আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

হুজুর,
আমার এক পরিচিত ভাই এলাকায় ডিশ লাইনের ব্যবসা করেন। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ তিনি এখন এই হারাম ব্যবসা ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন। এলাকায় আরও অনেকে এই ব্যবসাটা করে, তবে উনি কারো সাথে শেয়ারে করছে না, উনি একক ভাবেই করছেন।  এই ব্যবসায় সরঞ্জামের পিছনে উনার বিনিয়োগ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হবে। উনি ভাবছেন, এই ব্যবসা ছেড়ে উনি অন্য কিছু করবেন এসব বিক্রি করে যা পাওয়া যায় সে টাকা দিয়ে।
উল্লেখ্য যে, এলাকায় উনি আল্লাহর জন্য এই ব্যবসা ছেড়ে আসলেও অন্যরা ঠিক ই চালিয়ে যাবে, তাছাড়া উনার জায়গা টা খুব সম্ভব অন্য ব্যক্তিরা দখল করে এই ব্যবসা করবে। যাই হোক, উনি চাচ্ছেন নিজে এই হারাম ব্যবসা থেকে বের হতে।
১) এখন কিভাবে ব্যবসা টা ছাড়া যায় তার জন্য পরামর্শ প্রয়োজন,

২) উনি তো অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন কারণ উনার অনেক টাকা এখানে বিনিয়োগ আছে, এই বিষয়ে কিছু বললেও ভাল হয়

জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

(১.২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ   
وجاز بيع عصير عنب ممن يعلم أنه يتخذه خمرا، لأن المعصية لا تقوم بعينه، بل بعد تغيره، وقيل يكره لإعانته على المعصية (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى البيع-9/560، البحر الرائق، كتاب الكراهية، فصل فى البيع-8/371)

যার সারমর্ম হলো আঙ্গুরের নিংড়ানো রস বিক্রয় করা জায়েজ আছে, যদিও জানা যায় যে ঐ ব্যাক্তি এটা দিয়ে মদ বানাবে,কেননা এটা সরাসরি মদ বয়,বরং এটা পরিবর্তন হয়েই মদ হয়। 
কেহ কেহ বলেছেন যে মাকরুহ হবে।   
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি ডিশের ব্যবসা থেকে পুরোপুরি ফিরে আসবেন।
 যেহেতু এই ব্যবসায় সরঞ্জামের পিছনে উনার বিনিয়োগ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মতো আছে।
তাই তিনি এগুলো অন্য কাহারো কাছে বিক্রয় করে দিবে।
এগুলো বিক্রয়ের কারনে উক্ত ক্রেতা যদিও এই ব্যবসা ঠিকই চালিয়ে যাক,এর দায়,গুনাহ তার উপর আসবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...