আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
কাউকে ১ হাজার টাকা ধার দিলে সে যদি বিকাশে ১০২০ টাকা দেয় এটা কি সুদ হবে? উল্লেখ্য অতিরিক্ত ২০ টাকা ক্যাশআউট চার্জের খরচের জন্য দেয়া। যদিও ক্যাশআউট চার্জ ১৭-১৮.৫০ টাকার মত। অনুরূপভাবে আমি ১০২০ টাকা বিকাশে বন্ধুকে ধার দিলাম। সে পরিশোধ করার সময় ১০০০ টাকা বিকাশে পাঠিয়েছে। আমি কি ২০ টাকা পাঠাতে বলতে পারবো? আমি যখন ১০২০ টাকা বিকাশে দিয়েছি তখন ক্যাশআউট করে সে ১০০০ টাকা পাবে, তার বিকাশে ২-১ টাকা থেকেও যাবে। কিন্তু সে যে আমাকে বিকাশে ১০০০ টাকা দিয়েছে এটা ক্যাশআউট করলে আমি ৯৮০++ টাকা পাবো।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ
কাউকে ১ হাজার টাকা নগদ ধার দিলে, সে যদি বিকাশে ১০২০ টাকা দেয়,তাহলে সেটা সুদ হবে না। কেননা এই অতিরিক্ত ২০ টাকা ক্যাশআউট চার্জ হিসেবে বিবেচ্য হবে।অনুরূপভাবে যদি কেউ অন্যজনকে ১০২০ টাকা বিকাশে ধার দিলাম।তাহলে ঋণগ্রহিতা ঋণ ফেরৎ দেয়ার সময়,১০২০টাকা ফেরৎ দিবে।কিন্তু সে যদি পরিশোধ করার সময় ১০০০ টাকা বিকাশে পাঠায়,তাহলে ঋণদাতা  ২০ টাকা পাঠাতে বলতে পারবে।

কিন্তু বিকাশে ১০০০টাকা ঋণ দিয়ে ১০২০ টাকা ফেরৎ নেয়া কখনো জায়েয হবে না,বরং সেটা সুদ হয়ে যাবে।আল্লাহ তা'আলা বলেন-
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺄْﻛُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻻَ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺘَﺨَﺒَّﻄُﻪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺲِّ ﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊُ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻭَﺃَﺣَﻞَّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺒَﻴْﻊَ ﻭَﺣَﺮَّﻡَ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎ ﻓَﻤَﻦ ﺟَﺎﺀﻩُ ﻣَﻮْﻋِﻈَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﺎﻧﺘَﻬَﻰَ ﻓَﻠَﻪُ ﻣَﺎ ﺳَﻠَﻒَ ﻭَﺃَﻣْﺮُﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺪُﻭﻥَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত!অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(রা বাকারা-২৭৫)

রিবা বা সূদ কাকে বলে?
বর্ণিত রয়েছে  এ ব্যপারে উলামায়ে কেরামগণ একমত যে, প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে তাই রিবা বা সুদ হিসেবে পরিগণিত হবে।যেমন
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣَﻔْﺺٌ، ﻋَﻦْ ﺃَﺷْﻌَﺚَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺤَﻜَﻢِ، ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : « ﻛُﻞُّ ﻗَﺮْﺽٍ ﺟَﺮَّ ﻣَﻨْﻔَﻌَﺔً، ﻓَﻬُﻮَ ﺭِﺑًﺎ » ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ 
তরজমাঃ-প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসবে তাই রিবা বা সুদ।(মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ-২০৬৯০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি যদি বিকাশের মাধ্যমে কাউকে ১০০০ টাকা ধার দেয়ার উদ্দেশ্যে খরচ সহ ১০২০ টাকা পাঠায় তাহলে তো আমার মোট খরচ হলো ১০২০ টাকা। এক্ষেত্রে আমার ধার দেয়ার পরিমাণ ১০০০ গন্য হবে নাকি ১০২০?
যদি ১০২০ গণ্য হয় তাহলে যে ব্যক্তি ধার নিয়েছে সে যদি ফেরত দেয়ার সময় ১০২০ টাকা পাঠায় তাহলে তো আমি ক্যাশ আউট চার্জ বাদ দিয়ে ১০০০ টাকা পেলাম। কিন্তু ধার দেয়ার সময় তো দিয়েছি ১০২০।
by
আসসালামুআলাইকুম হুজুর আমার একটি প্রশ্ন কেউ যদি জীবনে সুদ খায় তারপর একসময় অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে খালেছ তাওবাহ করে তাহলে কি আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন। এবং যে টাকা সুদ খেয়েছে ওই টাকা কি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। নাকি খালেস তাওবা করার কারণে আর ওই টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে না
by (590,550 points)
যাদের যাদের কাছ থেকে সুদ খেয়েছেন, তাদের সবার নিকট তাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।
by (590,550 points)
ঋণ যিনি নিবেন।তিনিই সার্বিস চার্জ গ্রহণ করবেন।আপনি এক হাজার দিবেন।তিনি আপনাকে এক হাজার দিবেন।এবং সার্ভিস চার্জ তিনিই গ্রহণ করবেন।
by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম 
হুজুর 
বড় বিপদে পরে আপনার নিকট লিখলাম - 
আমি পেশায় একজন শিক্ষক । আজকে ধর্ম ক্লাসে  এক ছেলে আমাকে জিজ্ঞাস করল আপনি স্যার হিন্দুদের পরীক্ষা নেন না। তখন আমি ওকে বলি - 
আমি হিন্দু ধর্ম {এরপর আমি বুঝতে পারলাম না কি বলব } একটু সময় নিয়ে বললাম করি না। 

আমি বুজতে পারলাম না কিভাবে কি হল। আমি ভুল করে এই কথা বলেছি। এতে কি কোন সমস্যা হবে। আমি বিবাহিত। আমি হিন্দুদের বই পরাইনা । 
by (590,550 points)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো সমস্যা হবে না।
by (50 points)
edited by
প্রশ্ন করা হয়ছে 
by (50 points)
edited by
প্রশ্ন করা হয়ছে 
by (50 points)
edited by
প্রশ্ন করা হয়ছে 
by (50 points)
edited by
প্রশ্ন করা হয়ছে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...