বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
রাত্রের নামাজের মধ্যে সর্বশেষ নামায হল বিতির।
অর্থাৎ এশার পর তাহাজ্জুদ পড়া, তারপর বিতির পড়া মুস্তাহাব।কিন্তু কারো যদি শেষরাত্রে জাগ্রত হওয়ার পূর্ণ ইয়াক্বিন না থাকে তাহলে সে ঘুমানোর পূর্বে এশার নামাযের পরপরই বিতিরের নামায পড়তে পারবে।এবং পরবর্তীতে নফল নামায পড়ার ইচ্ছা জাগলে সে নফলও পড়তে পারবে।
বিতির নামায পড়ার পর তাহাজ্জুদ পড়া যায় না কথাটা সঠিক নয়।বরং পড়া যাবে,এটাই সঠিক।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/২২৪
তাই প্রথম রাত্রে যদি কেউ বিতির পড়ে নেয় তাহলে শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়তে পারবে।
যখন কোনো মুসলমান বিতির নামাযকে পড়ে নেবে,অতঃপর পরবর্তীতে ঐ রাত্রে নফল নামায পড়ার মনস্থ করবে সে যেন দুই দুই রাকাত করে নফল নামায পড়ে নেয়।কিন্তু সে যেন দ্বিতীয়বার আবার বিতির নামাযকে না পড়ে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বাণী- 'রাত্রের শেষ নামায যেন বিতির হয়'। উক্ত বাণী মুস্তাহাব হিসেবে বর্ণিত রয়েছে।ওয়াজিব হিসেবে নয়।
শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ, কে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিলো,যখন আমি রাত্রের প্রথমাংশে বিতির পড়ে নিলাম,অতঃপর শেষাংশে জাগ্রত হলাম।তখন আমি কিভাবে নামায পড়ব?
তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,
যখন তুমি রাত্রের প্রথমাংশে বিতির পড়ে শোয়ার পর রাত্রের শেষাংশে জাগ্রত হবে,তখন দু'রাকাত দু'রাকাত করে যা সম্ভব হয় তুমি নামায পড়ে নেবে।তবে বিতিরকে আবার পড়বে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
( ﻻ ﻭﺗﺮﺍﻥ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ )
এক রাতে দুই বিতির নেই।
এবং হয়রত আয়েশা রাযি এর সেই বর্ণনা যাতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতির পড়ার পরও বসে দু'রাকাত নামায পড়েছেন।সোখানে মূলত রাসূলুল্লাহ সাঃ বৈধতা প্রমাণের জন্যই পড়েছেন।
মাজমুউল ফাতাওয়া-১১/৩১১
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.