আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (17 points)
edited by
আসালামুয়ালাকুম হুজুর,

হুজুর আমি চূড়ান্ত পর্যায়ের ওয়াসওয়াসা রুগী।

১.আমি এক সময় চাকরীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম । তার কিছু দ্বীনের মধ্যে একটা হুজুর এর সঙ্গে কথা হয় , তখন আমি হুজুর কে বলি আমার জন্য দুয়া করবেন আল্লাহর কাছে যেনো আমার চাকরী টা হয়ে জাই। হুজুর বলেছিলেন  জি ইনশাল্লাহ্ । দিয়ে মনে মনে ভাবলাম এবার হয়ত চাকরী হবে হুজুর দুয়া করেছেন।কিছু দিন পর চাকরী হয়ে যায় , দিয়ে বলি হুজুর এর দুয়া আল্লাহ কবুল করেছেন।

আমি এখানে আল্লাহর সাতে কাও কে শরিক করছিনা । শুধু মাত্র হুজুর এর দুয়া আল্লাহ কবুল করেছেন এটা বলেছি।

এই কথা বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে??

২. আজকে একটা ইন্টাভিউ আছে তাই রেডি হচ্ছিলাম আর মনে মনে বলছিলাম যাওয়ার সময় হুজুর এর কাছে যাবো গিয়ে বলবো আমার জন্য দুয়া করবেন , আমি ইন্টারিউতে যাচ্ছি।

বা এইরকম মনে হচ্ছিল যে হুজুর এর কাছে দুয়া নিবো।

হুজুর দের দুয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে সেই উদ্দেশ্যে বলেছিলাম। দিয়ে আমার ভয় হতে লাগলো আমার ঈমান চলে গেলো নাকি??

আমি আল্লাহর কাছে দুয়া করার জন্য বলবো এই তাই উদ্দেশ্য ছিল ।মনে মনে ভয় হচ্ছে ঈমান চলে গেলো নাকি??

হুজুর আমার আল্লাহ র সঙ্গে কাউকে শরিক করিনি আল্লাহ কসম করে বলছি । সাধারণ ভাবে দুয়া চাওয়ার কথা বলেছি।

এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??

৩. হুজুর আমি ocd রোগের ওষধ খাচ্ছি আমি ভীষণ মানসিক রুগি আমার না না রকমের কুফেরী চিন্তা হচ্ছে কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনি । আমার এই সব চিন্তা হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে???

একই প্রশ্ন দুই বার করা হয়ে গিয়েছে একটা প্রশ্ন আপলোড হয়নি uplode  in shortly  বলেছে।

৪.সমস্ত ঘটনাবলি আমার স্ত্রী কে বলি। আমার স্ত্রী কে বলার জন্য কিছু হবে নাকি হুজুর??

