আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
১।করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতির দিকে যাচ্ছে।corona.gov.bd তে দেখলাম ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছে ১৩৫৫ জন,আর মৃত্যু ৩২ জন।সরকারও সেকেন্ড ওয়েভের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।এখন কি ঘরে সালাত আদায়ের রুখসত রয়েছে?

২।করোনার ভয়ে আমি মাসজিদের ২য় তলা বা ৩য় তলায় সম্পুর্ণ একা একা নামায পড়তাম,যদিও নিচতলায় যথেষ্ঠ জায়গা থাকতো।মাসজিদের একজন লোক, খুব সম্ভবত খাদেম হতে পারে,আমাকে বললো যে এভাবে মূল জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা নামায পড়লে নামায হবেনা।তার কথা কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ-
পূর্বের অনেক ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী।পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব।এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।উনার জন্য জায়েয হবে না।হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে। 1267

আজ ১৪ডিসেম্বর ২০২০ ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জুরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে,পরিস্থিতি এখনো অস্বাভাবিক হয়নি,তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে।ওয়াজিব বিধান রহিত হবে না।তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে।

হ্যা পরবর্তীতে যখন ব্যাপক আকার ধারণ করবে,সরকারও এর জন্য কোনো ঘোষনা দিয়ে দিবে,তখন জামাতের ওয়াজিব বিধান রহিত হয়ে যাবে।সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন।

(২)যদি স্পিকারের আওয়াজ তথায় নিকট পৌছে,তাকবীর সমূহ অনায়াসে শুনা যায়,তাহলে  নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে সর্বাবস্থায় অবশ্যই উত্তম, নিচে নেমে এসে নামায পড়া।
ولو قام على سطح المسجد واقتدى بإمام في المسجد إن كان للسطح باب في المسجد ولا يشتبه عليه حال الإمام يصح الاقتداء وإن اشتبه عليه حال الإمام لا يصح (الفتاوى الهندية، كتاب الصلاة، الفصل الرابع فى بيان ما يمنع الإقتداء الخ-1/88
তথ্যসূত্র
১-ফাতওয়া আলামগীরী-১/৮৮
২-ফাতওয়া তাতারখানিয়া-১/৬১৬
৩-আল মুহিতুল বুরহানী-২/১৯৫
৪-ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৯/৫০৪-৫০৫
সুতরাং উনার কথা বিশুদ্ধ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...