জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো জুয়া হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)
কেউ যদি ব্যাডমিন্টন জুয়ার উদ্দেশ্যে না খেলে থাকেন, তবে শুধু শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে এই খেলা খেলাতে ইসলামী কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে খেলাধুলা (যা মানুষকে আল্লাহর ইবাদত ভুলিয়ে দেয় না) ইসলামে বৈধ।
(আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ২৬৬২, ইমদাদুল আহকাম : ৪/৩৬৯)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জুয়া না হলে, শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে,বৈধ বিদ্যুতের আলোতে ব্যাডমিন্টন খেলা জায়েজ রয়েছে।
তবে শর্ত হল,ফরয ইবাদত ও ফরয দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার শীতিলতা আসতে পারবে না।
আরো জানুনঃ
,
শরীয়তের বিধান হলো খেলার জন্য হোক,বা অন্য যেকোনো কারনেই হোক, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১১/১৪০)
★সরকারি লাইন থেকে কারেন্ট (বিদ্যুৎ) নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ । সরকারি আইন অনুযায়ী এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। (ডিপিডিসি)
তা ছাড়া শরীয়তের বিধান অনুযায়ী এটি বিদ্যুৎ চুরির শামিল।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর বিন্ ‘আস্ব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গাছের ফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:
مَنْ أَصَابَ بِفِيْهِ مِنْ ذِيْ حَاجَةٍ غَيْرَ مُتَّخِذٍ خُبْنَةً ؛ فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ، وَمَنْ خَرَجَ بِشَيْءٍ مِنْهُ ؛ فَعَلَيْهِ غَرَامَةُ مِثْلَيْهِ وَالْعُقُوْبَةُ، وَمَنْ سَرَقَ مِنْهُ شَيْئًا بَعْدَ أَنْ يُؤْوِيَهُ الْـجَرِيْنُ فَبَلَغَ ثَمَنَ الْـمِجَنِّ ؛ فَعَلَيْهِ الْقَطْعُ، وَمَنْ سَرَقَ دُوْنَ ذَلِكَ ؛ فَعَلَيْهِ غَرَامَةُ مِثْلَيْهِ وَالْعُقُوْبَةُ.
‘‘কেউ প্রয়োজনের খাতিরে সাথে কিছু না নিয়ে (কারোর কোন ফলগাছের ফল) শুধু খেলে তাকে এর জরিমানা স্বরূপ কিছুই দিতে হবে না। আর যে শুধু খায়নি বরং সাথে কিছু নিয়ে গেলো তাকে ডবল জরিমানা দিতে হবে এবং যথোচিত শাস্তিও ভোগ করতে হবে। আর যে ফল শুকানোর জায়গা থেকে চুরি করলো এবং তা ছিলো একটি ঢালের সমমূল্য তখন তার হাত খানা কেটে দেয়া হবে। আর যে এর কম চুরি করলো তাকে ডবল জরিমানা দিতে হবে এবং যথোচিত শাস্তিও ভোগ করতে হবে’’। (আবূ দাউদ ৪৩৯০; ইব্নু মাজাহ্ ২৬৪৫ নাসায়ী ৮/৮৫; হা’কিম ৪/৩৮০)
অনেকেই রাষ্ট্রীয় তথা জাতীয় সম্পদ চুরি করতে একটুও দ্বিধা করে না। তাদের ধারণা, সবাই তো করে যাচ্ছে তাই আমিও করলাম। এতে অসুবিধে কোথায়?
মূলত এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, জাতীয় সম্পদ বলতে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সম্পদকেই বুঝানো হয়। সুতরাং এর সাথে বহু লোকের অধিকারের সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষভাবে তাতে রয়েছে গরিব, দু:খী, ইয়াতীম, অনাথ ও বিধবাদের অধিকার। তাই ব্যক্তি সম্পদের তুলনায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি এবং এর চুরিও খুবই মারাত্মক।
,
★সুতরাং কোনোভাবেই সরকারী কারেন্ট (বিদ্যুত) ব্যবহার করে ব্যাডমিন্টন খেলা যাবেনা।
এটা শরীয়তের দিক থেকে,এবং রাষ্ট্রীয় আইন উভয় দিক থেকেই অবৈধ।