1 Answer

0 votes
by (573,420 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


যেকোনো ব্যক্তি অন্যের কাছে দোয়া চাইতে পারবে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে সৎ ও নেককার লোকদের কাছে দোয়া চাওয়া উত্তম। কারণ তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَن أُسَيْرِ بنِ عَمرٍو، وَيُقَالُ : ابنِ جَابِرٍ، قَالَ : كَانَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رضي الله عنه إِذَا أتَى عَلَيهِ أمْدَادُ أهْلِ اليَمَنِ سَألَهُمْ : أفِيكُمْ أُوَيْسُ بْنُ عَامِرٍ ؟ حَتَّى أتَى عَلَى أُوَيْسٍ رضي الله عنه، فَقَالَ لَهُ : أنْتَ أُوَيْسُ ابْنُ عَامِر ؟ قَالَ : نَعَمْ، قَالَ : مِنْ مُرَادٍ ثُمَّ مِنْ قَرَنٍ ؟ قَالَ : نَعَمْ . قَالَ : فَكَانَ بِكَ بَرَصٌ، فَبَرَأْتَ مِنْهُ إلاَّ مَوْضِعَ دِرْهَمٍ ؟ قَالَ : نَعَمْ . قَالَ : لَكَ وَالِدةٌ ؟ قَالَ : نَعَمْ . قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «يَأتِي عَلَيْكُمْ أُويْسُ بْنُ عَامِرٍ مَعَ أمْدَادِ أهْلِ اليَمَنِ مِنْ مُرَادٍ، ثُمَّ مِنْ قَرَنٍ كَانَ بِهِ بَرَصٌ، فَبَرَأَ مِنْهُ إلاَّ موْضِعَ دِرْهَمٍ، لَهُ وَالدةٌ هُوَ بِهَا بَرٌّ لَوْ أقْسَمَ عَلَى الله لأَبَرَّهُ، فإنِ اسْتَطَعْتَ أنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ فَافْعَل»فَاسْتَغْفِرْ لي فَاسْتَغْفَرَ لَهُ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ : أيْنَ تُريدُ ؟ قَالَ : الكُوفَةَ، قَالَ : ألاَ أكْتُبُ لَكَ إِلَى عَامِلِهَا؟ قَالَ : أكُونُ في غَبْرَاءِ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيَّ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ العَامِ المُقْبِلِ حَجَّ رَجُلٌ مِنْ أشْرَافِهِمْ، فَوافَقَ عُمَرَ، فَسَألَهُ عَنْ أُوَيْسٍ، فَقَالَ : تَرَكْتُهُ رَثَّ البَيْتِ قَليلَ المَتَاعِ، قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «يَأتِي عَلَيْكُمْ أُوَيْسُ بْنُ عَامِرٍ مَعَ أمْدَادٍ مِنْ أهْلِ اليَمَنِ مِنْ مُرَادٍ، ثُمَّ مِنْ قَرَنٍ، كَانَ بِهِ بَرَصٌ فَبَرَأَ مِنْهُ إلاَّ مَوضِعَ دِرْهَمٍ، لَهُ وَالِدَةٌ هُوَ بِهَا بَرٌّ لَوْ أقْسَمَ عَلَى اللهِ لأَبَرَّهُ، فَإنِ اسْتَطْعتَ أنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ، فَافْعَلْ»فَأتَى أُوَيْساً، فَقَالَ : اسْتَغْفِرْ لِي . قَالَ : أنْتَ أحْدَثُ عَهْداً بسَفَرٍ صَالِحٍ، فَاسْتَغْفِرْ لي . قَالَ : لَقِيتَ عُمَرَ ؟ قَالَ : نَعَمْ، فاسْتَغْفَرَ لَهُ، فَفَطِنَ لَهُ النَّاسُ، فَانْطَلَقَ عَلَى وَجْهِهِ . رواه مسلم وَفي رِوَايَةٍ لِمُسلِمٍ أَيضاً عَن أُسَيْر بنِ جَابِرٍ رضي الله عنه : أنَّ أهْلَ الكُوفَةِ وَفَدُوا عَلَى عُمَرَ رضي الله عنه، وَفِيهمْ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ يَسْخَرُ بِأُوَيْسٍ، فَقَالَ عُمَرُ : هَلْ هاهُنَا أَحَدٌ مِنَ القَرَنِيِّينَ ؟ فَجَاءَ ذلِكَ الرَّجُلُ، فَقَالَ عمرُ : إنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ: إنَّ رَجُلاً يَأتِيكُمْ مِنَ اليَمَنِ يُقَالُ لَهُ : أُوَيْسٌ، لاَ يَدَعُ باليَمَنِ غَيْرَ أُمٍّ لَهُ، قَدْ كَانَ بِهِ بَيَاضٌ فَدَعَا الله تَعَالَى، فَأذْهَبَهُ إلاَّ مَوضِعَ الدِّينَارِ أَو الدِّرْهَمِ، فَمَنْ لَقِيَهُ مِنْكُمْ، فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ وفي رِوَايَةٍ لَهُ : عَن عُمَرَ رضي الله عنه، قَالَ : إنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: إنَّ خَيْرَ التَّابِعِينَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ : أُوَيْسٌ، وَلَهُ وَالِدَةٌ وَكَانَ بِهِ بَيَاضٌ، فَمُرُوهُ، فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ

উসাইর ইবনু ‘আমর মতান্তরে ইবনু জাবের থেকে বর্ণিত, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর নিকট যখনই ইয়ামান থেকে সহযোগী যোদ্ধারা আসতেন, তখনই তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘তোমাদের মধ্যে কি উয়াইস ইবনু ‘আমের আছে?’ শেষ পর্যন্ত (এক দলের সঙ্গে) উয়াইস (ক্বারনী) রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু (মদ্বীনা) এলেন। অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি উয়াইস ইবনু আমের?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’

উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘মুরাদ (পরিবারের) এবং ক্বার্ন্ (গোত্রের)?’ উয়াইস বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি (পুনরায়) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল, তা এক দিরহাম সম জায়গা ব্যতীত (সবই) দূর হয়ে গেছে?’ উয়াইস বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘তোমার মা আছে?’ উয়াইস বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘মুরাদ (পরিবারের) এবং ক্বার্ন্ (গোত্রের) উয়াইস ইবনু আমের ইয়ামানের সহযোগী ফৌজের সঙ্গে তোমাদের কাছে আসবে। তার দেহে ধবল দাগ আছে, যা এক দিরহাম সম স্থান ছাড়া সবই ভাল হয়ে গেছে।

সে তার মায়ের সাথে সদাচারী হবে। সে যদি আল্লাহর প্রতি কসম খায়, তবে আল্লাহ তা পূরণ করে দেবেন। সুতরাং (হে উমার!) তুমি যদি নিজের জন্য তাকে দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনার দো‘আ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করবে।’’ সুতরাং তুমি আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা কর।’

