আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১)সমস্ত মাল মশলা রেডি করে তেলে দেবার পর দেখা যায় ডিমটা পঁচা ছিলো। এমতাবস্থায় তারপরও খেলে গুনাহ্ হবে কি?

২) মহিলারা হায়েজ অবস্থায় মুরগী বা যেকোন গৃহপালিত প্রাণী জবাই করতে পারবে? এক্ষেত্রে যদি কেউ হায়েজ অবস্থায় জবাই করে সেই জবাইকৃত প্রাণীটি খাওয়া কি হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি ডিম পঁচে যায়,গন্ধ বের হয়,তাহলে সেটি খাওয়া জায়েজ নেই।

আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আমি যে রিয্ক তোমাদের দিয়েছি তা থেকে পবিত্রগুলো আহার কর- (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/১৭২)।. 

তিনি আরও বলেনঃ তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর- (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২৬৭)।

তিনি আরও বলেনঃ পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎ কর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি- (সূরাহ আল-মু’মিনূন ২৩/৫১)।

,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ডিম যদি গন্ধযুক্ত হয়ে যায়,তাহলে সেটি খাওয়া জায়েজ নেই,হারাম। 
অন্যথায় জায়েজ আছে।         

واللحم اذا انتن یحرم اکلہ، والسمن واللبن والزیت والدھن اذا انتن لا یحرم،والطعام اذا تغیر و اشتد تنجس والاشربۃ بتغیر لا تحرم کذا فی خزانة المفتین”
(الفتاوی الھندیة:339/5،کتاب الکرھیة)
গোশত যদি দূর্গন্ধ হয়,তাহলে তাহা ভক্ষন করা হারাম,,,,

“کما فی الدر: ولو اکلت النجاسۃ وغیرھا بحیث لم ینتن لحمہا حلت وقال الشامی وعن ھذا لابأس بأکل الدجاجہ لانہ یختلط ولا یتغیر لحمہٗ وروی انہٗ علیہ السلام کان یأکل الدجاجۃ تحبس ثلاثۃ ایام ثم تذبح فذلک علی سبیل التنزہ، زیلعی”۔ (شامی: ص؍333، ج؍5) وفیہ ایضاً (ولینھا) لتولدہٖ من اللحم
যার সারমর্ম হলো যদি এমন গোশত খায়,যেটি দূর্গন্ধ হয়নি,তাহলে তাহা হালাল,,,,,    

(০২
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।
সূরা বাক্বারা-২২২
,
শরীয়তের বিধান মতে হায়েজা মহিলার নামাজ,রোযা,কুরআন তেলাওয়াত,সহবাস ইত্যাদি নাজায়েজ। 
অন্য কোনো কিছু নাজায়েজ নয়।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ""মহিলারা হায়েজ অবস্থায় মুরগী বা যেকোন গৃহপালিত প্রাণী জবাই করতে পারবে""
বিসমিল্লাহ বলে জবাই করলে,বা ইচ্ছাপূর্বক ভাবে বিসমিল্লাহ বলা ছেড়ে না দিলে  এটি খাওয়াও হালাল।
,
কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...