আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি
শবে বরাতের জন্য মসজিদে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুরো মহল্লাবাসী থেকে টাকা তুলে খাবারের আয়োজন।

আমার পরিবারও এইখানে সামিল,,আমি বাঁধা দিয়েছি কিন্তু পরিস্থিতি অন্য দিকে চলে যাচ্ছিল।

আমার পরিবারসহ এলাকার সবাই অনেক নামাজ,নানান আয়োজন ইত্যাদি করে শবে বরাত পালন করে।

এখন এই মসজিদের খাবার খাওয়া কি ঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها . فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا . فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا من مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر )

হযরত আলী বিন আবু তালীব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন শাবান মাসের অর্ধেকের রজনী আসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতে নামায পড়, আর দিনের বেলা রোযা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডুবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন-কোন গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। {সূনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২, }

عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب

অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ বলেন-এক রাতে রাসূল সাঃ কে না পেয়ে খুজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে [মদীনার কবরস্থান] গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন-কি ব্যাপার আয়শা? [তুমি যে তালাশে বের হলে?] তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? [তোমার পাওনা রাতে অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন?] হযরত আয়শা রাঃ বললেন- আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূল সাঃ তখন বললেন-যখন শাবান মাসের ১৫ই রাত আসে অর্থাৎ যখন শবে বরাত হয়, তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬০২৮, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-১৫০৯}

★উপরোক্ত শবে বরাতের হাদীস দ্বারা আমরা শবে বরাতে আমল পাই-

১-ইস্তিগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।
২-আড়ম্বরপূর্ণ না হলে স্বাভাবিকভাবে হলে কবর যিয়ারত করা।
৩-অনির্ধারিতভাবে নফল ইবাদত করা।
৪-পরদিন রোযা রাখা।

★শবে বরাতে বর্জনীয় কাজ

১-হালুয়া রুটির আয়োজন।
২-আলোকসজ্জা।
৩-আতশবাজি।
৪-দলবদ্ধ ইবাদতকে আবশ্যক মনে করে মসজিদে বা কোথাও একত্র হওয়া। তবে এটাকে এ রাতের বিশেষ আমল মনে না করে এমনিতে একত্র হতে সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ  

শবে বরাত উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো খাবার দাবারের আয়োজনকে জরুরী বা সওয়াবের কাজ মনে করা সম্পূর্ণ বিদ’আত।হ্যা সওয়াবের কাজ বা জরুরী মনে না করে, কেউ যদি শবে বরাতের দিনে ভালো কোনো খাবারের আয়োজন করে, তাহলে এমনটা করার রুখসত থাকবে।হ্যা এই দিনে বিশেষ ভাবে রুটি বানানোর যদি কোনো রেওয়াজ থাকে,তাহলে এটা অবশ্যই বিদ’আত হবে।

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মসজিদে শবে বরাত উপলক্ষ্যে যে সকলের থেকে টাকা তুলে বিশেষ কোনো খাবার দাবারের আয়োজন করা হচ্ছে,এটিকে জরুরী বা সওয়াবের কাজ মনে করে করা হলে সম্পূর্ণ বিদ’আত হবে,সেক্ষেত্রে এই তাবারক খাওয়া জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি এটিকে জরুরী বা সওয়াবের কাজ মনে করে করা না হয়,সেক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারগনদের মত অনুযায়ী এটি জায়েজ আছে।
সেক্ষেত্রে মসজিদের এই খাবার খাওয়া জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...