আসসালামু আলাইকুম। নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তরের আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।
https://www.hadithbd.net/books/link/?id=2432
উপরের আর্টিকেলটিতে ঈমান ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে নীচের দুটি কারণও বলা আছে।
[১১] জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে একেবারেই বহিস্কার হয়ে যায়। যদিও তা কোন ক্ষুদ্র বিষয়ে হোক।
[১৩] আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ অথবা তাঁর গুণাবলীর কোন একটিকেও অস্বীকার করা অথবা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর কোন কার্যাবলী অস্বীকার করা বা এগুলোর অপব্যাখ্যা করা।
আমার প্রশ্ন হলো:
১। এখানে অস্বীকার করা বলতে কি শুধু মুখ দিয়ে অস্বীকার করা বুঝানো হচ্ছে নাকি মনে মনে অস্বীকার করলেও ঈমান চলে যায়?
২। কুরআন হাদীসের কোনো স্পষ্টভাবে প্রমাণীত বিষয় যদি কেউ মুখে অস্বীকার না করলেও মনে মনে অস্বীকার করে বা সন্দেহ পোষণ করে, তাহলে কি সে কাফের হয়ে যায় না? নাকি মনে মনে অস্বীকার করলে কাফের হয় না যতক্ষণ না মুখ দিয়ে অস্বীকার করতেছে?
৩। উপরের ১৩ নং টিতে বলা আছে আল্লাহর গুণাবলীসমূহের কোনো একটিকে অস্বীকার করলে তার ঈমান চলে যায়। এখন কেউ যদি আল্লাহর কোনে একটা গুণ যেমন: আল-গাফফার (অতি ক্ষমাশীল, পরম ক্ষমাশীল) তথা আল্লাহ সব গুণাহ ক্ষমা করতে পারে, এটা মনে মনে বিশ্বাস না করে বা মনে মনে সন্দেহ করে তাহলে কি তার ঈমান চলে যায় না? নাকি যতক্ষণ না মুখ দিয়ে অস্বীকার করতেছে ততক্ষণ ঈমাণ চলে যায় না?
৪। ”আল্লাহ সকলের হৃদয়ের সবকিছু জানে” এটা যদি কেউ মনে মনে বিশ্বাস না করে তাহলে কি কাফের হয়ে যাবে না?
৫। আল্লাহ কারোর উপর বিন্দুমাত্র জুলুম করেন না। কিন্তু কেউ যদি মনে করে যে আল্লাহ হয়তো তাকে সঠিকভাবে বিচার না করে তার উপর জুলুম করতে পারে, তাহলে এমন চিন্তাধারার জন্য কি সে কাফের হয়ে যায় না?
৬। নিশ্চিত জেনে রেখ, আল্লাহর রহমত থেকে তো কাফের ছাড়া অন্য কেউ নিরাশ হতে পারে না।’ (সূরা ইউসুফ : ৮৭)। আমার প্রশ্ন হলো কেউ যদি তার গুনাহের জন্য একেবারেই নিরাশ হয়ে পড়ে এবং আল্লাহর ক্ষমা নিয়ে মনে মনে সন্দেহ পোষণ করতে থাকে তাহলে কি উপরোক্ত আয়াতের আলোকে সে ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবে?