আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম। নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তরের আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

(১) কেউ যদি কোরআনের ক্ষমা সংক্রান্ত আয়াতগুলোকে মনে মনে অস্বীকার করে তাহলে কি সে কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(২) যেমন: কেউ যদি অন্য কাউকে গুনাহ করতে দেখে, মনে মনে এটা বিশ্বাস করে যে, হাজারবার মাফ চাইলেও আল্লাহ তার এই গুনাহ কখনো মাফ করবে না এবং আল্লাহ তাকে কাফেররূপে গন্য করবে। এখানে যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে গুনাহ করতে দেখে আল্লাহ সম্পর্কে এমন ধারণা করতেছে, সে যদি কোরআনের ক্ষমা সংক্রান্ত  আয়াতগুলো জানার পরও এমন ধারণা পোষণ করে, তাহলে কি সে কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৩) এক আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি হৃদয়ে ঈমান রাখার পরও, কেউ কোন কোন কারণে কাফের হয়ে যেতে পারে?

(৪) শরীয়তের সব বিধানকে মান্য করলেও কোনো একটা বিধান নিয়ে কেউ যদি মনে মনে এমন ধারণা করে যে, এই বিধানটা না থাকলে ভালো হতো, তাহলে এমন ধারণা মনে মনে পোষণ করার কারণে কি সে কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৫) এক আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি হৃদয়ে ঈমান রাখা সত্বেও, শরীয়তের অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো বিধানকে নিয়ে কি কি করলে ঈমান চলে যায়? কারণসহ যদি বলতেন।

(৬) কেউ যদি ওয়াসওয়াসায় পড়ে ঈমান হারিয়ে ফেলে, তাহলে কি সে কাফের বলে গণ্য হবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৭) ”শরীয়তের অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা করলে বা অকাট্যভাবে প্রমাণিত কোনো হারামকে হালাল বললে ঈমান চলে যায়।” কিন্তু যে এক আল্লাহর উপর এবং ইসলামের উপর ঈমান এনেছে সে তো জেনেশুনে কোনো বিধানকে নিয়ে ঠাট্টা করবে না বা সে তো জেনেশুনে অকাট্যভাবে প্রমাণিত কোনো হারামকে হালাল বলবে না, তাহলে এই মাসাআলাটি মূলত কাদের জন্য? (৮) যারা ইসলামের উপর ঈমান আনেনি তাদেরকে শনাক্ত করার জন্যই  কি এই মাসআলা? (৯) আগে থেকেই যে কাফের সে ছাড়া তো অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো বিধানকে নিয়ে ঠাট্রা করার কথা নয়। তাহলে এখানে যার হৃদয়ে ঈমানই নেই তার ক্ষেত্রে আবার নতুন করে ঈমান চলে যাওয়ার বিষয়টি আসছে কেন? বিষয়টি না বোঝার কারণে ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছি। অনুরোধ রইল একটু যদি বুঝিয়ে বলতেন। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (565,320 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কুরআনের একটি আয়াতকে অস্বীকার করলে,আল্লাহর আকাট্য ভাবে প্রমানীত  যেকোনো ফরজ বিধানকে জেনে শুনে অস্বীকার করলে,জেনে শুনে ঈমান চলে যাওয়ার মতো কোনো কুফরি কথা বললে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
,
সুরা আল-বাকারাহ : ২/৩৯ ,২/৪১
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِـَٔايٰتِنَآ أُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী ; অন্তকাল সেখানে থাকবে।

وَءَامِنُوا بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا بِـَٔايٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيّٰىَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ ।

সূরা আন-নিসা : ৪/৫৬, ৪/১৪০
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার আয়াত সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী ।

الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوٓا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكٰفِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوٓا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكٰفِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا

আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফিক ও কাফিরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
কেননা মৌখিক ভাবে অস্বীকার করেনি।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
কেননা মৌখিক ভাবে সে কুরআনের কোনো আয়াতকে অস্বীকার করেনি।

(০৩)
হ্যাঁ, জেনে শুনে কুফরি কাজ করলে কাফের হয়ে যেতে পারে।

(০৪)
না,এতে সময়  কাফের হয়ে যাবেনা।

কেননা মৌখিক ভাবে সে কুরআনের কোনো আয়াতকে অস্বীকার করেনি।

(০৫)
কুরআনের কোনো আয়াত,অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে বা জেনে শুনে  অস্বীকার করলে ঈমান চলে যাবে। 

(০৬)
ওয়াসওয়াসা বশত ঈমান চলে যাবেনা।
তবে জেনে বুঝে কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কথা বললে ঈমান চলে যাবে।

(৭.৮.৯)
এই বিধান মুসলিমদের জন্যই।
এক্ষেত্রে কেহ কুরআনের কোনো আয়াত,অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে বা জেনে শুনে  অস্বীকার করলে সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী কিভাবে হলো?

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী এহেন কাজ করতে পারেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...