জবাবঃ-
পূর্বের অনেক ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী।পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব।এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।উনার জন্য জায়েয হবে না।হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।
1267
আজ ১৪ডিসেম্বর ২০২০ ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জুরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে,পরিস্থিতি এখনো অস্বাভাবিক হয়নি,তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে।ওয়াজিব বিধান রহিত হবে না।তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে।
হ্যা পরবর্তীতে যখন ব্যাপক আকার ধারণ করবে,সরকারও এর জন্য কোনো ঘোষনা দিয়ে দিবে,তখন জামাতের ওয়াজিব বিধান রহিত হয়ে যাবে।সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন।
(২)যদি স্পিকারের আওয়াজ তথায় নিকট পৌছে,তাকবীর সমূহ অনায়াসে শুনা যায়,তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে সর্বাবস্থায় অবশ্যই উত্তম, নিচে নেমে এসে নামায পড়া।
ولو قام على سطح المسجد واقتدى بإمام في المسجد إن كان للسطح باب في المسجد ولا يشتبه عليه حال الإمام يصح الاقتداء وإن اشتبه عليه حال الإمام لا يصح (الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الفصل الرابع فى بيان ما يمنع الإقتداء الخ-1/88
তথ্যসূত্র
১-ফাতওয়া আলামগীরী-১/৮৮
২-ফাতওয়া তাতারখানিয়া-১/৬১৬
৩-আল মুহিতুল বুরহানী-২/১৯৫
৪-ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৯/৫০৪-৫০৫
সুতরাং উনার কথা বিশুদ্ধ নয়।