ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
إذَا قَالَ لَهَا: طَلِّقِي نَفْسَكِ سَوَاءٌ قَالَ لَهَا: إنْ شِئْتِ أَوْ لَا فَلَهَا أَنْ تُطَلِّقَ نَفْسَهَا فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ خَاصَّةً وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَعْزِلَهَا.
স্বামী যদি বলে তুমি তোমাকে তালাক দাও, (চায় এটা বলুন যে,"যদি তুমি চাও" বা এটা নাই বলুক) তাহলে মজলিসের ভিতরেই তালাকের অধিকার সীমাবদ্ধ থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি স্ত্রীকে বলে তোমার মন চাইলে তুমি ডিভোর্স দিও। এখানে 'দিও' শব্দ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, স্বামী আজীবনের নিয়তে বলছে, তাই স্ত্রী আজীবন তালাকের মালিক হবে।
আমি পূর্বে বলেছি, ভবিষ্যতের শব্দ হলে, আজীবন তালাকের অধিকার স্ত্রী পেয়ে যাবে। আর বর্তমান সূচক শব্দ হলে স্ত্রী আজীবন তালাকের মালিক হবে না। বরং মজলিস পর্যন্তই স্ত্রী তালাকের অধিকারী থাকবে।
(২)তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী যদি কেনায়া কথার মাধ্যমে তালাক নেয়, তাহলে সেইটা বায়েন তালাক হবে।
(৩) কোন স্ত্রী যদি তালাকের অধিকার পায়,এবং সে যদি বলে আমি তোমার থেকে মুক্তি নিলাম। তখন তালাকের নিয়ত লাগবে।
(৪) একটা মেয়ে যদি তালাকের অধিকার পায় কিন্তু সে জানে না সে অধিকার পায়ছে বা মেয়েরা মুখে যাই বলুক তালাক হবে না ।
(৫) তাকে আর জিজ্ঞেস করবেন না।সে যেহেতু জানে না, তাই তালাক হবে না।
(৬)
কেউ যদি স্ত্রীকে অনেক বার বলে, তোমার ইচ্ছা হইলে তুমি ছাড়ো। তালাকের অধিকার দেওয়ার কোন নিয়ত না করে।।তাহলে বার বার বলার কারনে স্ত্রী ১ তালাকের অধিকার পাবে।