তালাকের ওয়াসওয়াসা

Question

আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১।বউ ছাইড়া দেওয়ার কথা বলাই হাসবেন্ড যদি  বলে তুমার ভাল না লাগলে বা মন চাইলে বা ইচ্ছে হইলে তুমি ছাইড়া দিও। তাহলে আপনি বলেছিলেন যে একথা দারা সাময়িক অধিকার বা স্থায়ী অধিকার উভয় দেওয়ার সম্ভাবনা বুজাই। হাসবেন্ড কে তার নিয়ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে হবে।তারে অনেক আগে জিজ্ঞেস করছিলাম যে তুমি কি অধিকার দেওয়ার নিয়তে এগুলা বলসিলা তখন সে বলসিল যে না।এমনেই বলছি। জানি তুমিও দিবা না।পরে আমি জিজ্ঞেস করসি তুমি কি অধিকার দেওয়া বুজ।সে বলসে বুজি।আমি যেদিন বলব তুমাকে অধিকার দিলাম তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও অইদিন অধিকার পাবা।আর আমি কোনদিন তুমাকে অধিকার দিব না।কিছুদিন আগে জিজ্ঞেস করছি তুমি কি ভবিষ্যতের নিয়তে অধিকার দেওয়ার কথা বলছিলা।সে বলসে না। আমি ত এই মাসালাই জানি না।অধিকার দেওয়া বুজতাম না।এখন আমার প্রশ্ন হল...তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও বা তুমার ভাল না লাগলে বা মন চাইলে বা ইচ্ছে হইলে তুমি ছাইড়া দিও এগুলা ত ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ।এগুলা দারা যদি ভবিষ্যৎ বুজাই কারন হাসবেন্ড  যদি না জানে যে ডিভোর্স সাথে সাথে দেওয়া যাই বা যদি জানেও কিন্তু যেহেতু মাসালা জানে না তাই মজলিস এর ভিতর বা বাইরে অধিকার দেওয়া বুজবে না। কিন্তু অন্তরে যদি এরকম নিয়ত না থাকে যে অধিকার দিলাম ভবিষ্যতে ও তালাক দিতে পারবে তাহলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে?

ক।এক হুজুর বলছে ভাল না লাগলে বা মন চাইলে ছাইড়া দিও এগুলা দিয়া নাকি স্থায়ী অধিকার দেওয়া বুজাই।নিয়ত করুক আর না করুক।কিন্তু আপনি বলসেন ভবিষ্যতে অধিকার দেওয়ার নিয়ত না থাকলে বা অধিকার দেওয়ার নিয়ত না থাকলে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে।এখন মাসালাই দিমত আসলেও কি আমি আপনার মাসালা অনুসরণ করতে পারব?তার মাসালা যদি অনুসরণ না করি।

২।হাসবেন্ড অইসব বলা দারা তারে ছাইড়া দিতে বলসে।সে জানেই না যে মেয়েদের নিজের উপর নিতে হই।এক হুজুর বলসে তাও অধিকার দেওয়া বুজাবে কিন্তু তা সাময়িক।এখন সে যদি অই কথা দারা ভবিষ্যৎ ইংগিত করে তাহলেও কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে?যেহেতু এগুুুলা ভবিষ্যৎ  সেত শব্দ। মাসালা জানে না।তাই মজলিস এর ভিতরে বা বাইরে অধিকার দেওয়া জানে না।

৩।অইসব শব্দ দারা ভবিষ্যতে তালাকের অধিকার দিতে চাইলে মনে এরকম নিয়ত স্পষ্ট থাকতে হবে যে অধিকার দিলাম ভবিষ্যতে ও তালাক দিতে পারবে। তাইত হুজুর?আর অধিকার দেওয়ার কথা মাথায় না আসলে বা অইসব কথা বলার পর মাথাই আসলে ত সাময়িক অধিকার দেওয়ায় বুজাবে?

৪।হাসবেন্ড কে অনেক অনেক বার জিজ্ঞেস করা হইছে এসব বেপারে।সে একেক সময় একেক কথা বলে।একবার বলে এমনেই বলসি।আরেকবার বলে একদিন হইত বলসি আরেকবার বলে বিয়ের পর বলি না আগে বলসি।আর শব্দ গুলা কি ছিল ঠিক  ঠাক বলতে পারে না। কারন তার মনে নাই।সে বলসে আমার ৩ দিন আগের কথাই মনে থাকে না আর এগুলা ত অনেক আগের কথা।এখন আমার মনে আছে একদিন বলসিল ডিভোর্স দিয়া দিও।আর কোনদিন বলছে কিনা।তবে মনে হই বিয়ের পর ও বলসে কিন্তু কিভাবে বলছিল তা কসম করে বলতে পারব না।মানে সেটা কি সাময়িক নাকি স্থায়ী অধিকার দেওয়ার মত কথা ছিল। আর কয়দিন বলছে তাও মনে নাই।আমি ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত আমি যেভাবে  বইলা মনে করার চেষ্টা করি মনে হই তাই বলসে।এখন হুজুর এর ফয়সালা কি।হাসবেন্ড ও একেক সময় একেক রকম বলে আর আমি ত ওয়াস ওয়াসা রোগি যা মনে হই তাই মনে হই বলসে।এখন আমি কোন ধরনের অধিকার ধইরা নিব। হাসবেন্ড কে কি আর ও জিজ্ঞেস করার দরকার আছে।সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও কি আমি এসব চিন্তা বাদ দিয়া সংসার করে যাব?
৫।মুক্তি দিলাম বলা দারা যদি হাসবেন্ড তালাকের নিয়ত না করে বা একবারে ছাইড়া দিল এরকম নিয়ত না করে।শুধু অই সময় এর জন্য বলে বা সাময়িক মুক্তি বা ছাড়া বুজাই (মুক্তি মানেই ত ছাড়া) তাইলে কি তালাক হবে?  মনে তালাকের কোন নিয়ত ও ছিল না বা একবারে ছাইড়া দিল বা সংসার করবে না এসব নিয়ত ছিল না। সে জানে যে কয়েকদিন পর ই সব ঠিক  হইয়া যাবে।

৬।বউ বা হাসবেন্ড এর মিথ্যা বর্ননা দারা যদি তালাকের মাসালা আসে তাইলে কি তালাক হই আগে যদি তালাক না হইয়া থাকে।আপনি বলেছিলেন যে বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী মিথ্যা স্বীকারোক্তি বা মিথ্যা বর্ননা দারা তালাক হই না।তাও সন্দেহ  দূর করার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার প্রশ্ন পড়েছি। আপনি অনেক ধারা উপধারা লিখেছেন। এগুলো পড়লে মাথা আউলা জাউলা হয়ে যায়।তারপরও কষ্ট করে পড়েছি। তিনবার পড়েছি। আপনার সংসারে কোনো সমস্যা হয়নি। আপনার স্বামী অস্বীকার করছে,বিধায় আপনি তালাকের অধিকারও পাবেন না। কোনোভাবেই পাবেন না। নিশ্চিন্তে সংসার করতে পারবেন।