আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.আমি নামাজ নিয়ে খুব সন্দেহে আছি। প্রায় প্রতি ওয়াক্তেই আমার নামাজ নিয়ে কোন না কোন সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। হয়তো ফজরের নামাজে কোন কিছু নিয়ে সন্দেহ হলো,, এরপর  জোহর আর  আসরে কোনো সমস্যা হলো না। এরপর আবার এশার নামাজে সন্দেহ হলো,, এরকমভাবে সন্দেহ হয়। সন্দেহ  গুলো হয় মাখরাজ নিয়ে না হয় সিজদা নিয়ে না হয় রাকাত সংখ্যা নিয়ে। যেমন:  আমি গতকালের কথা বলছি,, গতকাল ফজরের নামাজে আমার মাখরাজ নিয়ে সন্দেহ হচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছে আমি তিলাওয়াতের দু- এক জায়গায় আইনের উচ্চারণটা ভালো করে হয়তো  করতে পারি নি,,হামজার মত হয়ে গেছে। আসর ও মাগরিব এই দুই ওয়াক্তের নামাজেও আমার একই সন্দেহ হয়। আমি বিষয়টা আসলেই বুঝতে  পারছি না,,, একবার আমার মনে হচ্ছে আমি হামজা আর আইনের  মধ্যে হয়তো সামান্য হলেও পার্থক্য করতে পেরেছি আবার মনে হচ্ছে  কোনো পার্থক্য করতে পারি নি। এইরকম  ওয়াসওয়াসা গতকাল  আসরের নামাজের সময় ও হয়েছে। আবার গতকাল আছরের নামাজে   সূরা ফাতিহা তিলাওয়াতের সময় আমার মনে হয়েছে আমি একটা আয়াতের কিছু শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে বাদ দিয়ে  ফেলেছি। আসরের নামাজের পরে এই নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করলাম। তাও বুঝতে পারছি না।  এই নিয়েই ভাবনা চিন্তায় আবার মাগরিবের সময়ও সেই ফজরের মত মাখরাজ নিয়ে সন্দেহ হয়।  আবার এশার নামাজের সময় আসরের মতই ওই একই আয়াত নিয়ে সন্দেহ হয়। এশার নামাজের সময় আমি  এই বিষয়টা ওয়াসওয়াসা ভেবে ছেড়েদি। কিন্তু নামাজের পর এইটা নিয়ে আবার চিন্তাভাবনা করতে থাকি। তখন আমার মনে হচ্ছিল  আমি বিষয়টাকে ওয়াস ওয়াসা ভেবে সুযোগ  নিচ্ছি। আবার আজকে ফজরের নামাজ পড়ার সময় ও গতকাল এশার নামাজ পড়ার সময় আমি যখন শেষবৈঠকের দোয়া মাসুরার শেষের দিকে তেলাওয়াত করি আমার একটু ঘুম ঘুম  চলে আসে। তাই আমার  মনে হচ্ছে শেষের দিকে তিলাওয়াত করার সময় একটু ভুল হয়েছে। কিন্তু আমি সিউর না।একবার মনে হচ্ছে ভুল হয়েছে আবার মনে হচ্ছে ঝিম ঝিম ঘুম আসলেও আমি ভুল তিলাওয়াত করি নি।কারণ আমার তো সব মুখস্থ।
আবার আমার নামাজের মধ্যে সিজদা নিয়ে খুব সন্দেহ হয়। আমি মনে রাখতে পারি না যে কয়টা সিজদা দিলাম। মাঝেমধ্যেই এমন সমস্যা হয়। এজন্য আমি যখন দ্বিতীয় সিজদা দিই তখন মনে মনে বলি আমি ২য় সিজদা দিচ্ছি। নাহলে আমি মনে রাখতে পারি না। আমার মেমোরি দুর্বল না।এরপরও আমার মনে থাকে না। সন্দেহ হয়। মাঝে মাঝে আমার একই নামাজের মধ্যে সিজদা নিয়ে একাধিক বার সন্দেহ হয়। যেমন: ২য় রাকাতে এমন হলো আবার ৪ র্থ রাকারে এমন হলো। মাঝে মাঝে আমি এইটাকে সন্দেহ বললে পাত্তা দিই না। তখন আমার মনে হয় আমি ওয়াসওয়াসা ভেবে সুযোগ নিছি।  এইসব কারণে নামাজ নিয়ে আমার খুব ভয় হয়। সাধারণত ফরজ নামাজের সময় আমার এমন সন্দেহ বেশি হয়। কারণ ফরজ নামাজ নিয়েই আমি বেশি চিন্তা করি।
এই চিন্তা থেকে আমার খুব হতাশ লাগে। স্বাভাবিক কাজ করতেও পারছি না মনোযোগ দিয়ে।   কিন্তু আমি যখনই এইটা কে ওয়াসওয়াসা  বলে পাত্তা না দিই তখম আমার মনে হয় আমি সুযোগ নিছি।
*** এখন আমার কি করণীয়?  এইগুলো কি ওয়াসওয়াসা??
*** আমার উপরে উল্লিখিত নামাজগুলো হয়েছে?  নাকি সব নামাজ আবার পড়তে হবে?  পড়তে হলে কখন পড়ব?
*** এরপর থেকে যদি কোনে সন্দেহ হয় তাহলে কি করব??

