বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হজরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে- হদ বলে) শাস্তি দেন। ’ -ইবনে মাজাহ: ২৫৯৮
★সরকারি মালিকানাধীন এক গোলাম গণিমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসির সঙ্গে জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে তার কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হজরত উমর (রা.) ওই গোলামকে কশাঘাত করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে তাকে কষাঘাত করেননি। ’ –সহিহ বোখারি: ৬৯৪৯
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জীন যখন মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে চলে যায় বা সহবাসে জড়িত হয়, সেক্ষেত্রে এটি তো জোড় করে হয়,তাই এটি ধর্ষন,এক্ষেত্রে শুধু জীনের গুনাহ হবে,মানুষের নয়।
কিন্তু এটি যদি জোড় বা চাপ দিয়ে নয়,বরং মানুষের সন্তুষ্টি চিত্তেই হয়,সেক্ষেত্রে মানুষেরও যেনার গুনাহ হবে।
(০২)
কুরআনের আয়াতই তো আল্লাহ তায়ালার কালাম।
প্রত্যেক আয়াত আল্লাহ তায়ালার কালাম।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কথা যিনি বলেছেন,তার থেকেই বুঝে নেয়ার পরামর্শ রইলো।