আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in সাওম (Fasting) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি আগে বাংলাদেশে ছিলাম। ওখানে বাংলাদেশেই চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখতাম রমাদানের।

এখন লন্ডনে থাকি। আমার হাজবেন্ড ফলো করেন বিশ্বের যেকোনো এক জায়গায় চাঁদ দেখা গেলেই সাওম রাখার নিয়ম এবং সে হিসেবেই উনারা ঈদ করেন। যেমন গতবছর আফগানিস্তানে সম্ভবত বাংলাদেশের ২ দিন আগে চাঁদ দেখা গেছিল, অইদিন লন্ডনেও চাঁদ দেখা যায়নি কিন্তু উনারা অইদিন ঈদ করেন।
এখন আমি হাজবেন্ডের সাথে লন্ডনে থাকি। আমি কি লন্ডনে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে রোজা রাখব???
আরেকটা প্রশ্ন, রাগের মাথায় আল্লাহর নামে কসম করে ফেলি। কসম করার সময়ও আমার মনে মনে ছিল যে এটা উচিত হচ্ছে না, এটা করলেও আমি রাখতে পারব না। এখন আমি কিভাবে এর কাফফারা দিব? আমি কি ৩ দিন রোজা রাখব? কারণ আমার নিজের ইনকাম নাই।  নাকি আমার হাত খরচের টাকা দেন আমার স্বামী সেখান থেকে ফিতরার সমান টাকা মিসকীনদের দিয়ে দিব?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الأَخْنَسِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصَّوْمُ يَوْمَ تَصُومُونَ وَالْفِطْرُ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَالأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ "

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেদিন তোমরা সবাই রোযা পালন কর সে দিন হল রোযা। যেদিন তোমরা সবাই রোযা ভঙ্গ কর সে দিন হল ঈদুল ফিতর। আর যেদিন তোমরা সবাই কুরবানী কর সে দিন হল ঈদুল আযহা। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৬৬০) তিরমিজি ৬৯৭)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غم عَلَيْكُم فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلَاثِينَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সওম পালন করো চাঁদ দেখে এবং ছাড়ো (ভঙ্গ করো) চাঁদ দেখে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে শা‘বান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।
(বুখারী ১৯০৯, মুসলিম ১০৮১, তিরমিযী ৬৮৪, নাসায়ী ২১১৭, ২১১৮, আহমাদ ৯৫৫৬, ৯৩৭৬, ৯৮৫৩, ৯৮৮৫, ১০০৬০, দারিমী ১৭২৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৯৩৩, ৭৯৩২, ইবনু হিব্বান ৩৪৪২, ইরওয়া ৯০২, সহীহ আল জামি‘ ৩৮১০।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি লন্ডনে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে রোজা রাখবেন।

(০২)
রাগের মাথায় কসম করলেও সেটি কসম বলেই গন্য হয়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে সেই কসম ভঙ্গ করে ফেলেন,সেক্ষেত্রে আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।

আপনার স্বামী আপনাকে যে হাত খরচের টাকা দেন,সেটি হতে ১০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা দান করবেন বা সদকায়ে পরিমান টাকার খাবার ১০ মিসকিনের প্রত্যেককে খাওয়াবেন।

আপনি যদি সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে আপনি ৩ টি রোযা রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
asked May 6, 2021 in সাওম (Fasting) by ... (53 points)
0 votes
1 answer 215 views
...