(সত্য ঘটনা)
ধরা যাক, ২৭ বছর বয়সী একজন যুবক যার নাম ক, তাকে তার চাচাত বোনের স্বামী খ এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে সর্বসম্মুখে এমন কিছু বলে যা তার কাছে অপমানজনক মনে হয়। এতে সে পরিবারের কাছে বিচার চেয়েও পায়নি।
এখানে ক হল শালা, খ হল দুলাভাই।
পরবর্তীতে, ক (শালা) এর সাথে খ (দুলাভাই) এর দেখা হয় নির্জনে। কথার পর্যায়ে খ মানে দুলাভাই, ক কে উত্তেজিত করে। এতে ক (শালা) অনেক বাজে ব্যাবহার ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
এখানে, খ (দুলাভাই) একটা চাতুরির আশ্রয় নেয়। সে গোপনে ক (শালা) এর এই আচরণ মোবাইলে রেকর্ড করে পরিবারের সবাইকে দেখায়। এরপর পারিবারিক ভাবে ক (শালা) এর বিচার হয়। কিন্তু সেই বিচারে ক নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং আর এমন করবেনা জানায়। উক্ত সালিশে খ (দুলাভাই) নিজেকে বাচাতে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
অপরদিকে ক (শালা) এর সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার হয়না।
এর কিছুদিন পর ক (শালা) এর বিয়ে। পরিবারকে দাওয়াত দেয়া সত্ত্বেও সবাই যেতে সরাসরি অস্বীকার করে এবিং বকে তারা যেতে পারবেনা। কারণ, সহজেই অনুমেয়। তারা মনে করে, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে একজন না গেলে বাকিদের যাওয়া টা অনুচিত। অপরদিকে ক (শালা) খারাপ কাজ করেছে। তার শিক্ষা হওয়া দরকার। অথচ পূর্বে সালিশ হয়েছে আর ক (শালা) ক্ষমাও চেয়েছে।
ক (শালা) এরপরেও সবাইকে রাজি করানোর চেস্টা করেছে বিয়েতে যাওয়ার জন্য। বারবার খ (দুলাভাই) এর কাছে গিয়েছে। সবার সামনে খ (দুলাভাই) এর পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে। তবুও খ (দুলাভাই) এর মন গলেনি। এবং সে যাবেনা বলে কেউ ই ক এর বিয়েতে যায়নি।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, ক (শালা) হচ্ছে বাড়ির ছোট ছেলে আর খ হচ্ছে বাড়ির জামাই। ক আর খ একই বিল্ডিং এ ক এর পরিবারের সাথেই থাকে।
পরবর্তীতে, ক (শালা) আরো কয়েকবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সর্বাত্মক চেস্টা করেছে।
কিন্তু খ কোন কথাই বলতে চায়না। এড়িয়ে যায়। বর্ত্মানেও একই অবস্থা। এখন কেউ কারো সাথে কথা বলেনা। ক এর ধারণা, খ তাকে পছন্দ করছেনা তাই সে জোর করে এলহ্ন আর কথা বলতে যায়না।
উপরোক্ত ঘটনায় আমার প্রশ্ন:
১। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী ক (শালা) কে কি দোষী হলা যাবে? যেহেতু, সে ইচ্ছা করে খারাপ আচরণ করেনি আবার পরে ক্ষমাও চেয়েছে। পরবর্তী তে এমন আচরণ করেনি।
২। ক বা, খ এদের কারো উপর কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহ হবে?
৩। ক এর সাথে কি অন্যায় হয়েছে? যেহেতু, তার সাথে প্রথমে অন্যায় হয়েছিল আর তার বিচার হয়নি। আবার, সে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অনেক চেস্টার পরেও তার বিয়েতে কেউ যায়নি। যেখানে বিয়ের দাওয়াত গ্রহণ করা নাকি ওয়াজিব। অপরদিকে পারিবারিক সালিশে খ মিথ্যা আর চতুরতার আশ্রয় নিয়েছে।