আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তাদ,

আমার আত্নীয়দের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন আর্থিক অবস্থা খারাপ, কিন্তু তাদের যাকাত দেয়া জায়েজ হবে কিনা সেটা নির্ণয় করতে পারছিনা।

১)আমার চাচা, ছোট একটা দোকান ভাড়া নিয়ে কিছু ইলেকট্রিক মালামাল রেখেছেন, কিন্তু তার ঋণ আছে, কিস্তি আছে,কিস্তি থেকে নেয়া টাকা ছাড়া অন্য  ক্যাশ টাকা নেই , আমি কি তাকে ঋণ পরিশোধের জন্য বা কিস্তি শোধ করার জন্য যাকাত দিতে পারি?

২)তালাকপ্রাপ্তা নারী, যার অন্যের কাছে লক্ষাধিক পাওনা টাকা আছে,কিন্তু উক্ত ব্যক্তি টাকা পরিশোধ করছেনা। এদিকে সন্তানদের খাওয়া পরার খরচ দেয়াও তার জন্য কষ্ট হয়ে যায়,এমন কাউকে সন্তানদের পড়ার খরচ হিসেবে যাকাত দেয়া যাবে? তারা মদ্রাসায় পড়ে
জাযাকুল্লাহ খইর

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


যাকাতের খাত সম্পর্কে আল্লাহ তাা'আলা বলেন,
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/699

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার চাচার নিজ মালিকানায় নেসাব পরিমান সম্পদ নেই।
সুতরাং শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে আপনার চাচা ধনী নয়,তিনি গরিব।
তাই তাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে। 

যাকাতের টাকা গ্রহনের পর সে যাহা করবে,সেটি তার ব্যপার।
মূল কথা হলো তাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০২)
তিনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক।
তার উপরেই যাকাত ফরজ (সে তার টাকা উসুলের পর বিগত বছরগুলোর হিসাব করে যাকাত প্রদান করবে।)

তাই তাকে যাকাত দেয়া যাবেনা।
হ্যাঁ যদি টাকাটা ফিরে পাওয়ার কোনক সম্ভাবনা না থাকে,তার মানে তার মালিকামা হতে টাকাটা পুরোপুরি চলে গেলে সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দেয়া যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...