হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيْدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا بِقَتْلِ الأَوْزَاغِ
সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত যে, উম্মু শারীক (রহ.) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গিরগিটি বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী ৩৩৫৯) (মুসলিম ৩৯/৩৮ হাঃ ২২৩৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৭২)
★রাসুল সাঃ টিকিটিকি মারতে আদেশ করেছেন,এবং এটাকে ফুয়াইসাক বলে সম্বোধন করেছেন,আর ফুয়াইসাক বলা হয় কষ্টকর,ক্ষতিকর প্রানীকে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে হাদীসে গিরগিটি বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেননা সেগুলো ক্ষতিকর।
সাধারণ টিকটিকি এখানে উদ্দেশ্য নয়।
তবে কেহ কেহ বলেছেন যে এখানে সাধারণ টিকটিকি (যেগুলো মূলত আমাদের বাসা বাড়িতে পাওয়া যায়) সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত, সেগুলোও মারা যাবে।
তাদের মতে সাধারণ টিকটিকিও ক্ষতিকর প্রানী।
★চিকিৎসকদের ধারনা হলো টিকটিকির মাধ্যমে কুষ্ঠ,ধবল,শ্বেত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
★সাথে সাথে সকলেই এই কথার উপর একমত যে টিকটিকির ভিতর বিষাক্ত কিছু আছে।
যদি খাবার পানীয়র ভিতর টিকটিকি পড়ে,তাহলে অনেক সময় এটা ধ্বংসের কারনও হতে পারে।
তাহার সৃষ্টিগত বিষাক্ত হওয়া,এবং মানুষের সুস্থতার দিক লক্ষ্য করে রাসুলুল্লাহ সাঃ এই হুকুম দিয়েছেন।
(কিতাবুল ফাতওয়া ১/৩৪৩)