জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামে বদ দুয়া করা,কাউকে অভিশাপ দেওয়া জায়েজ নেই।
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।
( তিরমিজি, হাদিস নং: ২৬২৭; আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৮১)
,
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো অভিসম্পাতকারী হয় না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ২০৮৮)
আরো জানুনঃ
পিতামাতার জন্য রাগের অবস্থা সন্তানদের বদ দুয়া,অভিশাপ দেওয়া উচিত নয়।
কারন কোন সময় যে আল্লাহ তায়ালা সেসব বদ দুয়া কবুল করে নিবেন,তাহা কেহই বলতে পারেনা।
এমনও হতে পারে যে পিতা মাতা বুঝে না বুঝে অযথাই সন্তানের জন্য বদ দুয়া করলো, আল্লাহ তায়ালা তা পুরোপুরি ভাবে কবুল করে নিলো,তখন এটা সন্তানের জন্য শাস্তির কারন হয়ে দাড়াবে।
বিষয়টি পিতামাতাকে বুঝানো দরকার।
উভয় পক্ষ থেকেই চেষ্টা করা দরকার,যে এই অবস্থায় যেনো পৌছাতে না হয়।
পিতা মাতা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এহেন কথা না বলার,আর সন্তান চেষ্টা করবে,এমন কোনো কাজ না করার,যাতে পিতা মাতা কষ্ট পায়।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৬/২১৪)
,
★মায়ের অভিশাপ আল্লাহ তায়ালা অনেক সময়েই কবুল করে থাকেন তাই সন্তানের জন্য এমন কাজ না করা উচিত,যার কারনে পিতা মাতা সন্তানকে অভিশাপ দেয়।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত কথা ""তুই যতই আল্লাহ আল্লাহ করিস, আল্লাহ কবুল করবে না!..
এটি অভিশাপ নয়।
,
কারন ইবাদত কবুল করা আর না করা,এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তায়ালার ইখতিয়ারের অধিনে।
বান্দার কথার এখানে কোনো ধর্তব্য নেই।
তাই মা এহেন কথা বললেও এর কারনে যে আল্লাহ তায়ালা তার ইবাদত কবুল করবেননা,বিষয়টি এমন নয়।
,
ইবাদত যদি কবুল হওয়ার মতো করা হয়,আল্লাহ তায়ালা যদি সেটাকে পছন্দ করেন, কবুল করেন, সেখানে বান্দার কোনো কথা বলার সুযোগ নেই।