আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ
সম্মানিত শায়খ,
কার সাথে কার বিয়ে হবে, কার কখন কিভাবে বিপদ হবে, কার কখন কোনো দুর্ঘটনা হবে সব তাকদিরের লিখন অনুযায়ীই ঘটে। তাহলে দু'আ করার প্রয়োজন কি? আসলে প্রায়ই মাঝেমধ্যে আমি হতাশ হয়ে যাই, মনে হয় দু'আ করে কি হবে? আল্লাহ মাফ করুন। আমি বুঝি এটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা। কিন্তু তাও কেন যেন এরকম চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়।
ছোট থেকেই কথায় কথায় মা আমাকে অভিশাপ দেয়। ভুল করলে তো আছেই ভুল না করলেও। তোর সন্তান হবে না, কোনোদিন সুখি হবি না, স্বামীর সংসার করতে পারবি না ইত্যাদি ইত্যাদি।
১. তাকদিরে আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন তাই যদি
হয়। তাহলে দু'আ করতে বলা হয়েছে কেন? আর অভিশাপের ব্যাপারে ও কিছু বলুন। তাকদিরে কি এরকমও লিখা থাকে যে অভিশপ্ত হবে এরপর এমন হবে?
২. বিয়ে হয়ে গেছে, কিন্ত পরে জানা গেল সেখানে বিয়ের বৈধতা ছিল না, যত দ্রুত সম্ভব আলাদা হয়ে যাওয়া আবশ্যক। এর কিছু সময় পরে আলাদা থাকা শুরু করেছে সাত আট মাসের মত হবে। খুব শীঘ্রই কাগজে-কলমে ডিভোর্স হবে। এমতাবস্থায় কি মেয়েকে ইদ্দত পালন করতে হবে? এক্ষেত্রে ইদ্দত পালনের নিয়ম কি?
৩. পড়াশোনার তাগিদে মাহরাম ছাড়া নারীদের দূরে কোথাও যাতায়াত ও স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে থাকা যাবে কি??
৫. ফজরের বিশ মিনিট আগেই ফোনে এলার্ম দিয়ে রাখাছিল। বার বার এলার্ম বাজাতে ঘুমের ঘোরেই এলার্ম অফ করে আবার এপাশ ওপাশ করে শুয়ে পড়ছিলাম। চোখে অনেক ঘুম কিন্তু মনে মনে উঠার নিয়ত ছিল, এইতো এখনই উঠব এমন৷ এরকম হতে হতে চারপাশে ফজরের আযান শুরু হয়েছে, ডান কাতেই শুয়ে ছিলাম স্বপ্নে দেখি, আমি যে স্কুলে পড়েছি সেই স্কুলেই আমার বান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছি, চারপাশে ভোররাতের মত আবছা আবছা আলো, তাই বান্ধবী আর আমি তিন চারটা সিড়ি পেরিয়ে গ্রাউন্ডফ্লোরের একটা ক্লাস রুমে গেলাম সুইচ দিয়ে লাইট অন করতে। এরইমধ্যে হঠাৎ সবার স্কুল টাইম শুরু হয়ে গেছে, একদম দশটা সাড়ে দশটার মত দিন। সবাই ঝাকেঁ ঝাকেঁ যে যার ক্লাসে গিয়ে বসছে। আমি ওদের ক্লাসে যেতে দেখে তাড়াহুড়ো করছি কারণ সিট পাবো না এমন চিন্তা। আমি কিন্তু গ্রাউন্ডফ্লোরের কোনো রুমে ছিলাম। অথচ দেখলাম আমি কোনো একতলা ছাদবিশিষ্ট বাইরে থাকা একটা স্টিলের সিড়ি বেয়ে নিচে নামছি৷ এরপর ক্লাসে বসার জন্য দৌড়ে যাচ্ছি কিন্তু এগুচ্ছি না। যদিও স্বপ্নে এমন স্লো-মোশনেরই দৌড় হয়। ততক্ষণে ক্লাসের সব সিট বুক হয়ে গেছে৷
আমি ঘুম থেকে উঠে গেলাম। ফোন হাতে নিয়ে দেখি পাচঁটা তেত্রিশ বাজে। ১৯ শাবান, রবিবার।
ক. এমন সময়ে যদি কোনো স্বপ্ন দেখা হয় সেটা কতটুকু সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
খ. এমন ভাঙ্গা ভাঙ্গা ঘুমে ফজরের আযানের সময়ের স্বপ্ন কি কোনো সতর্কবার্তা বহন করে এই স্বপ্নের কি ব্যাখ্যা হতে পারে ??
গ. আল্লাহ না করুন, কোনো খারাপ সংকেত হলে কিভাবে সতর্কতা অবলম্বন করব??
আমি এর আগেও দেখেছি, সিড়িঁর উপরে উঠেছি ঠিকই আবার নিচেও নামছি। আমি শুধু এগুলা দেখি কেন? আমার কি খুব দুভার্গ্য?? একটা খাবনামা বইয়ে পড়েছিলাম সিড়ি বেয়ে নিচে নামা ভালো না। তাই খুব ভয় হয়। আমার জীবনে কি আরও অনেক খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে?