দেখা গেলো স্বাভাবিক ভাবেই একজন ভুল এবং সে ভুল বুঝতে পেরে স্বীকার করলো।  তার তর্কের ফলে ইমানে সমস্যা হবে?

৬. "আল্লাহ আরশের উপর আছেন, যেমনটা উনার সম্মানের সাথে যায় সেভাবে, আবার আমাদের জবানের কাছেও যেভাবে উনার সম্মানের সাথে যায় সেভাবে।

এই বক্তব্য কি সঠিক?

৭. এক ঘরোয়া জলসায় সিজদা দেখানোর জন্য একজন ছাত্রকে একজন শিক্ষক বলেন যাও ওইখানে সিজদা করে দেখাও, তখন উর সিজদার জায়গার সামনে একজন ছিলো, উনি নরেন নি সে তার সামনেই সিজদা দিয়েছে তসবিহ পড়েছে। এতে কি তার কুফর হবে? এবং আর যদি অন্যকেও এটা ভাবে এটা কুফর কিনা খোজ করে আমি কি করবো ওদের টা ওরা বুঝবে, তাহলে সেও কি কাফের হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুপাতে যে সমস্ত কারনে অযু বা গোসলের স্থানে তায়াম্মুম করা জায়েজ,তার মধ্যে অন্যতম একটি কারন হলোঃ 
★পানি ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকা।

যেমন :
ক - অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করে তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।

খ – প্রচন্ড ঠান্ডায় যদি পানি গরম করার মতো কিছু না থাকে এবং পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাবে এ ধারণার পাল্লা ভারি থাকে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। 

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,

 وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَفُوًّا غَفُوۡرًا ﴿۴۳﴾ 

 ‘আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাকো কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে, কিংবা নারীগমন করে থাকো, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তির সম্ভাবনা না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৩)

বিস্তারিত জানুনঃ   

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، أَخْبَرَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ الْمِصْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ : احْتَلَمْتُ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ فَأَشْفَقْتُ إِنِ اغْتَسَلْتُ أَنْ أَهْلِكَ فَتَيَمَّمْتُ ثُمَّ صَلَّيْتُ بِأَصْحَابِي الصُّبْحَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ : " يَا عَمْرُو صَلَّيْتَ بِأَصْحَابِكَ وَأَنْتَ جُنُبٌ ". فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي مَنَعَنِي مِنَ الاِغْتِسَالِ، وَقُلْتُ : إِنِّي سَمِعْتُ اللهَ يَقُولُ ( وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا ) فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا .

‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সময় খুব শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়। আমার ভয় হলো, আমি যদি গোসল করি তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ হবো। তাই আমি তায়াম্মুম করে লোকদের সলাত আদায় করালাম। পরে তারা বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আমর! তুমি নাকি জুনুবী অবস্থায় তোমার সাথীদের সঙ্গে সলাত আদায় করেছ! তখন আমি গোসল না করার কারণ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলাম এবং বললাম, আমি আল্লাহর এই বাণীও শুনেছিঃ ‘‘তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি বড়ই দয়াবান’’- (সূরাহ আন-নিসাঃ ২৯)। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন এবং কিছুই বললেন না।
(আবু দাউদ ৩৩৪.আহমাদ (৪/২০৩, ২০৪), বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (১/২৫৫), হাকিম (১/১৭৭)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে গরম পানি দিয়ে গোসল করা আপনার জন্য ক্ষতিকর নয় 
তাই এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় জায়েজ হয়নি।

আপনাকে ফরজ গোসলই করতে হবে।

(০২)
না,তায়াম্মুম করতে পারবেননা।

তবে বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শ মতে এক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও আপনার মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তায়াম্মুম করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে এক নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে আপনার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। 

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কুফর হবেনা।

(০৪)
এই ভাবে বলাটা ঠিক নয়,বলার ভঙ্গিমা ঠিক নয়।

তবে মুয়াবিয়া রাঃ যে সাহাবী,এটি ধ্রুব সত্য।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে না জেনে এভাবে কোনো তর্ক করব ঠিক নয়।

(০৬)
কেউ কেউ এভাবে বলার অনুমতি দেন।
তবে বেশির স্কলারদের মতে এভাবেও বলা যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তার কুফর হবেনা।
আর অন্য কেউ যদি প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি ভাবে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১ নং ক্ষেত্রে গরম পানি করার প্রয়োজনীয় সময় না পেলে কি তায়াম্মুম করতে পারবো?
by (560,820 points)
না,এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা যাবেনা।
গরম পানি করার পর ওয়াক্ত না থাকলে কাজা নামাজ আদায় করবে।
তবুও গোসলই করতে হবে।
তায়াম্মুম করা যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...