আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আস্সালামুআলাইকুম
*সফরের সময় নামাজ জমা করে অর্থাৎ আসর আর যোহর একসাথে আসরের ওয়াক্তে পড়েছিলাম আর মাগরিবের ওয়াক্তে ইশা আর বিতিরের নামাজ পড়েছিলাম।আমি হানাফি মাযহাবের অনুসরণ করি।আমার প্রশ্ন হলো আমার নামাজ শু্ধ হয়েছে কিনা।যেহেতু এই ব্যাপারে হাদিসে এসেছে।

*স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতে গিয়ে করো যদি জামআত ছুটে যায় তাহলে কি গুনাহগার হবে কিনা? যেহেতু পুরুষদের জন্য জামআতে সালাত আদায় জরুরী।

*ঘরে যদি দেবর ছাড়া কেউ না থাকে ঐ অবস্থায় একই ঘরে অন্য কামরায় ভাইয়ের স্ত্রীর অবস্থান করা জায়েজ কি?

*স্বপ্নে বারবার স্বামী হতে দূরে সরে যাওয়া নিয়ে আতঙ্কিত হতে দেখা এবং সব স্বামীর প্রতি অতিরিক্ত রকমের টান অনুভব করা কি ক্ষতিকর কিছু? মনে হয় যেনো একদিন একা থাকলে স্ত্রী মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়ে।স্ত্রী সবসময় স্বামীকে কাছে পেতে চায়লে স্বামী যদি এই বিষয়ে আগ্রহী না থাকে কিংবা বাড়াবাড়ি মনে করে তাহলে গুনাহ হবে কি..? (বিয়ের ২ মাস হচ্ছে)

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হানাফি উলামাগণ বলেন,
ﻻ ﺟﻤﻊ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺿﻴﻦ ﻓﻲ ﻭﻗﺖ . ﻭﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺇﻻ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺍﻟﺼﻮﺭﻱ ﺑﺘﺄﺧﻴﺮ ﺍﻟﻈﻬﺮ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﺛﻢ ﺃﺩﺍﺀ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻭﻗﺘﻬﺎ , ﻣﺎ ﻋﺪﺍ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﺑﻌﺮﻓﺔ ﻭﻣﺰﺩﻟﻔﺔ
আরাফা এবং মুযদালিফা ব্যতীত আর কোথাও দুই নামাযকে একত্রিকরণের বিধান নেই।তবে বাহ্যত দু'টি নামাযকে এভাবে একত্র করে পড়া যেতে পারে যে,যোহরের নামাযকে একেবারে শেষ ওয়াক্তে এবং আছরের নামাযকে একেবারে প্রথম ওয়াক্তে এমনভাবে পড়া যে, দৃশ্যত দু'টি নামাযকে একতত্রিত বুঝা যাবে, যদিও বাস্তবতায় প্রত্যেক নামাযকে তার ওয়াক্তে পড়া হচ্ছে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৩৮১)শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/827

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দুই নামাযকে একত্রিত করে পড়া কোনো নিয়ম নাই। তবে যেহেতু নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর আদায় করা হয়েছে, তাই নামায আদায় হয়ে গেছে।

(২)
স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ট সময় কাটাতে গিয়ে সময় জামাত তরক করার কোনো কারণ নাই।  সুতরাং নিয়মিত করলো গোনাহ হবে।হঠাৎ হয়ে গেলে কোনো গোনাহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1365

(৩)
ঘরে যদি দেবর ছাড়া কেউ না থাকে ঐ অবস্থায় একই ঘরে অন্য কামরায় ভাইয়ের স্ত্রীর অবস্থান করা জায়েয হবে। তবে সর্বদা ইস্তেগফারের সাথে থাকতে হবে।

(৪)
বিয়ের দুই মাস এমতাবস্থায় সবসময় কাছে পেতে চাওয়াই স্বাভাবিক।এরকম মনোবাসনা নিন্দনীয় নয়। একদিন এমন মনোভাব আর থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...