আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
333 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য বেশকিছু টাকা নিই। সেখান থেকে কিছু টাকা দিয়ে আমি কিছু জামাকাপড় বা পোশাক এবং কিছু খাবার কিনি পরিবারকে না জানিয়ে। এখন আমার প্রশ্ন হলো-

১। আমি যে পরিমাণ টাকা পড়াশোনা বাদে অন্য কাজে খরচ করেছি ওই পরিমান টাকা যদি আমি নিজের টাকা থেকে পুষিয়ে দেই তাহলে কি আমার আর কোনো করণীয় থাকবে নাকি টাকা পুষিয়ে দেওয়াটাই যথেষ্ট হবে?

২। টাকা পুষিয়ে দেওয়ার আগে ওই জামাকাপড় পরে আমি পেশগত কাজ যেমন টিউশনি করলে ওই টিউশনির টাকা কি হারাম অথবা নাজায়েজ হবে?

৩। সম্পূর্ণ টাকা পুষিয়ে দিলে ওই টাকা দিয়ে কেনা যাবতীয় জিনিস ব্যবহার করতে কি কোনো বাধা আছে?

৪। সম্পূর্ণ টাকা পুষিয়ে দিলে ওই টাকা দিয়ে কেনা যাবতীয় জিনিসের মালিকানা কি তখন আমার হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/67259/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
মিথ্যা কথা বলে টাকা নিলে সেই টাকা ব্যবহার জায়েজ হবেনা।
তবে উক্ত টাকাকে হারাম টাকা বলা হবেনা।
এক্ষেত্রে উক্ত টাকা ব্যবহার করতে চাইলে সত্য কথা জানিয়ে দেয়া জরুরী। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

https://ifatwa.info/16234/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
সাধারণত মিথ্যা বলে মাতাপিতার নিকট থেকে টাকা নেওয়া কখনো জায়েয না।তবে যদি এমন হয় যে, কিছু টাকা না হলে দ্বীন পালনে সমস্যা তৈরী হতে পারে, তথা দ্বীন পালনের সহায়ক হিসেবে খরচ করার জন্য যদি টাকার প্রয়োজন হয়, যেমন, মেয়েদের ক্ষেত্রে হাত মোজা, পা মোজা ক্রয় করা , রোরখা ক্রয় করা যা অভিভাবকগণ সেচ্ছায় দিবে না। এভাবে ফরয বিধান পালন করতে যেয়ে মাতাপিতাকে ভিন্নপথ দেখিয়ে টাকা গ্রহণের রুখসত থাকতে পারে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
টাকা পুষিয়ে দেওয়াটাই যথেষ্ট হবে।
অথবা বিষয়টি পরিবারকে জানালেই হবে।
সেক্ষেত্রে টাকা দিতে হবেনা।

(০২)
উক্ত টিউশনির টাকা হারাম বা নাজায়েজ হবেনা।

(০৩)
না,কোনো বাধা নেই।

(০৪)
হ্যাঁ, তখন মালিকানা আপনারই হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...