আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
393 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম। হুজুর আমি খুবই সমস্যায় আছি।।দয়া করে আমায় দ্রুত একটু উত্তরটা দিবেন।।দয়া করে দিবেন

https://ifatwa.info/69445/

এই প্রশ্নের জবাবে বলা আছে কেউ যদি স্ত্রীকে বলে তোমার ইচ্ছা হইলে তুমি ডিভোর্স দিও এর মানে সে সারাজীবনের জন্য তালাকের অধিকার পাবে।

https://ifatwa.info/49568/

আর এই প্রশ্নের ৩ নং পয়েন্টে বলা হয়ছে কেউ যদি স্ত্রীকে বলে তোমার মন চাইলে তুমি ডিভোর্স দিও।তার উত্তরে বলা হয়ছে যে উক্ত মজলিসে তালাকের অধিকার পাবে।

মন চাওয়া ইচ্ছে হওয়া তো একই কথা।।

কিন্তু সামী যদি তালাকের অধিকার দেওয়ার নিয়ত না করে এমন কথা বলে তাহলে স্ত্রী কি সারাজীবন অধিকার পাবে নাকি উক্ত মজলিসে??

২-তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী যদি কেনায়া কথার মাধ্যমে তালাক নেয় তাহলে কি সেইটা রজয়ী তালাক হবে নাকি বায়েন তালাক?

আর বায়েন তালাক হইলে সামী নতুন বিয়ের আগে কি আবার তালাকের অধিকার দিতে পারবে??

৩-কোন স্ত্রী যদি তালাকের অধিকার পায় তাহলে সে যদি বলে আমি তোমার থেকে মুক্তি নিলাম। তখন কি তালাকের নিয়ত লাগবে নাকি নিয়ত ছাড়াই হবে?

৪- একটা মেয়ে যদি তালাকের অধিকার পায় কিন্তু সে জানে না সে অধিকার পায়ছে বা মেয়েরা মুখে যাই বলুক তালাক হবে না এমনটা জানে।।।তাহলে সে যদি কেনায়া বাক্য বলে তাহলে কি সে তালাকের নিয়তে বলতেছে এমনটা সম্ভব।।কেনায়া বাক্য বলার সময় নিয়ত করতে হয় যে এই বাক্য আমি তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্য এ বলছি।।।কিন্তু কেউ যদি না ই জানে যে এইভাবে বললে তালাক হয় তাহলে কি সে তালাকের উদ্দেশ্যে কথাটা বলতে পারে??এই ব্যাপারটা একটু যদি বলতেন???

৫-আমার স্ত্রী একদিন বলছিল যে আমি তুমার থেকে মুক্তি নিলাম।।সে যদি অধিকার প্রাপ্ত হয়।।তাহলে আমি কি ভাবে বুঝবো যে সে তালাকের নিয়তে বলছে কি না।?তাকে জিজ্ঞ্রস করতে চাই না বা জানাতেও চাই না যে মেয়েরা মুখে বললে তালাক হয়। কারন সে জানে মেয়েরা যাই বলুক তালাক হবে না।।একবার যদি জানে যে মেয়েরা মুখে বললেই তালাক হয় তাহলে ঝগড়া লাগলে সে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না।।বলে ফেলবে

৬--আমি যদি স্ত্রীকে অনেক বার বলি তুমার ইচ্ছা হইলে তুমি ছাইড়ো।।।তালাকের অধিকার দেওয়ার কোন নিয়ত না করে।।তাহলে বার বার বলার কারনে স্ত্রী কয় তালাকের অধিকার পাবে??এক না তিন?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 (১)
إذَا قَالَ لَهَا: طَلِّقِي نَفْسَكِ سَوَاءٌ قَالَ لَهَا: إنْ شِئْتِ أَوْ لَا فَلَهَا أَنْ تُطَلِّقَ نَفْسَهَا فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ خَاصَّةً وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَعْزِلَهَا.
স্বামী যদি বলে তুমি তোমাকে তালাক দাও, (চায় এটা বলুন যে,"যদি তুমি চাও" বা এটা নাই বলুক)  তাহলে মজলিসের ভিতরেই তালাকের অধিকার সীমাবদ্ধ থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি স্ত্রীকে বলে তোমার মন চাইলে তুমি ডিভোর্স দিও। এখানে 'দিও' শব্দ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, স্বামী আজীবনের নিয়তে বলছে, তাই স্ত্রী আজীবন তালাকের মালিক হবে। 

আমি পূর্বে বলেছি, ভবিষ্যতের শব্দ হলে, আজীবন তালাকের অধিকার স্ত্রী পেয়ে যাবে। আর বর্তমান সূচক শব্দ হলে স্ত্রী আজীবন তালাকের মালিক হবে না। বরং মজলিস পর্যন্তই স্ত্রী তালাকের অধিকারী থাকবে।

(২)তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী যদি কেনায়া কথার মাধ্যমে তালাক নেয়, তাহলে সেইটা বায়েন তালাক হবে।

(৩) কোন স্ত্রী যদি তালাকের অধিকার পায়,এবং সে যদি বলে আমি তোমার থেকে মুক্তি নিলাম। তখন  তালাকের নিয়ত লাগবে। 

(৪) একটা মেয়ে যদি তালাকের অধিকার পায় কিন্তু সে জানে না সে অধিকার পায়ছে বা মেয়েরা মুখে যাই বলুক তালাক হবে না । 

(৫) তাকে আর জিজ্ঞেস করবেন না।সে যেহেতু জানে না, তাই তালাক হবে না।

(৬)
কেউ যদি স্ত্রীকে অনেক বার বলে, তোমার ইচ্ছা হইলে তুমি ছাড়ো। তালাকের অধিকার দেওয়ার কোন নিয়ত না করে।।তাহলে বার বার বলার কারনে স্ত্রী ১ তালাকের অধিকার পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ। ওস্তাদজি ৬ নং পয়েন্টে এর উত্তরটাও যদি দিতেন দয়া করে?
আর কারো যদি একবার তালাকে বায়েনা হয় তাহলে নতুন বিয়্র পড়ানোর পর আগে যে তালাকের অধিকার পায়ছে সেগুলো কি শেষ হয়ে যাবে নাকি থাকবে?
by (588,060 points)
একবার তালাকে বায়েন হওয়ার পর আবার বিয়ে করার পূর্বে তালাকের অধিকার থাকবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...