আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
451 views
in সালাত(Prayer) by (21 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

যাদের সচরাচর মাঝরাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠার অভ্যাস নাই তারা যদি তাহাজ্জুদ সালাত পড়ার নিয়্যাত করে রাখে, কিন্তু তাহাজ্জুদে আদৌ উঠতে পারবো কিনা সেই ভয়ে ইশার সালাতের পরেই বিতরের সালাত পড়ে নেই ও তাহাজ্জুদ শেষে পুনরায় বিতর পড়ে তবে কি গুনাহ হবে?

অর্থাৎ এক রাতে ২টা বিতর হয়ে গেলে কোন সমস্যা কিনা...

জাযাকাল্লাহু খাইর উস্তাজ।
closed

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিহি তা'আলা

সমাধানঃ-

রাত্রের নামাজের মধ্যে সর্বশেষ নামায হল বিতির।

অর্থাৎ এশার পর তাহাজ্জুদ পড়া, তারপর বিতির পড়া মুস্তাহাব।কিন্তু কারো যদি শেষরাত্রে জাগ্রত হওয়ার পূর্ণ ইয়াক্বিন না থাকে তাহলে সে ঘুমানোর পূর্বে এশার নামাযের পরপরই বিতিরের নামায পড়তে পারবে।এবং পরবর্তীতে নফল নামায পড়ার ইচ্ছা জাগলে সে নফলও পড়তে পারবে।

বিতির নামায পড়ার পর তাহাজ্জুদ পড়া যায় না কথাটা সঠিক নয়।বরং পড়া যাবে,এটাই সঠিক।

ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/২২৪

তাই প্রথম রাত্রে যদি কেউ বিতির পড়ে নেয় তাহলে শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়তে পারবে।

যখন কোনো মুসলমান বিতির নামাযকে পড়ে নেবে,অতঃপর পরবর্তীতে ঐ রাত্রে নফল নামায পড়ার মনস্থ করবে সে যেন দুই দুই রাকাত করে নফল নামায পড়ে নেয়।কিন্তু সে যেন দ্বিতীয়বার আবার বিতির নামাযকে না পড়ে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বাণী- 'রাত্রের শেষ নামায যেন বিতির হয়'। উক্ত বাণী মুস্তাহাব হিসেবে বর্ণিত রয়েছে।ওয়াজিব হিসেবে নয়।

শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ, কে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিলো,যখন আমি রাত্রের প্রথমাংশে বিতির পড়ে নিলাম,অতঃপর শেষাংশে জাগ্রত হলাম।তখন আমি কিভাবে নামায পড়ব?

তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,

যখন তুমি রাত্রের প্রথমাংশে বিতির পড়ে শোয়ার পর রাত্রের শেষাংশে জাগ্রত হবে,তখন দু'রাকাত দু'রাকাত করে যা সম্ভব হয় তুমি নামায পড়ে নেবে।তবে বিতিরকে আবার পড়বে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,

( ﻻ ﻭﺗﺮﺍﻥ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ )

এক রাতে দুই বিতির নেই।

এবং হয়রত আয়েশা রাযি এর সেই বর্ণনা যাতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতির পড়ার পরও বসে দু'রাকাত নামায পড়েছেন।সোখানে মূলত রাসূলুল্লাহ সাঃ বৈধতা প্রমাণের জন্যই পড়েছেন।

মাজমুউল ফাতাওয়া-১১/৩১১

ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
অনেক সুন্দর করে বুঝালেন উস্তায। জাযাকাল্লাহু খাইর।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...