২.মেয়েদের লজ্জাস্থানের নিচে যেই ছিদ্র আছে ওই ছিদ্র দিয়ে যদি বায়ু নির্গত হয় তাহলে কি ওজু ভেঙে যাবে?
৩.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর

আবূ হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন:
“যদি কেউ এক দিনে ১০০ বার উপরের বাক্যগুলো বলে তা তার জন্য  দশজন ক্রীতদাস মুক্ত করার সমান হবে, তার জন্য ১০০ সাওয়াব লেখা হবে, তার ১০০ গোনাহ ক্ষমা করা হবে এবং ঐ দিনের জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত তা তাকে শয়তান থেকে সংরক্ষণ করবে। ঐ দিনে তার কর্মই সর্বোত্তম বলে গণ্য হবে, তবে যদি কেউ তার চেয়েও বেশি আমল করে তবে তা ভিন্ন কথা।”

উপরের হাদিসটা কি সহিহ???
এখানে দিন বলতে কি সারা দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো সময়? নাকি শুধু সকালে?? নাকি সন্ধ্যার আগে?? একটা জায়গায় পড়েছিলাম শুধু সকালে ১০০ বার পড়তে হবে??
কোনটা করতে হবে? একবারে ১০০ বার না পড়ে যদি আমি সারাদিন অল্প অল্প করে ( ১০ বার / ২০ বার / ৫ বার)  করে করে পড়ি তাহলে কি এই ফজিলত পাবো?

৪.বাথরুম করার পরে যখন পানি দিয়ে পবিত্র হই,, তখন  পানি ব্যবহারকালীন সময়ে মানে  যখন পানি লজ্জাস্থানে লাগাচ্ছি,,, তখন  লজ্জাস্থান থেকে যদি পানি ছুটে আসে তাহলে সেই পানি কি নাপাক?
৫.নামাজে তাশাহুদ পাঠের সময় নাবিইইয়ু  বলার সময় এখানে আমি যদি নাবিইইয়ু না বলে শুধু নাবিইয়ু বলি তাহলে কি  নামাজ হবে?? মানে  এখানে তো তাশদীদের মাধ্যমে বা,,, ইয়া এর সঙ্গে যুক্ত হবে। কিন্তু আমি এভাবে যুক্ত করে  সঠিকভাবে পড়তে পাচ্ছিনা। তাই আমি যদি শুধু বা যের বি পড়ি এবং ইয়াকে পৃথকভাবে  (ইয়া পেশ ইয়ু) উচ্চারণ করি তাহলে কি অর্থের বিবৃতি হবে?? অর্থাৎ ইয়াকে তাশদীদের  মাধ্যমে যুক্ত না করে দুটো হরফকে যথাক্রমে যেরও পেশের  মাধ্যমে  উচ্চারণ করি তাহলে হবে?? অর্থাৎ
নাবিইইয়ু এর পরিবর্তে নাবিইয়ু পড়ি তাহলে কি হবে??

