আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in পবিত্রতা (Purity) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম।
একজনের গত শুক্রবারে পিরিয়ডের রক্তের আসার রাস্তা দিয়ে  রক্ত এসেছিল। এসময় তার পিরিয়ডের ডেইট থাকায় রক্তকে পিরিয়ড ধরে নিয়ে নামাজ পড়া বাদ দিয়েছে। কিন্তু অল্প একটু রক্ত আসার পর পরবর্তীতে আর রক্ত আসেনি। তিনদিনের কম রক্ত আসায় সে এটাকে ইস্তিহাজা ধরে নিয়ে গোসল না করেই নামাজ শুরু করেছে। রোজা রেখেছে। কিন্তু আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার আবার অল্প একটু রক্ত দেখা দিয়েছে। তারপর আর রক্ত আসেনি। তার পিরিয়ডের অভ্যাস সাত দিন।

এখন তার করণীয় কী? সে কি শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সবগুলো দিন পিরিয়ড ধরবে?  এখন যেহেতু আর রক্ত আসছে না তাহলে কি ফরজ গোসল করে নামাজ শুরু করবে? নাকি সাতদিন অপেক্ষা করে তারপর ফরজ গোসল করবে? সে যে শুক্রবারে রক্ত দেখার পর ইস্তিহাজা ভেবে নামাজ-রোজা করল এতে কি কোনো সমস্যা হবে? রোজার কাজা আদায় করতে হবে?

আরেকটা প্রশ্ন, ইশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে অনেকক্ষণ পার হয়ে গিয়েছে। এরপর পিরিয়ড শুরু হয়েছে। পবিত্র হওয়ার পর কি তার ইশার নামাজের কাজা আদায় কর‍তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সবগুলো দিন পিরিয়ড ধরবে।
এক্ষেত্রে এখন যেহেতু আর রক্ত আসছে না, তাই সে ফরজ গোসল করে নামাজ শুরু করবে।

সে যে শুক্রবারে রক্ত দেখার পর ইস্তিহাজা ভেবে নামাজ-রোজা করল এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা তার অনিচ্ছাকৃত এমন বিষয় মাফ করবেন। কোনো সমস্যা হবেনা।
উক্ত দিন গুলোতে তিনি যে রোযা আদায় করেছেন,এটি কি নফল রোযা ছিলো?

নাকি রমজান মাসের কাজা রোযা বা মান্নতের রোযা?

যদি নফল রোযা হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেটির কাজা আদায় করতে হবেনা।

আর যদি সেটি রমজান মাসের কাজা রোযা বা মান্নতের রোযা হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে সেই রোযা আদায় না হওয়ায় পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পবিত্র হওয়ার পর সেই মহিলার উক্ত ইশার নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 207 views
0 votes
1 answer 171 views
...