শোনামাত্র উয়াইস উমারের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন। অতঃপর উমার তাঁকে বললেন, ‘তুমি কোথায় যাবে?’ উয়াইস বললেন, ‘কূফা।’ তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমার জন্য সেখানকার গর্ভনরকে পত্র লিখে দেব না?’ উয়াইস বললেন, ‘আমি সাধারণ গরীব-মিসকীনদের সাথে থাকতে ভালবাসি।’

অতঃপর যখন আগামী বছর এল তখন কূফার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হজ্জে এল। সে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি তাকে উয়াইস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল, ‘আমি তাঁকে এই অবস্থায় ছেড়ে এসেছি যে, তিনি একটি ভগ্ন কুটির ও স্বল্প সামগ্রীর মালিক ছিলেন।’ উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘মুরাদ (পরিবারের) এবং ক্বার্ন্ (গোত্রের) উয়াইস ইবনু আমের ইয়ামানের সহযোগী ফৌজের সঙ্গে তোমাদের নিকট আসবে। তার দেহে ধবল রোগ আছে, যা এক দিরহামসম স্থান ছাড়া সবই ভালো হয়ে গেছে। সে তার মায়ের সাথে সদাচারী (মা-ভক্ত) হবে। সে যদি আল্লাহর উপর কসম খায়, তাহলে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেবেন। যদি তুমি তোমার জন্য তার দ্বারা ক্ষমাপ্রার্থনার দো‘আ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করবে।’’

অতঃপর সে (কূফার লোকটি হজ্জ সম্পাদনের পর) উয়াইস (ক্বারনীর) নিকট এল এবং বলল, ‘আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ উয়াইস বললেন, ‘তুমি এক শুভযাত্রা থেকে নব আগমন করেছ। অতএব তুমি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘তুমি উমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছ?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ।’ সুতরাং উয়াইস তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন। (এসব শুনে) লোকেরা (উয়াইসের) মর্যাদা জেনে নিল। সুতরাং তিনি তার সামনের দিকে (অন্যত্র) চলে গেলেন। (মুসলিম)

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় উসাইর ইবনু জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেই বর্ণিত, কুফার কিছু লোক উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর নিকট এল। তাদের মধ্যে একটি লোক ছিল, সে উয়াইসের সাথে উপহাস করত। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখানে ক্বার্ন গোত্রের কেউ আছে কি?’

অতঃপর ঐ ব্যক্তি এল। উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের নিকট ইয়ামান থেকে উয়াইস নামক একটি লোক আসবে। সে ইয়ামানে কেবলমাত্র তার মা-কে রেখে আসবে। তার দেহে ধবল রোগ ছিল। সে আল্লাহর কাছে দো‘আ করলে আল্লাহ তা এক দ্বীনার অথবা এক দিরহাম সম স্থান ব্যতীত সবই দূর করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমাদের কারো যদি তার সাথে সাক্ষাৎ হয়, তাহলে সে যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘‘সর্বশ্রেষ্ঠ তাবেঈন হল এক ব্যক্তি, যাকে উয়াইস বলা হয়। তার মা আছে। তার ধবল রোগ ছিল। তোমরা তাকে আদেশ করো, সে যেন তোমাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) ক্ষমাপ্রার্থনা করে।’’
(মুসলিম ২৫৪২, আহমাদ ২৬৮, দারেমী ৪৩৯)

আবু দারদা (রা.)-এর জামাই সাফওয়ান ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আমি সিরিয়ায় আবুদ্দারদা (রা.)-এর বাড়িতে গেলাম। আমি তাকে বাড়িতে পেলাম না; বরং সেখানে উম্মুদ্দারদা (রা.)-কে পেলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘তুমি কি এই বছর হজে যেতে চাও?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য কল্যাণের দোয়া করো। কেননা নবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতে দোয়া করলে তা কবুল হয়। তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। যখন সে তার ভাইয়ের কল্যাণের দোয়া করে, তখন নিয়োজিত ফেরেশতা বলে, আমিন! তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ বর্ষিত হোক।’ সাফওয়ান (রহ.) বলেন, আমি বাজারে গিয়ে আবু দারদা (রা.)-এর দেখা পেলাম, তিনিও আমাকে এই হাদিস শোনালেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৭৩৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এই কথা বলার জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
এভাবে অন্যের মাধ্যমে দোয়া জায়েজ আছে।

(০২)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
আপনার এই সব চিন্তা হওয়ার জন্য ঈমান চলে যাবেনা। তবে অহেতুক এসব চিন্তাকে পাত্তা না দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৪)
আপনার স্ত্রীকে বলার জন্য কিছুই হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...