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এগুলো আপনার নিছক সন্দেহ মাত্র। 
তারপরেও নামামে রাকাত সংখ্যা,রুকু সেজদার সংখ্যা নিয়ে এমন সন্দেহ আসলে আপনি প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।

কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হলে কম সংখ্যাকে ধরে পুনরায় সেই রুকন আদায় করবেন। এবং এক্ষেত্রে শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

الريح الخارجة من الذكر وفرج المرأة، فإنها لا تنقض الوضوء على الصحيح؛ لأن الخارج منهما اختلاج، وليس بريح خارجة، ولو سلم فليست بمنبعثة عن محل النجاسة والريح لا ينقض إلا لذلك لا؛ لأن عينها نجسة؛ لأن الصحيح أن عينها طاهرة. (البحر الرائق: 1/ 31).
সারমর্মঃ-
পুরুষের লিঙ্গ হতে এবং মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যেই বাতাস বের হয়,এর দরুন অযু ভেঙ্গে যায়না।

 والریح الخارجة من الذکر و فرج المرأة لا تنقض الوضو علی الصحیح الا ان تکون المرأة مفضاة فانہ یستحب لھا الوضو۔“ (الجوهرة النيرة: 1/ 8).
সারমর্মঃ-
পুরুষের লিঙ্গ হতে এবং মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যেই বাতাস বের হয়,সহীহ মত অনুসারে এর দরুন অযু ভেঙ্গে যায়না।

 بخلاف الريح الخارجة من قبل المرأة وذكر الرجل لأنها لا تنبعث عن محل النجاسة حتى لو كانت المرأة مفضاة يستحب لها الوضوء لاحتمال خروجها من الدبر. (الهداية: 1/ 18).
সারমর্মঃ-
পুরুষের লিঙ্গ হতে এবং মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যেই বাতাস বের হয়,সেটি নাপাকি স্থান থেকে সৃষ্ট নয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ فِيْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وَكُتِبَتْ لَهُ مِائَةُ حَسَنَةٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ وَكَانَتْ لَهُ حِرْزًا مِنْ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذَلِكَ حَتَّى يُمْسِيَ وَلَمْ يَأْتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلَّا أَحَدٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক একশ’বার এ দু‘আটি পড়বেঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহুদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া হুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। 
আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। তাহলে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু‘আটির ‘আমল বেশি পরিমাণ করবে। (বুখারী শরীফ ৩২৯৩.৬৪০৩) (মুসলিম ৪৮/১০ হাঃ ২৬৯১, আহমাদ ৮০১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬০)

উক্ত হাদীস সহীহ।
এখানে দিন বলতে সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত উদ্দেশ্য। 

একবারে ১০০ বার না পড়ে যদি আপনি সারাদিন অল্প অল্প করে ( ১০ বার / ২০ বার / ৫ বার)  করে করে পড়েন, তাহলেও এই ফজিলত পাবেন।

(০৪)
পেশাবের পর পেশাব স্থান ধোয়ার সময় ছিটে আসা পানি নাপাক।

পায়খানা করার পর সেই স্থান ধোয়ার ক্ষেত্রে সেখান হতে পানি ছিটে আসলে যেখানে পানির ছিটা লেগেছে,সেই স্থান দেখতে হবে।
তাতে পায়খানার চিন্হ পাওয়া গেলে নাপাক ধরবেন,নতুবা পাক ধরবেন।

(০৫)
নাবিইইয়ু এর পরিবর্তে যদি নাবিইয়ু পড়েন, তাহলে নামাজ হবে। এতে সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 168 views
...