আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
১)আপনাদের এই ফতোয়ায় https://ifatwa.info/30181/

বলেছেন
কোনো ক্রিকেটার কোম্পানির চাকুরীজীবী হয়ে খেলে টাকা নাইলে জায়েজ হবে কিন্তু পেশা হিসেবে ক্রিকেট খেলে টাকা নিলে জায়েজ হবে না
উভয়ই তো খেলেই টাকা নিচ্ছে তাহলে একটি জায়েজ আরেকটি নাজায়েজ এর ব্যাপারটি একটু আলোকপাত করবেন
২)এক্ষেত্রে যারা দেশের জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলে তাদের উপার্জনের হুকুম কি?

৩)ক্রিকেট খেলাটি তো মৌলিকভাবে জায়েজ।কিন্তু এতে অনেক হারামের মিশ্রণ থাকে বর্তমানে যেমন বেপর্দা,গান,জুয়া
এখন এ খেলায় দেশকে সমর্থন করা যাবে কি?

৪)আপনাদের আরেক ফতোয়ায় দেখলাম কোনো পক্ষ কোনো টাকা না দিয়ে যদি খেলে আর তৃতীয় পক্ষ যদি পুরস্কার হিসেবে টাকা দেয় তাহলে তা নেওয়া যাবে
কিন্তু পেশা হিসেবে খেলে তো উপার্জন নিষেধ বলা হয়েছে
তাহলে এখানে জায়েজ হবে কিভাবে?

৫)স্বামী স্ত্রী বা পরিবারের কেউ বা বন্ধু যদি একজন আরেকজন কে কোনো বিষয়ে বলে এরকম হলে তুমি আমাকে খাওয়াবা আর না হইলে আমি তোমাকে খাওয়াবো তাহলে কি জুয়া হবে?

৬)কোনো বিষয়ে অনুমান করা বা প্রেডিকশন দেওয়া কি শিরক?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/14063/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে শরীর চর্চার জন্য শর্ত সাপেক্ষে ফুটবল, ক্রিকেট খেলা জায়েজ আছে।
তবে আয়ের জন্য ক্রিকেট খেলা কোনো ক্রমেই বৈধ নয়।

পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেন      

۔قال اللّٰہ تعالیٰ: {وَالَّذِیْنَ ہُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَ} [المؤمنون: ۳]

অর্থাৎ মুমিনরা অনার্থক কাজ থেকে বিরত থাকে।

۔
لا یجوز علی الغناء والنوح والملاہي؛ لأن المعصیۃ لا 
یتصور استحقاقہا بالعقد، فلا یجب الأجر۔ (تبیین الحقائق / باب الإجارۃ الفاسدۃ ۶؍۱۱۸-۱۱۹ بیروت)

তাবইনুল হাকায়েক গ্রন্থে এসেছে যার মর্মার্থ হলো খেলাধুলা এসব অনার্থক কাজ,যার পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েয নেই।  
۔
وعلیٰ ہٰذا یخرج الاستئجار علی المعاصي أنہ لا یصح؛ لأنہ استئجار علی منفعۃٍ غیر مقدورۃ الاستیفاء شرعًا، کاستئجار الإنسان للعب واللہو، وکاستئجار المغنیۃ والنائحۃ للغناء والنوح الخ۔ (بدائع الصنائع ۴؍۳۹ زکریا)

বাদাইউস সানায়ে' গ্রন্থে এসেছে যে গুনাহের কাজের উপর পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েয নেই।  

استفید: رجل استأجر رجلاً یضرب الطبل إن کان للہھو لا یجوز۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۵؍۴۵۰

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরিতে এসেছে যে কেহ যদি ঢোল পিটানোর জন্য কাউকে ভাড়া করে,এখানে যদি খেলাধুলা তথা অনার্থক কাজ করাই উদ্দেশ্য হয়,তাহলে এর বিনিময় নেওয়া জায়েয নেই।    
,
আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ফতোয়াটিতে জামিয়া বিন নুরি পাকিস্থানের ফতোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। 

আসলে বিষয়টি হলো,
ক্রিকেট টিমের কোনো খেলোয়াড় যদি কোনো কোম্পানীর চাকুরীজিবি হয়,
এবং খেলার যামানায় এই খেলোয়ার নিজের কোম্পানীর পক্ষ থেকে খেলতে যায়,এবং কোম্পানি তাকে চাকুরীজিবি হওয়ার দরুন বেতন দেয়,তাহলে তার জন্য বেতন (পারিশ্রমিক) গ্রহন জায়েজ আছে।

যেমন ধরুন কোনো খেলোয়ার সেনাবাহিনীতে যোগদান করছে। এখন সে সেনাবাহিনী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে। এমতাবস্থায় উক্ত সেনাবাহিনী যদি অন্য কোনো ব্যাক্তি বা দলের সাথে খেলে,সেক্ষেত্রে উক্ত খেলোয়াড় ব্যাক্তি যদি সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে সেই খেলায় অংশগ্রহণ করে,সেক্ষেত্রে তার মাসিক বেতন জায়েজ।

উল্লেখ্য যে এই বেতন কিন্তু তার খেলার কারনে দেয়া হয়নি।
এটা মূলত তার মাসিক বেতন ছিলো,যাহা সে না খেললেও শুধু রানিং সেনাবাহিনী হওয়ার দরুন পেতো। 

(০২)
তাদের উপার্জন নাজায়েজ।

(০৩)
এ খেলায় কোনো দেশকে সমর্থন করা যাবেনা,এতে হারাম কাজকে সমর্থন করা হয়।

(০৪)
কেননা এখানে খেলাকেই পেশা বানানো হয়নি।

দেশের ক্রিকেটাররা কিন্তু খেলাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছে।
আর কোনো সেনাবাহিনীর কেহ যদি কোথাও খেলে,সেক্ষেত্রে সকলেই বলবে যে এ ব্যাক্তির পেশায় সেনাবাহিনী, আর দেশের ক্রিকেট টিমের  খেলোয়ারকে বলবে এ ব্যাক্তি খেলাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছে। 

(০৫)
হ্যাঁ, এটি স্পট জুয়া।

(০৬)
না,এটি শিরক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...