ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/55343/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে
নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
قَالَ
مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ
لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".
‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর
যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
ثُمَّ
قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ
نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ
আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ
করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি,
হাদিস : ১৯৩৪)
★কিরাআত,
তাসবিহ,
তাকবির,
তাশাহুদ,
দরুদ ইত্যাদি পড়ার সময় নিজের কানে আসে, এমন আওয়াজে জিহবা
নাড়িয়ে উচ্চারণ করুন।
নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের
প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন।
নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন
করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত
রাখুন।
নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে
পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে।
নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ
তাআলাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ।
https://ifatwa.info/3012/?show=3012#q3012 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
কুফরী বাক্যর অর্থ
জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবুযর
রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ
وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা
করে দিয়েছেন। (সুনানে ইবনে মা'জা-২০৪৩)
এতে ঈমান চলে যাবে
না। কারণ, কুফরীর চিন্তা করার
দ্বারাই কুফরী হয়ে যায় না। যদি না তা কাজে বা কথায় প্রতিফলিত না করা হয়।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যায়নি। তবে আপনি এসব চিন্তা ভাবনা থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকার
চেষ্টা করবেন এবং শয়তানের এমন কুমন্ত্রণাকে এড়িয়ে চলার চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া
আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, এসবের কারণে
আপনার ঈমান চলে যাবে না। তবে আপনি একাগ্রতার সাথে নামাজ পড়ার চেষ্টা করুন।
২. না, এতে আপনার
ঈমান চলে যাবে না । তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নেই।