আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
reshown by
অনেক সময় এমন বলা হয়-
আল্লাহর রহমতে তোমার খাওয়ার পর একটু অংশ তো থাকবেই!

আল্লাহর রহমতে তোমার কলমই তো হারাবে!

এরকম নেতিবাচক কথা বলতে গিয়ে 'আল্লাহর রহমতে' বলা হয়।এটা বলা কি ঠিক?
বললে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো নামে বদ দুয়া,অভিশাপ করা জায়েজ নেই। 
,
তব কেহ যদি জালেম হয়,বা রাসুল সাঃ এর গালিদাতা হয়,বা ইসলামের দুশমন হয়,ইত্যাদি কারনে বদ দুয়া করা জায়েজ আছে।          

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।
 ( তিরমিজি, হাদিস নং: ২৬২৭; আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৮১)
,
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো অভিসম্পাতকারী হয় না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ২০৮৮)

রাসুল (সা.) আরো বলেছেন,  ‘তোমরা পরস্পর আল্লাহর লানত, তার গজব ও জাহান্নামের অভিশাপ দেবে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৮৬)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার কিছু ইহুদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এল এবং সালাম দেওয়ার ছলে বলল, ‘আসসামু আলাইকা’ (অর্থাৎ আপনার উপর মৃত্যু নেমে আসুক)। হযরত আয়েশা রা. তা বুঝতে পেরে জবাবে বললেন, ‘আলাইকুমুস সামু ওয়াল লা’নাতু’ (রবং মরণ ও অভিশাপ তোমাদের উপর পড়ুক।) তাঁর এ কথা শুনে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
مَهْلاً ياَ عاَئِشَةُ، إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِيْ الْأَمْرِ كُلِّهِ
‘হে আয়েশা! সংযত হও। আল্লাহ তাআলা সকল বিষয়ে কোমলতা পছন্দ করেন।’ উম্মুল মুমিনীন আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি শোনেননি তারা কী বলল?’ রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমিও তো এর জবাব দিয়েছি। বলেছি, ‘ওয়া আলাইকুম’ (তোমাদের উপরও তা পড়ুক)।’-সহীহ বুখারী ২/৮৯০

হযরত আয়েশা রা. বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসার অনুমতি চাইল। লোকটিকে (দূর থেকে) দেখে তিনি বললেন, ‘গোত্রের সবচেয়ে মন্দ লোক!’ কিন্তু সে যখন ঘরে এল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে হাসিমুখে কথা বললেন। তার বিদায় নেওয়ার পর উম্মুল মুমিনীন প্রশ্ন করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো প্রথমে তাঁর সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন, অথচ সাক্ষাতে হাসিমুখে কথা বললেন!’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
 متى عاهدتني فحاشا، إن شر الناس عند الله منزلة يوم القيامة من تركه الناس اتقاء شره.
আয়েশা! তুমি কি কখনো (কারো সাথে) আমাকে মন্দ ও অশালীন আচরণ করতে দেখেছ? কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি হবে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যাকে মানুষ ত্যাগ করেছে তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।-সহীহ বুখারী ২/৮৯১
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম কথার ভিতর কোনো বদ দুয়া দেখা যায়না,তাই এটা বললে কোনো সমস্যা নেই। 
খাবার বাঁচলে তো সেটা আল্লাহর রহমতেই বাঁচবে।
,
২য় নং ছুরত কিছুটা বদ দোয়াই।
তাই এটি বলা জায়েজ নেই,এখানে "আল্লাহর রহমতে" বলুক বা না বলুক,তাতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে সমস্যা হলো বদ দুয়া করাতে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...