আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in সাওম (Fasting) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

১/ আমার সাদাস্রাবের সমস্যা প্রচুর। তাই যোনিপথে আংগুল প্রবেশ করিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। এভাবে ভেজা আংগুল প্রবেশ করালে কি সিয়াম ভংগ হয়ে যাবে?

২/ অনেক সময় যোনিপথে ভেতরে আংগুল প্রবেশ করিয়ে সাদাস্রাব পরিষ্কার করি। কেননা নয়তো ওজু করে আসার পর আবার বের হতে থাকে। কিছুটা সময় নিয়ে পরিষ্কার করলে বের হয়না। এই আংগুল প্রবেশ করানোর দ্বারা গুনাহ হয়কি?
৩/ আমি ওয়াসওয়াসার পেশেন্ট। তো নাক আর মুখে পানি ভেতরে চলে গেলো কিনা তা নিয়ে মারাত্মক সমস্যা ভুগি।

নাকে পানি দিতে গেলে মনে হয় ভেতরে চলে গেলো কিনা, গলায় ঠান্ডা লাগে অনেক সময়।
এক্ষেত্রে কাযা রোজা আদায় করতে পারছিনা, নফলও রাখতে পারিনা। রমাদানেও টেনশন লাগে খুব।
কিভাবে নাকে পানি দিলে ভেতরে যাবেনা?
৪/ পাইলস এর সমস্যা থাকায়, পায়ুপথে দিয়ে রক্ত গেলে কি রোযা ভংগ হবে?
৫/ পাইলস এর সমস্যায়, মল ত্যাগের পর ভেতর থেকে যে মাংস বের হলে কি সাবধানতা অবলম্বন করবো যাতে পানি ভেতরে না যায়? এটা তো বোঝা যায়না যে গেলো কিনা।

৬/ পূর্ব কাযা রোজা রাখতে কি বছর নির্দিষ্ট করে বলা জরুরি? যে ওমুক বছরেরটা রাখলাম? নাকি আমার জিম্মায় যত রোজা আছে তার প্রথমট রাখলাম এটা বলে বলে আদায় করলেই হবে?
৭/ একদিন রোজা রাখার পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হয়ায় প্রচুর,বুকে ব্যথায় সেই রোজা ভেংগে ফেলি। তার কাফফারা আদায় করা আবশ্যক?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/40235/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে,   
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

ولو بالغ في الاستنجاء حتی بلغ موضع الحقنۃ فسد۔ (شامي ۳؍۳۶۹ زکریا)

সারমর্মঃ  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

আরো জানুনঃ 

★শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় যদি কোনো মহিলা গোপনাঙ্গে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,এক্ষেত্রে আঙ্গুল যদি শুকনো থাকে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। যদি ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তাহলে মহিলার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এতে কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।

ولو ادخل إصبعه فى إسته أو المرأة فى فرجها، لا يفسد، وهو المختار، إلا إذا كانت مبتلة بالماء أو الدهن، فحينئذ يفسد لوصول الماء او الدهن، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد-1/204, كذا فى الدر المختار-2/397)
সারমর্মঃ
যদি কেহ তার আঙ্গুল মলদ্বারে প্রবেশ করায়,বা কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থানে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে আঙ্গুল যদি তৈল বা পানি দ্বারা ভিজানো থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।    
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যোনিপথে আঙ্গুল দিয়ে পরিস্কারের ক্ষেত্রে ভেজা আঙ্গুল যেনো যোনির ভিতরাংশে প্রবেশ না করে।
ভেজা আঙ্গুল যোনির ভিতরাংশে প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
না,এতে গুনাহ হয়না।
তবে উত্তেজনা আসলে গুনাহ হবে। 

(০৩)
আপনি রোযা অবস্থায় গড়গড়িয়ে কুলি করবেননা।
মুখে সামান্য পানি নিয়ে মাথা নিচু করে পানি ফেলে দিবেন।

আর ভেজা হাত শুধু নাকের অগ্রভাগে প্রবেশ,একেবারে অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার আবশ্যকীয়তা নেই।

গোসল ফরজ না হলে এবং উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি মানার পরেও এই ওয়াসওয়াসা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে  প্রয়োজনে রোযা অবস্থায় অযুতে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়াই ছেড়ে দিবেন।
এতেও অযু হয়ে যাবে।
কেননা অযুর ক্ষেত্রে এগুলো ফরজ নয়,বরং সুন্নাত।

(০৪)
না,প্রশ্নের বিবরন মতে পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০৫)
এক্ষেত্রে আগে তিনটি টিস্যু ব্যবহার করবেন।
অতঃপর অল্প পানি ব্যবহার করবেন।

(০৬)
আমার জিম্মায় যত রোজা আছে তার প্রথমটা রাখলাম, এটা বলে বলে আদায় করলেই হবে।

(০৭)
যেহেতু অসুস্থতা বশত ভেঙ্গে ফেলেছিলেন,তাই কাফফারা আবশ্যক হবেনা।
শুধু কাজা আদায় করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...