ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الأَخْنَسِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصَّوْمُ يَوْمَ تَصُومُونَ وَالْفِطْرُ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَالأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ "
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেদিন তোমরা সবাই রোযা পালন কর সে দিন হল রোযা। যেদিন তোমরা সবাই রোযা ভঙ্গ কর সে দিন হল ঈদুল ফিতর। আর যেদিন তোমরা সবাই কুরবানী কর সে দিন হল ঈদুল আযহা। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৬৬০) তিরমিজি ৬৯৭)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غم عَلَيْكُم فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلَاثِينَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সওম পালন করো চাঁদ দেখে এবং ছাড়ো (ভঙ্গ করো) চাঁদ দেখে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে শা‘বান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।
(বুখারী ১৯০৯, মুসলিম ১০৮১, তিরমিযী ৬৮৪, নাসায়ী ২১১৭, ২১১৮, আহমাদ ৯৫৫৬, ৯৩৭৬, ৯৮৫৩, ৯৮৮৫, ১০০৬০, দারিমী ১৭২৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৯৩৩, ৭৯৩২, ইবনু হিব্বান ৩৪৪২, ইরওয়া ৯০২, সহীহ আল জামি‘ ৩৮১০।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি লন্ডনে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে রোজা রাখবেন।
(০২)
রাগের মাথায় কসম করলেও সেটি কসম বলেই গন্য হয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে সেই কসম ভঙ্গ করে ফেলেন,সেক্ষেত্রে আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।
আপনার স্বামী আপনাকে যে হাত খরচের টাকা দেন,সেটি হতে ১০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা দান করবেন বা সদকায়ে পরিমান টাকার খাবার ১০ মিসকিনের প্রত্যেককে খাওয়াবেন।
আপনি যদি সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে আপনি ৩ টি রোযা রাখবেন।