আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in পবিত্রতা (Purity) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.আমি হায়েজ নিয়ে সন্দেহে আসি। হায়েজ শেষ হয়েছে নাকি এইটা বোঝার জন্য কি লজ্জাস্থানের নিচে যে ছিদ্র থাকে তার মধ্যে আঙুল ঢুকিয়ে দেখতে হবে যে ভেতরে কোনো স্রাব আছে নাকি??
হায়জেরর শেষের দিকে দেখা যায় লজ্জাস্থানে সাদা স্রাব থাকে না,,,তবে লজ্জাস্থানের নিচে যে ছিদ্র আছে সেই ছিদ্রের  মুখে কোন স্রাব থাকে না।
 কিন্তু এই ছিদ্রের মধ্যে (অনেক ভেতরে) আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিলে দেখা যায়,, সেখানে রক্ত  আছে। এক্ষেত্রে আঙুল  ঢুকাতে অনেক ব্যথা লাগে। এইভাবে কি নিশ্চিত হতে হবে যে শেষ হয়েছে?? এক্ষেত্রে আমি যদি শুধু আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করি তাহলে অনেক ব্যথ্যা লাগে। এইটা নিয়ে অনেক সন্দেহে আসি। এইভাবে এই ছিদ্রের ভেতর আঙুল দিয়ে দেখব নাকি ছিদ্রের মুখে  আঙুল দিয়ে দেখব??  নাকি কিভাবে চেক করব??

২.গত মাসের হায়েজের কথা বলছি। হায়েজ শেষ হয়েছে নাকি এই নিয়ে আমি খুব ওয়াসওয়াসাই পড়ে গিয়েছিলাম। হায়দের শেষের দিকে লজ্জাস্থানে কোন রক্ত দেখতে পাইনি। কিন্তু এরপরে লজ্জাস্থানের নিচে যেই ছিদ্র আছে তার  মুখে আমি আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেখছিলাম রক্ত আছে কিনা?? কিন্তু সেখানেও কোন রক্ত দেখিনি। এরপরে আমি লজ্জাস্থানের নিচের ঐ ছিদ্রের ভিতরে  ( অনেক ভেতরে) আঙুল ঢুকিয়ে দেখছিলাম রক্ত আছে কি না। ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে দেখতে আমার অনেক ব্যাথা লাগছিল। আমি তার পরেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য দেখছিলাম। এরপর আমি ঐ আঙুল টিস্যু তে লাগিয়ে দেখেছিলাম যে কোন রঙের স্রাব। কিন্তু এখান থেকেই আমার ওয়াসওয়াসা শুরু হয়ে গিয়েছিল।  আমার একবার মনে হচ্ছে সাদাস্রাব,, আরেকবার মনে হচ্ছে হালকা ধূসর রং এর স্রাব। আমি কোনভাবেই নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। আমি বারবার বাথরুমে যেয়ে পরীক্ষা করছিলাম। কিন্তু বারবারই আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি পাগলের মতো হয়ে গিয়েছেলাম।  শুধু আমার মনে হচ্ছিল আমার নামাজ কাজা হয়ে যাবে। বারবার আমি শুধু গোসল করছিলাম। আমার চোখে ধান্দা লেগে গিয়েছিল।  একবার আমার মনে হচ্ছে এইটা সাদাস্রাব,,, আবার মনে হচ্ছে না হালকা ময়লা ময়লা।  আবার মনে হচ্ছে এইটা বর্ণহীন। আমও যা দেখছি তা টিস্যুর ছাপ। কোনোভাবেই এই রঙ বুঝতে পারছিলাম। একসময় আন্দাজেই গোসল করা শুরু করে দিই।এবার হায়েজের সময় ও যদি এমন হয় তখন কি করব??? কিছ্ছু বুঝতে পারছি না। কিভাবে বুঝব হায়েজ শেষ হয়েছে। এইটা কি ওয়াসওয়াসা??? এইভাবে এই ছিদ্রের ভেতর আঙুল দিয়ে দেখব নাকি ছিদ্রের মুখে ??? একটু বিস্তারিত জানাবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরসুফ ঐ তুলা বা তুলা জাতীয় জিনিষকে বলা হয়,যা পবিত্রতা/অপবিত্রতাকে পরীক্ষা করার জন্য মাসিকের রাস্তায় প্রবেশ করানো হতো। এর বিধান সম্পর্কে রাহরুর রায়েক গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে-
ثُمَّ وَضْعُ الْكُرْسُفِ مُسْتَحَبٌّ لِلْبِكْرِ فِي الْحَيْضِ وَلِلثَّيِّبِ فِي كُلِّ حَالٍ وَمَوْضِعُهُ مَوْضِعُ الْبَكَارَةِ وَيُكْرَهُ فِي الْفَرْجِ الدَّاخِلِ. اهـ.
وَفِي غَيْرِهِ أَنَّهُ سُنَّةٌ لِلثَّيِّبِ حَالَةَ الْحَيْضِ مُسْتَحَبَّةٌ حَالَةَ الطُّهْرِ وَلَوْ صَلَّتَا بِغَيْرِ كُرْسُف ٍجَازَ.
অবিবাহিত মহিলাদের জন্য মাসিকের সময় কুরসুফ ব্যবহার করা মুস্তাহাব।আর বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায়ই সেটার ব্যবহার মুস্তাহাব।কুরসুফ রাখার স্থান হল, মাসিকের রাস্তার প্রবেশ মূখ। কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে কুরসুফ প্রবেশ করানো মাকরুহ।অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে মাসিকের সময় সুন্নাত এবং পবিত্র সময়ে মুস্তাহাব। বিবাহিত/অবিবাহিত উভয়-ই যদি কুরসুফ ব্যতীত নামায পড়ে নেয়,তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। (বাহরুর রায়েক-১/২০৩)

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন-
(ويكره وضعه) وضع جميعه (فى الفرج الداخل)لأنه يشبه النكاح بيدها محيط-
সমস্ত কুরসুফ কে লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।কেননা ইহা হস্তমৈথুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। (মাজমু'আতু রাসাঈলে ইবনে আবেদীন-১/৮৪-৮৫)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/497

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি লজ্জাস্থানের ভিতরে আঙ্গুল প্রবেশ না করে বরং লজ্জাস্থানের বাহিরের অংশে তুলা রেখে দিবেন।যখন তুলাতে রক্ত দেখা যাবে, তখন থেকেই আপনি হায়েযকে গণ্য করবেন।আর যখন তুলা সাদা দেখা যাবে, তখন আপনি নিজেকে হায়েয থেকে পবিত্র মনে করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...