নিশ্চিত ভাবে না জেনে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছুকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح :
‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।
বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ
ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।
এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
(০১)
অহেতুক সন্দেহের ভিত্তিতে কাপ নাপাক বলার সুযোগ নেই।
সুতরাং সেই চায়ের কাপ পাক।
১.১
এক্ষেত্রে কাপ নাপাক হবেনা।
আপনি যেহেতু তার হাত নাপাক হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
সুতরাং এটি আপনার মনের নিছক সন্দেহ মাত্র।
১.২
এক্ষেত্রে হাত নাপাক হবেনা।
সন্দেহ আসলে তার দোকানে চা খাবেননা।
ফোন দিলেও খাবেননা,কিছুদিন তা দোকানে না গেলেই সমস্যা কেটে যাবে।
(০২)
তার হাত নাপাক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন,সুতরাং আপনার মোবাইল নাপাক হবেনা।
হ্যাঁ, যদি মোবাইল থেকে পেশাবের গন্ধ পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে মোবাইল নাপাক হবে।
(০৩)
আপনি যেহেতু তার হাত নাপাক হওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চিত, শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে এহেন চিন্তা করছেন।
সুতরাং তাদের চায়ের কাপ বা মোবাইল নাপাক হবেনা বলেই সাব্যস্ত হবে।
(০৪)
সেই আতর ব্যবহার করা জায়েজ।
যদি অ্যালকোহল থেকেও থাকে তাহলে সেটি জামায় মাখলে জামা নাপাক হয়ে যাবেনা।
এটি ব্যবহার জায়েজ।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
না,এতে জামা নাপাক হবেনা।
(০৬)
এমন স্থানে কিছু পড়লে তাহা নাপাক হবেনা।
এক্ষেত্রে ভেজা হাতে সেই কলম স্পর্শ করা যাবে।
(০৭)
আপনি টয়লেট করার পর তিনটি টিস্যু ব্যবহার করে ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
এরপর আর এহেন সন্দেহ কে পাত্তা দিবেননা।
এরপর পায়জামা হতে এহেন গন্ধ আসলেও পায়জামা পাকই থাকবে।
(০৮)
টাকা ভেজা হাতে ধরলে হাত নাপাক হয়না।
হ্যাঁ যদি আপনি নিশ্চিত হোন যে সেই টাকায় নাপাকি লেগে আছে,তাহলে সেক্ষেত্রে ভেজা হাতে ধরলে হাত নাপাক হবে।
(০৯)
এক্ষেত্রে বসে হোক বা দাঁড়িয়ে হোক লিঙ্গ ও মলদ্বার ও আশেপাশে বীর্য লেগে থাকা স্থান ভালোভাবে ডলে ধৌত করতে হবে।
শুধুমাত্র গোসল করলেই এগুলো চলে যায়না।
ডলে ধোয়া লাগবে।
(১০)
আপনি এক্ষেত্রে হাফপ্যান্ট খোলার পর শরীরের নিম্নাংশ আবারো একবার ধুয়ে নিবেন।
এবং হাফপ্যান্ট তিন বার ধুয়ে নিবেন।
ও প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নিবেন।